আসসালামুয়ালাইকুম ♥️
ঐতিহ্যবাহী হাতিবান্ধা মসজিদ
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
মসজিদটি এতোটাই প্রাচীন যে এর সঠিক নির্মাণকাল কেউ জানে না।
ইহা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ।
এই মসজিদের দেয়ালগুলো অনেক পুরু। দেয়ালগুলো প্রায় তিন ফুট পুরু।
এই মসজিদের গেইটটি ভূমিকম্পে একটু বাঁকা হয়ে যায় কিন্তু তার পরে এটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে
অনেকেই বলে এই মসজিদটি স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত তৈরি।এবং এক রাতেই সৃষ্টি হয়েছে
আবার অনেকে বলেন আগের আল্লাহ ওয়ালা লোকেরা এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন।
মসজিদের উত্তরপাশে একটি কওমি/হাফিজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে
এবং দক্ষিণ পাশে শাহ্ ইসমাইল গাজী রহঃ এর মাজার শরীফ রয়েছে।
তার পাশ্যে একটি বড় ঈদগাহ ময়দান রয়েছে।
মসজিদের সামনে একটি বড় পুকুর রয়েছে যার আয়তন প্রায় তিন বিঘা।
এই পুকুর কখনো পানিশূন্য হয়না এবং এর গভীরতা অনেক বেশি
পুকুরের চারপাশে গড় ছিল এখন সেটা প্রায় বিলুপ্তপ্রায়।
মসজিদের পাশে একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত
এখানে প্রতি শুক্রবারে অনেক দুর থেকে মানুষ নামাজ আদায় করতে আশে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।।
উল্লেখ্য যে এখানে এসে অনেক মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। মহান আল্লাহ তায়ালার কাউকে নিরাশ করেননা।
মসজিদটির অনুরুপ আশে পাশে কয়েকটি জায়গায় মসজিদ তৈরির নমুনা দেখা যায় কিন্তু কোথাও পুর্নাঙ্গ মসজিদ সৃষ্টি হয়নি শুধু গেটটি তৈরি হয়েছে।
এ থেকেই বোঝা যায় এটি মহান আল্লাহর পছন্দনীয় একটি জায়গা
এর আরও একটি কারণ আছে এখানে মহান আল্লাহর ওলির কবরস্থান অবস্থিত।
মসজিদের নামে প্রায় ৭২ বিঘা জমি রয়েছে,,
আগের জমিদার এবং সাধারণ মানুষরা মসজিদের নামে জমি দিয়ে দিয়েছিল।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে একটি আত্মসাৎকারী গোষ্ঠী লোভে পড়ে আল্লাহর ঘর মসজিদের জমি নেওয়া চেষ্টা করতেছে । এই নিয়ে আদালতে মামলা চলতেছে।
এসম্পর্কে পরবর্তী আর্টিকেলে লিখবো ইনশাআল্লাহ 😍
মসজিদটি সম্পর্কে কমেন্ট করুন 😍
ভালো লাগলে লাইক দিন এবং
আমাাে সাবস্ক্রাইব করুন 😍
মাশাল্লাহ, অপূর্ব। আল্লাহর সৃষ্টি সবকিছুই সুন্দর। আর মসজিদ তো আল্লাহর ঘর। তিনিই তার রক্ষা করবে। আমাদেরও একটা ষাট গম্বুজ মসজিদ আছে।