#আলোয়_অন্ধকার🍁
#part 4
-- ছাড়ুন আমাকে!! একদম ট্যাচ করবেন না। কোথায় নিয়ে এসেছেন আমায়?? যেতে দিন প্লিজ... প্লিজ। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখানে আমি বাইরে যাবো প্লিজ!
-- কাম ডাউন মিস আমি ধরছিনা তোমায়! কাম ডাউন!
.
কথাটা বলে ডেনিয়াল ট্রাউজার এর পকেটে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত পুরে দাড়িয়ে থাকে টিয়ার সামনে। টিয়া বেডের এক কোণায় গুটিসুটি মেরে বসে ঠায় প্রলাপ করছে সে বাড়ী যাবে৷ ডেনিয়ালের যদিও কষে একটা থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে করছে টিয়াকে। কিন্তু সে কেনো জেনো একটা ধমক ও দিতে পারছেনা টিয়াকে৷আর টিয়া কে ট্যাচ ও করা যাচ্ছে না। এবার ডেনিয়াল এর বিরক্তি লাগছে প্রায় আধাঘণ্টা যাবত টিয়া এসব বলছে আর অস্থির হয়ে বলছে আমি বাইরে যাবো আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখানে......
.
একটু আগে....
টিয়া কে আমেরিকা নিয়ে এসেছে শুনার পর থেকেই টিয়া অস্থির হয়ে আছে সে কিছুতেই শান্ত হতে পারছিলো না। চিৎকার করে কাদছিলো টিয়া৷ লেডি সার্ভেন্ট অবস্থা বেগতির দেখে ডেনিয়াল কে ডেকে আনে। আর ডেনিয়ালকে দেখে টিয়ার পাগলামো আরো বেরে যায়৷ সেই থেকে আধাঘন্টা হবে দাড়িয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছে ডেনিয়াল টিয়া কে।
.
-- টিয়া আই সেইড লাস্ট টাইম কেদে লাভ নেই!!
-- আমি বাড়ী যাবো প্লিজ... এখুনি দিয়ে আসুন আমায়!!
.
টিয়া অস্থির হয়ে এবার উঠে দাড়ায় ডেনিয়াল কে অগ্রাহ্য করে । আর দৌড়ে দরজা খুলে বাইরে বেরুতে চেষ্টা করে। কিন্তু ডেনিয়াল টিয়ার এই কাজে এবার প্রচুর রেগে টিয়া রুম থেকে বেরুবার আগেই ওকে পিছন থেকে হুট করেই কোলে তুলে নেয়। টিয়া ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠে।কিন্তু যখন দেখে ডেনিয়াল তাকে কোলে তুলে নিয়েছে টিয়া রেগে চিৎকার করে বলে উঠে।
.
-- কি করছেন ছাড়ুন আমি চলে যাবো!!! নামান আমাকে! সাহস কি করে হয় আমায় ট্যাচ করার ছাড়ুন বলছি !!
.
ডেনিয়াল টিয়ার কথা রেগে যায়। ভেবেই এই টুকুনি মেয়ে তাকে সাহস দেখাচ্ছে। ডেনিয়াল চায়নি টিয়ার সাথে ব্যবহার খারাপ করতে। কিন্তু টিয়ার কথায় সে নিজের রাগ ধরে রাখতে পারেনা চেচিয়ে উঠে।
.
-- জাস্ট শাট আপ আই সে!! না হয় আমার সাহস কতুটুকু দেখাতে বাধ্য হবো তোমাকে!!
.
