গল্পের নাম--------- HEART
একটি ১৯ বছরের মেয়ে
তার প্রেমিকের কাছে গিয়ে বলল,,,
মেয়ে: আমার ২০ তম জন্মদিনে তুমি আমাকে কি উপহার দিবে?
ছেলেটা মুচকি হেসে বললেন,,,
ছেলে: এখনও তো অনেক সময় আছে,আর সময় হলেই তুমি তোমার জন্মদিনের উপহার পেয়ে যাবে!
বেশ কিছুদিন যাবার পর,একদিন হঠাৎ করেই মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়! বাসার সবাই বেশ অস্থির হয়ে পড়ে! কিছুই বুঝে উঠতে পাচ্ছিলো না কেও,কি হয়েছে মেয়েটার?
তারপর সবাই মিলে তাকে
হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে ডাক্তার অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর,তার পরিবার কে বলল,,,সাদিয়ার হার্টে একটি ফুটো ধরা পড়েছে,এখন যদি খুব তাড়াতাড়ি হার্ট পরিবর্তন না করা যায়,তাহলে হয়তো সাদিয়াকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না!সবাই এই কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পরলো।সাদিয়ার মা বাবা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলনা। সাদিয়ার প্রেমিক আকাশ তার বিষয়ে ডাক্তার এর কাছে থেকে সব কিছু শুনে বলল এ কিছুতেই হতে দিবে না সে।
তারপর আকাশ মেয়েটির রুমে গেলো,দেখল তার ভালোবাসার মানুষটি বিছানায় শুয়ে আছে!
আকাশ কাছে যেতেই মেয়েটি বলল,মেয়ে: আকাশ আমি মনে হয় আর বাঁচব না!সাদিয়ার চোখের পানি মুছে দিলো আকাশ!
আর বলল,কে বলছে তুমি বাঁচবে না?তুমি খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবে।
মেয়ে: তুমি কি করে জানলে?
ডাক্তার তো বলেছে আমার হার্টে একটি ছিদ্র আছে,আর আমাকে
বাঁচানো সম্ভব না!আকাশ: ধুর পাগলী!তোমার কিচ্ছু হবে না
এভাবে বেশ কিছুদিন যাবার পর সাদিয়া সম্পুর্ন সুস্থ্য হয়ে উঠে এবং বাসায় ফিরে যায়!বাড়িতে ফিরেই সে আকাশ কে খুঁজতে থাকে!না পেয়ে,আকাশের
বাড়িতে চলে যায়।আকাশের বাড়িতে কেউ নেই,অবশেষে আকাশের ছোটো ভাই এর দেখা পেলো সাদিয়া!
সাদিয়া: কিরে তোমার ভাইয়া কোথায়?আকাশের ভাই কথা না
বলেই হাত দিয়ে ইশারা করে আকাশের রুমটি দেখিয়ে বলে উঠলো টেবিল এর উপরে আপনার
জন্য একটা চিরকুট রাখা
আছে!সাদিয়া কথাটা শুনে দৌড়ে
আকাশের রুমে গিয়ে চিরকুট হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করল!
প্রিয় তমা,আমি জানি
যেদিন তুমি এ চিরকুট পাবে,সেদিন তুমি সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে যাবে।সব কিছু
ঠিক হয়ে যাবে আগের মত করে।
যেমনটা আমি তোমাকে
বলেছিলাম।আমি বলেছিলাম না তোমার কিচ্ছু হবে না।দেখছ তাই হয়েছে। তুমি আমার কাছে তোমার ২০ তম জন্মদিনে উপহার
চেয়েছিলে না।অনেক ভেবেছি কিন্তু তোমাকে কি উপহার দিব ভেবে পাচ্ছিলাম না?যখন দেখলাম doctor তোমার জন্য heart খুজছে।তখন আমার heart টাই উপহার দিয়ে দিলাম
0
3
Written by
Kamrul16
Kamrul16
4 years ago
Written by
Kamrul16
Kamrul16
4 years ago