বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত

0 9
Avatar for Kamrul16
3 years ago

বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত

পর্বঃ ৪

এই পতিতা মেয়েটাকে আমার ছেলের জীবন থেকে সরাতে হলে যে করে হোক তামান্নার সাথে ওর বিয়েটা দিতে হবে কিন্তু কীভাবে...

সাঈদঃ ইসস আমি তো ভুলেই গেছিলাম তুমি এক ড্রেসে এসেছিলে এখন তোমার ড্রেস কই পাবো..

আদ্রিতাঃ থাক লাগবে না এটাই হবে...

আপনার রুমটা তো খুব সুন্দর..

সাঈদঃ হুম দেখতে হবে না কার রুম😇

রাত তো অনেক হয় গেলো এবার ঘুমাতে হবে না হলে কাল সকালে উঠতে দেরি হবে...

আদ্রিতাঃ আমি আপনার সাথে ঘুমাতে পারবো না

সাঈদঃ আমি কী বলছি আমার সাথে ঘুমাতে তুমি বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ো আমি সোফায় গিয়ে ঘুমাচ্ছি..

এর পর মেয়েটাকে বিছানায় শুয়েই দিয়ে গায়ে একটা চাদর ঢেকে দিলাম কেনো না রুমে এসি চলতেছে মাঝ রাতে ঠান্ডা লাগবে..

এর পর আমিও গিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়লাম

মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো মনে হচ্ছে বুকের উপর কোনো ভারি কিছু শুয়ে আছে .

ঠিক তখনি ভুত আত্মার কথা মনে গেলো তাহলে কী আমাকে কোনো ভুতে ধরেছে😗

না এবার দেখতে হচ্ছে

এর পর আমি যা দেখলাম তা তো বিশ্বাসি করতে পারছি আদ্রিতা আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে কিন্তু কেনো একটু বিষয়টাভাবাচ্ছে...

তখনি বাইরে বৃষ্টি পড়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম সাথে বজ্র পাতের তার মানে আদ্রিতা ভয় পেয়ে জরিয়ে ধরেছে যাক ভালোই লাগতেছে😁

এভাবে রাত কেটে দিনের আলো ফুটলো কিন্তু মেয়েটা কোথায় গেলো...

তাহলে কী ওটা স্বপ্ন ছিলো নাকি একবার বলবো থাক তখন খারাপ মনে করবে...

সাঈদঃ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আদ্রিতার জন্য কিছু নাস্তা নিয়ে আসলাম..

আদ্রিতাকে নিজের হাতে দিয়ে..

সাঈদঃ আমি একটু কাজে বাইরে যাচ্ছি আমি যতক্ষণ না বাড়ি আসছি তুমি রুম থেকে বেড় হবে না..

আদ্রিতাঃ হুম কিন্তু আমরা মার কাছে কখন যাবো

সাঈদঃ আমি আসলেই...

তার পর বাসা থেকে বেড় হয়ে গেলাম কিন্তু মেয়েটাকে একা রেখে যেতে কোথাও মন চাচ্ছে না তাই রাস্তা থেকে আবার গাড়িটা ঘুরিয়ে বাড়ির দিকে রাওনা দিলাম..

এর পর বাসায় এসে যা দেখতেছি তা বিশ্বাস এ হচ্ছে না যে আম্মু এমন করতে পারে..

মাঃ সাঈদ বাড়ি থেকে বেড়িয়েছে এটাই সুযোগ মেয়েটাকে তাড়ানোর..

মাঃ এই মেয়ে তোর লজ্জা করলো না একটা অবিবাহিত পর পুরুষের সাথে রাত কাটাতে তোর কী লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই ছিঃ তোদের মতো মেয়েদের জায়গা হলো পতিতালয়...

আদ্রিতাঃ কিছু বলতে পারছি না আর কোন মুখেই বা বলবো আমরা নিচু জাতির মানুষ সকলের কাছে অবহেলিত তাই চুপচাপ মাথা নিচু করে সব শুনে যাচ্ছি..