টিয়া ডেনিয়াল এর ধমক মার্কা কথায় ভয়ে চুপ মেরে গেলো মাথা নুইয়ে পড়ে রইলো ডেনিয়াল এর কোলে!! ডেনিয়াল রেগে টিয়াকে কোলে নিয়েই ধুপধাপ পা ফেলে। নিচে নেমে বাড়ীর পিছনে সুইমিংপুল এরিয়ায় এসে সুইমিংপুলে এক প্রকার ঢিল মিরে টিয়াকে ফেলে দিলো পানিতে৷ টিয়া মাথা নুইয়ে রাখায় দেখতে পায়নি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তাকে। কিন্তু এভাবে হঠাৎ পানিতে পড়ায় টিয়া হকচকিয়ে গেলো৷ আচমকা পানিতে পড়ায় কিছু পানি সাথে সাথেই মুখে চলে গেলো টিয়ার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে টিয়ার। হাত পা ছুড়াছুড়ি করে বহু কষ্টে টিয়া নিজেই সুইমিংপুল এর সাইডে উঠে এসে বসে কাপতে লাগলো৷ প্রচুর ঠাণ্ডা পানি সুইমিংপুল এর টিয়ার হাত মনে হচ্ছে ঠাণ্ডায় বরফ এ পরিনত হয়ে গেছে৷ কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই টিয়ার। সে বসে আছে চুপ করে শরীরটা না চাইতেও কাপছে।চোখের পানি গুলো মিলিয়ে যাচ্ছে শরীরের পানির সাথে। চারপাশ অন্ধকার চাদের আলোয় সুইমিংপুল এর পানি চিকচিক করছে তাছাড়া আর কিছুই টিয়া দেখতে পেলোনা দেখার ইচ্ছেটাও নেই।টিয়া সুইমিংপুল এর দিকেই তাকিয়ে একদৃষ্টিতে টিয়ার মাথা টা শূন্য শূন্য লাগছে। মনে ভয় ছাড়া কিছু কাজ করছেনা। বার বার একটা কথাই ভাবছে টিয়া।
.
-- আমি বাড়ী কি করে যাবো স্তব্ধ ?? স্তব্ধ তোমার কি কিচ্ছু যায় আশেনা আমি কোথায় কি অবস্থায় আছি?? তা কি তুমি এক্টু ও ভাবোনা?? আমি জানি না তুমি কে?? কি তোমার পরিচয়!! বাট এতো সব যখন হয়েই গেছে আমার সাথে তো আমি তোমার পরিচয় জেনেই ছাড়বো!!জেনেই ছাড়ব কেনো মেরেছো তুমি ঐ ছেলেকে? জেনেই ছাড়বো কেনো এলে এই বিয়ের ড্রামা করতে!! আচ্ছা তুমি কি সব জানতে স্তব্ধ ওরা তোমার ওয়াইফ কে কিডনাপ করতে আসবে তাই তুমি আমায় বিয়ে করেছো। জেনো ওরা তোমার ওয়াইফ ভেবে আমাকে কিডনাপ করে?? কই পাবো আমি সব কিছুর উত্তর?? কে দিবে উত্তর আমায় স্তব্ধ?? কিন্তু আমি কি তার কাছে আর কখনো বেচে ফিরতে পারবো?? আমার মারার জন্য তো বিয়েই করলো ড্রামা করে! আমি কখনো ক্ষমা করবোনা তোমায় স্তব্ধ কখনো না!! আমার সাথে হওয়া সব কিছুর জন্য তুমি দায়ী তুমি।
.
কথা গুলো ভেবেই টিয়া হ্যাচকি তুলে কাদতে লাগলো শব্দ করে৷
ডেনিয়াল টিয়াকে ফেলে দিয়ে রেগে চলে যায় নি দাড়িয়ে ছিলো টিয়ার থেকে কিছুদূর টিয়াকে লেডি সার্ভেন্ট একটা হোয়াট শার্ট আর ট্রাউজার পরিয়ে দিয়েছিলো। সাদা শার্ট ভিজে যাওয়ায় টিয়ার শরীরের ভাজ চাদের আলোয় আর সুইমিংপুল এর হাল্কা লাইটিং এর আলোয় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলো ডেনিয়াল। ঘোর লেগে যাচ্ছিলো ডেনিয়ালের টিয়ার ভেজা খোলা চুল কান্নার ফলস্বরূপ ফোলা চোখ, লাল হয়ে যাওয়া নাক, রক্ত লাল হয়ে যাওয়া ঠোঁট সব কিছু ডেনিয়ালকে আহত করছিলো এক প্রকার তাই। সে নিজের সাথে যুদ্ধ করে অন্য দিকে ফিরে দাড়িয়ে রয়। এভাবে কাউকে দেখা ঠিক নয় সেটা ডেনিয়ালের অজানা নয় । কিন্তু চোখ বেহায়া টিয়ার উপর থেকে সরতেই চাইছিলোনা যুদ্ধ করেই কাজ টা করে ডেনিয়াল। তার এখন টিয়ার প্রতি দুর্বল হলে চলবেনা সব জানতে হবে টিয়ার থেকে স্তব্ধের ব্যাপারে তার কঠোর হতে হবে টিয়ার সাথে।
.
অন্য দিকে তাকিয়ে নিজের মাইন্ডে ডেনিয়াল যখন এসব সেট করতে ব্যস্ত তখন তার কানে টিয়ার কান্নার শব্দ আসে। সে পিছন ফিরে দেখে টিয়া দুই হাতে মুখ ধরে কাদছে। ডেনিয়াল দ্রুত একটা টাওয়াল হাতে নিয়ে টিয়ার পাশে গিয়ে বসে পানিতে দুই পা ডুবিয়ে। তারপর টিয়ার শরীর টাওয়াল টা দিয়ে ঢেকে দিয়ে সামনে তাকিয়ে বসে উঠে!!
.
-- তোমার ক্ষতি করার চিন্তা এখনো করিনি......
.
টিয়া তার চিন্তা আর কান্নায় এতোটাই বিভোর ছিলো সে ডেনিয়ালকে খেয়াল করেনি। ডেনিয়াল এর হঠাৎ কথা বলায়। টিয়া ভয়ে পাশে তাকাতেই ডেনিয়ালকে দেখে দুই হাত দূরে চলে যায়। টিয়ার এই কাজে ডেনিয়াল তার কথা সম্পূর্ন করতে পারেনি তাই রেগে টিয়ার হাত ধরে হ্যাচকা টানে আগের জায়ায় বসায়। কিন্তু টিয়ার হাত ছাড়েনি। টিয়া নিজের হাত ছুটানো জন্য চেষ্টা করতেই। ডেনিয়াল ক্ষিপ্তস্বরে বলে উঠে।
.
-- মিস টিয়া আমি তোমার খারাপ করি বা ভালো কোনও টাই তোমার জন্য ভালো হবেনা তাই চুপচাপ বসে থাকো।
.
টিয়া কাদতে কাদতে বললো।
.
-- প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন। আমি বাড়ী যাবো!
-- ফাইন। আমি নিজেই দিয়ে আসবো। কিন্তু তার আগে তোমায় বলতে হবে স্তব্ধকে? কোথায় থাকে? কি তার প্রফেশন? আমি তাকে শেষ করতে চাই নিজ হাতে? যেদিন এই কাজ সম্পূর্ণ হবে আমি ছেড়ে দিবো তোমায়! যদি না আমার মাইন্ড চেঞ্জ হয়৷ আর যদি চেঞ্জ হয়ে যায় তোমায় আমার সাথেই থাকতে হবে!!
.
টিয়া ঠাণ্ডা পানিতে ভিজায় এমনি কাপছিলো। কিন্তু ডেনিয়ালের বলা কথা টিয়ার কাপাকাপি বেরে গেলো। টিয়ার মাথায় ডেনিয়ালের বলা একটা কথাই ঘুরছে। "আমি তাকে নিজ হাতে শেষ করতে চাই! " না টিয়া এটা কিছুতেই চায় বা স্তব্ধকে কেউ মেরে ফেলুক তাই। টিয়া এবার ডেনিয়াল এর চোখে চোখ রেখে কাঁপা কাঁপা গলায় উত্তর দিলো।
.