মাঃ কী হলো কথা মাথায় ডুকছে না এই মুহূর্তে বেড়িয়ে যা বাড়ি থেকে দেখে তো মনে হচ্ছে ফকিরানির মেয়ে...

সাঈদঃ বাশ মা অনেক বলে ফেলেছো..

মাঃ সাঈদ তো বাইরে গেছিলো কখন আসলো...

সাঈদঃ আমার তো তোমাকে আম্মু বলে ডাকতে ঘৃণা করছে তোমাকে না বলেছি আদ্রিতাকে কিছু বলবে না...

মাঃ কেনো বলবো না কী হয় মেয়েটা তোর..

সাঈদঃ আমার যেই হোক না কেনো তুমি আর একবার যদি আদ্রিতাকে কিছু বলো তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না..

কথাটা বলেই আদ্রিতাকে নিয়ে রুমে চলে আসলাম..

মাঃ সাঈদ তো এইরকম ছিলো না নিশ্চয়ই মেয়েটা কিছু খাইয়েছে আমার ছেলেটাকে ততখনি তামান্নার ফোন

তামান্নাঃ হ্যালো আন্টি কেমন আছেন..

মাঃ ভালো আর কই এই মেয়েটার জালায় বাচি না..

!

তামান্নাঃ আরে আন্টি এত টেনশন করলে তো শরীর খারাপ হবে..

।৷

মাঃ এই টেনশন যে মাথা থেকে নামতেই চাইছে না..

তামান্নাঃ আন্টি এই টেনশনটাই না যদি বেচে থাকে

মাঃ মানে

তামান্নাঃ আন্টি যদি মেয়েটাই না বেচে থাকে তাহলে তো সাঈদ আর মেয়েটার সাথে থাকবে কীভাবে

আমি বলি কী আপনি আজ রাতে সাঈদ আর মেয়েটার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন

আপনি যেহেতু ওর মা ও আপনাকে নিশ্চয়ই মাফ করে দিবে তার পর এক গ্লাস দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে মেয়েটাকে কোনো মতো খাইয়ে দিবেন বাশ কাজ শেষ..

মাঃ বাহ খুব সুন্দর বুদ্ধি তো...

।৷

সাঈদঃ আম্মুর কথায় কিছু মনে করিও না..

ওনি এমনি..

আদ্রিতাঃ না কিছু মনে করিনি...

তবে পৃথিবীতে যদি আপন বলতে কেউ না থাকে তাহলেই বুঝা যায় মানুষ কত নিষ্ঠুর..

সাঈদঃ কে বললো তোমার আপন জন বলতে কেউ নেই আমি তো আছি ( মেয়েটা খুব কষ্ট পেয়েছে কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না)

সাঈদঃ এই দেখো তোমার জন্য কত গুলে কাপড় নিয়ে এসেছি ( জামা গুলো বেড় করে)

আদ্রিতাঃ সত্যি এগুলো আমার জন্য ( জামা গুলো খুব সুন্দর ছিলো. 😍)

সাঈদঃ হুম একা পড়ে দেখাও তো আমাক তোমাকে কেমন লাগছে..

আদ্রিতাঃ কোনটা পড়বো..

সাঈদঃ এই নীল রং এর শাড়িটা আর সাথে মেচিং চুড়ি আর সাথে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিবা আমি বাইরে যাচ্ছি তুমি তায় রেডি হয়ে নাও...

এর পর আমি বাইরে বেড়িয়ে পড়লাম..

আদ্রিতাঃ মা আমাকে শাড়ি পড়ানো শিখিয়েছে তাই শাড়ি পড়তে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না নীল শাড়িটা পড়ে তার সাথে মেচিং চুড়ি দুল আর লিপস্টিক টা লাগিয়ে রেডি হয়ে নিলাম..

এর পর যখন নিজেকে আয়নায় নিজেকে দেখলাম তখন তো আমারি মনে হচ্ছিলো এটা কী সত্যিই আমি নাকি অন্য কেউ...