-- দেখুন আমি কিছুই জানিনা স্তব্ধ কে কি করে আমি সেটা নিজেই জানতে চাই। আমি শুধু স্তব্ধকে ভালোবাসতাম আর কিছু নয়!! ওর সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই এটা ছাড়া স্তব্ধ খুব রাগী বদমেজাজি।
.
ডেনিয়াল টিয়ার দিকে কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে টিয়ার কথা শুনে। তারপর টিয়ার হাত ছেড়ে উঠে গটগট করে হেটে ভেতরে চলে যায় টিয়াকে ওখানে ফেলেই৷ টিয়ার কাপাকাপি অবস্থা ডেনিয়ালকে পাগল করছিলো আর কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে সে কিছু করে বসতো যা টিয়া মানতে পারতো না। তাছাড়া টিয়ার উত্তর টাও তার পছন্দ হয়নি তাই সেখান থেকে চলে আসাই শ্রেয় মনে হয়েছে ডেনিয়ালের।
.
এদিকে টিয়া ভাবছে সবাই এটাই জানতে কেনো চায় স্তব্ধ কে কি তার পরিচয়?? টিয়াও তো তাই জানতে চায়! কিন্তু তার জানতে চাওয়ার কারণ ছিলো সে ভয়ংকর একটা রূপ দেখেছিলো স্তব্ধ ওর। স্তব্ধ এর যে এমন একটা রূপ আছে সেটা কল্পনার বাহিরে ছিলো টিয়ার। সে দিন এর দৃশ্য টিয়া কোনও দিন ভুলতে পারবেনা। টিয়া অতীতে ডুব দিলো! তার মনে পরতে লাগলো সেই দিনটার কথা।
.
.
আজ থেকে প্রায় ৩ বছর আগের কথা৷ দিন বার মনে নেই টিয়ার কিন্তু বর্ষাকাল ছিলো টিয়া ভার্সিটি যাওয়ার আগেই আকাশ অনেক খারাপ ছিলো তাও সে ভার্সিটি যায়।
.
অভ্যাস মত ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরছিলো টিয়া। ঐদিন ভার্সিটি থেকে একা ফিরতে হয়েছিলো টিয়ার কারণ বৃষ্টি ছিলো প্রচুর তাই পিউ যেতে পারেনি ভার্সিটি। প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাঘাটে মানুষ নেই বললেই চলে আরো দুপুর বেলা মানুষ অত বাইরে থাকেনা। বৃষ্টির জিন্য রিকশা না পাওয়া টিয়া হেটে হেটে বাসার পথে যাচ্ছিলো।
.
টিয়া ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই একটা কালো গাড়ী তাকে ফলো করছিলো বুঝতে পারে টিয়া কিন্তু পাত্তা দেয় না। কারণ তার মত সাধারণ মেয়েকে কে গাড়ী নিয়ে ফলো করবে?? খেয়ে কাজ নেই নাকি? আর যদি কোনও গাড়ী ওলা তাকে ফলো করতোই তবে তার বিপদে হ্যাল্প করতো নিশ্চিয়!! এই যে সে বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে বাড়ী যাচ্ছে তাকে ড্রপ করে দেওয়ার কথাও তো বলতে পারতো কই এমন কিছুই হয়নি!
.
তার মানে তাকে ফলো করছেনা গাড়ী ওলা। টিয়ার ভাবনা টা এমনি ছিলো!! আর এমনিতেও ভার্সিটির ছেলেপেলে ও কেনো জেনো ইদানীং টিয়ার থেকে দূরে থাকে। বিষয় টা টিয়া বুঝলেও কারণ অজানা। এসব ভাবতে ভাবতেই টিয়া হেলে দুলে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তাদের গলির মোড় এর আগ পর্যন্ত চলে আসে৷
.