ভিতরে আসুন আমি রেডি..

সাঈদঃ রুমের ভিতরে যেতেই মনে হলো পুরো পৃথিবীটা থমকে গেছে আদ্রিতাকে এতটাই সুন্দর দেখাচ্ছিলো যে সেট বলে প্রকাশ করতে পারবো...

এত সুন্দর মেয়ে আমি কখনো দেখি নি আর কখনো কল্পনাও করতে পারি না এমন সুন্দর একটা মেয়ে আমার লাইফ এ আসবে...

আদ্রিতাঃ ওমন ভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো মুখে তো মশা ডুকে যাবে..

সাঈদঃ আদ্রিতার কথায় ঘোর ভাঙ্গলো না মানে এমনি...

আদ্রিতাঃ আপনিই প্রথম পুরুষ যে আমাকে প্রথম দেখেছেন তাছাড়া মা ছাড়া আমাকে আর কেউ এই দুনিয়ার দেখে নি..

সাঈদঃ হুম তাই তো তুমি এত সুন্দর...

আচ্ছা আজ চলো না কোথাও থেকে ঘুরে আসি..

আদ্রিতাঃ না না আমি কোথাও যাবো না আমার ভয় করে..

সাঈদঃ আর এ ভয় কীসের আমি আছি তো..

আদ্রিতাঃ না তবুও আজ নয় কাল যাবো..

সাঈদঃ আচ্ছা..

এর পর সারাটা দিন আদ্রিতার সাথে গল্প করেই কাটিয়ে দিলাম রাতে এ..

মাঃ যাই গিয়ে ক্ষমা চেয়ে. নিয়ে আসি.

মাঃ সাঈদ আমাকে মাফ করে সাথে তুমিও ( মানে আদ্রিতা) ..

সাঈদঃ হঠাৎ আম্মুর আবার কী হলো..

মাঃ আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দেয়..

আদ্রিতাঃ ওনি যখন ওনার ভুল বুঝতে পেরেছে তখন ওনাকে মাফ করে দেন..

সাঈদঃ হুম মাফ করে দিলাম..

মাঃ সত্যি তো..

সাঈদঃ হুম

মাঃ তোদের জন্য খাবার নিয়ে আসতেছি তোরা বস..

আদ্রিতাঃ থাক লাগবে না..

মাঃ বলেই হলো আমি নিয়ে আসতেছি..

সাঈদঃ এর পর মা খাবার নিয়ে আসলো তার পর মা নিজের হাতে আদ্রিতাকে খাইয়ে দিলো বুঝতে ছি না মা এতটা বদলে গেলো কীভাবে...

মাঃ খাওয়া শেষ তোরা বস আমি দুধ নিয়ে আসি বলেই নিচে চলে আসলাম..

এর পর মেয়েটার গ্লাসে বিষ মিশিয়ে দিলাম

আজ বুঝবে কত ধানের কত চাল..

মাঃ এই নে দুধ..

আদ্রিতাঃ আমি খাবো না..

মাঃ এটা বললে হয় আমি তো তোমার মায়ের মতো আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছি খাবে না তুমি..

আদ্রিতাঃ না খেয়ে আর পারলাম না ওনি খাইয়ে দিয়ে চলে গেলেন

তার কিছু খন পর মাথাটা কেমন যানি করছে চোখ গুলে ঝাপসা ঝাপসা লাগছে..

হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে গেলাম..

।।

সাঈদঃ এটা কীসের আওয়াজ রুমে যেতেই আদ্রিতা...

মাটিতে পড়ে গিয়েছে মুখ থেকে সাদা সাদা ফেনা বেড় হচ্ছে তার মানে মা কিছু খাবারের সাথে খাইয়েছে ..

আদ্রিতা কথা বলো কী হলো তোমার এই তো মেয়েটা ঠিক ছিলো আদ্রিতা কথা বলো প্লিজ....

চলবে

1
$ 0.00
Avatar for Kamrul16
3 years ago

Comments