মেইন রোড থেকে গলিতে ঢুকে ৪ নাম্বার বাড়ীটাই তাদের। কিন্তু গলিতে ঢুকার আগে একটা দোকান পড়ে টিয়া দোকান ক্রস করবে। তখনি দোকানের ভেতরে থাকা কিছু বখাটে ছেলেদের পাল্লায় পড়ে টিয়া তারা টিয়ার যাওয়ার পথে বাধা দিয়ে দাড়ায়।টিয়া ছেলে গুলোকে আগে থেকে চিনে। তাকে প্রচুর ডিস্টার্ব করে এই ছেলেগুলোর মধ্যে মাহিন নাম করে একটা ছেলে।
.
টিয়া ভয়ে তার বাবাকে বলেনা এসব কথা তাহলে তার ভার্সিটি যাওয়ার ব্যান্ড বাজিয়ে দিবে তার বাবা। তাই টিয়া চুপচাপ সব সহ্য করে যায় ছেলে গুলোর অসভ্যতা ৷
.
আর তাতেই ছেলে গুলো আজ রাস্তা খালি পেয়ে লিমিট ক্রস করে টিয়ার হাত ধরে বসে। মাহিন নামের ছেলেটা। হাত ধরায় এবার টিয়া রেগে যায় চেচিয়ে বলে উঠে।
.
-- ছাড় আমার হাত!
.
মাহিন নামের ছেলেটা বলে উঠে।
.
-- না ছাড়লে কি করবে বেবি??
-- ছাড় বলছি অসভ্য আমি বিচার দেবো তোর নামে অসভ্য কোথাকার ছাড় বলছি!!
-- ছাড়বো না কি করবা কর দেখি?
.
মাহিনের কথায় বাকি ছেলে গুলো হাসতে লাগলো। টিয়া
অনেক বলার পরে ও ছেলেটা টিয়ার হাত ছাড়ছেনা দেখে টিয়া গায়ের জোরে ছেলেটা কে দুহাতে ধাক্কা মারে ফলে ছেলেটা রাস্তার মধ্যে পড়ে যায়!! আর সাথে সাথে টিয়া দেখতে পায় তাকে ফলো করা কালো গাড়ী টা মাহিন নামের ছেলেটাকে পিষে চলে যাচ্ছে। টিয়া ঐদিন গাড়ীর দিকে তাকালে দেখতে পায় গাড়ীটা স্তব্ধ ড্রাইভ করছিলো সে গাড়ী টা দ্রুত চলে যাওয়ার মধ্যেও স্তব্ধকে চিন্তে ভুল করেনি। যাকে ১ বছর ধরে টিয়া খুজছিলো তাকে ইচ্ছা বসতো একটা ছেলের উপর দিয়ে গাড়ী চালিয়ে চলে যেতে দেখে আর মাহিনের রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকতে দেখে সাথে সাথেই জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় টিয়া। এই ঘটনা এতো দ্রুত ঘটে যে মাহিনের সাথে দাড়ানো ছেলে গুলো ও কিছু বুঝতে পারেনা। ভয়ে টিয়া মাহিনেকে ফেলেই তারা পালিয়ে যায়।
.
.
চলবে!
[মনে রাখবেন একটা গল্পে কোনকিছুই অকারণে লিখা হয়না। প্রত্যয় নাম আমি গল্পে এনেছি সে কে সেটা গল্পে বলা তো হবেই তাই না?? গল্প তো আর শেষ হয়ে যাচ্ছেনা৷ ধৈর্য ধরুন আমি মাত্র গল্প শুরু করেছি সঠিক সময়ে সব জানতে পারবেন। এই কথা গুলো সবার জন্য নয় ঐ ১০% পাঠকের জন্য যারা আমার গল্পটা বুঝতে পারছেনা। ধন্যবাদ ❤]
0
1
শিরোনামটি সুন্দর। দুইটা কথা বলতে চাই, জীবনের দুইটা দিকই রয়েছে। অন্ধকারের অপর পিঠই আলো। আমাদের জীবনে অন্ধকারে দিনগুলো দ্রুত শেষ হয়ে আলো জ্বলে উঠুক, এটাই প্রার্থনা।