ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলিম উম্মাহর এক শ্রেষ্ঠ উৎসব। জাহেলিয়াতের কুহক ধূলিসাৎ করে সত্য প্রতিষ্ঠায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দিন এ ধরাধামে আগমন করেন, সে দিনই ঈদে মিলাদুন্নবী তথা নবী করীম (সাঃ)- এর জন্ম তারিখ। এ তারিখে মুসলমানগণ নবী করীম (সাঃ) এর ওপর দরূদ পাঠের মধ্য দিয়ে যে উদ্দীপনামূলক অনুষ্ঠান করে তাই "ঈদে মিলাদুন্নবী"।
কবির ভাষায়/গানের ভাষায়,
" ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়,
আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়"।
ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলমানদের মাঝে এক অসীম প্রেরণা সৃষ্টি করে। এ দিনে মুসলিম উম্মাহ নব উৎসাহ-উউদ্দীপনায় জেগে ওঠে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পৃথিবীতে আগমন করলেন মানুষকে অঅন্ধকারের অমানিশা থেকে মুক্ত করতে। তিনি ঐশী বাণী ও স্বীয় চরিত্র মাধুর্যবলে এক স্বর্গীয় সুনালী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাসের পটভূমিকায় এ মহামানবের জন্মদিন সমগ্র মানব সত্তার জন্যে এক অসীম প্রেরণা।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মুসলিম মিল্লাতে নবচেতনা জাগ্রত করে। এর মাধ্যমে মুসলিমগণ রাসূল (সাঃ) এর জীবনবৃত্তান্ত জানার চেষ্টা করে। দীর্ঘ এক বছর পর ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মাঝে আসে, আসে নতুন প্রেরণা নিয়ে। এ প্রেরণাই আমাদের কৌতুহল বাড়িয়ে দেয়। আমরা নতুনভাবে নবী জীবনের অনেক কিছু জানতে এবং তা প্রচার করতে পারি।
সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী হিসেবে মহান রাব্বুল আলামীন মহানবী (সাঃ) কে প্রেরণ করে দ্বীনের পূর্ণতা সাধন করেছেন। প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলিম মিল্লাতে নবী প্রেমের প্রেরণাসহ মহাসমারোহে উপস্থিত হয়। এ দিনে মুসলমানদগণ নব চেতনা লাভ করে। মূলত এটা মুসলমানদের একটা সাংস্কৃতিক ধারা, ঐতিহ্যের ধারাবাহিক লালন।
ঈদে মিলাদুন্নবী জাতীয় জীবনেে এক সূদুরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। জাতীয় নিয়মতান্ত্রিকতায় একই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খোদাপ্রেমে উৎসাহীী হয়ে মানুষ তাওহীদী প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়। ঈদে মিলাদুন্নবীর মাধ্যমে আমরা নবী জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা করতে পারি, জানতে পারি নবী করীম (সাঃ) এর দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা ও শিক্ষনীয় দিকগুলো।
আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এদিন সরকারি ছুটির দিন। এদিনে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন স্থানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবী ইসলামী কৃষ্টি-কালচার সমৃদ্ধ এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এর প্রভাব মুসলিম মিল্লাতের ওপর সুদূরপ্রসারী। ঈদে মিলাদুন্নবী তথা ১২ই রবিউল আউয়াল মুসলিম মিল্লাতের জন্য অসীম প্রেরণার উৎস। আমাদের জীবনের এক পরম পাথেয়।
চলো একবার একসাথে গাই,
"ঈদে মিলাদুন্নবী, আজ মিলাদুন্নবী
এলেন ধরায় মুক্তি নিয়ে পিয়ারা নবী,
ঈদে মিলাদুন্নবী, আজ মিলাদুন্নবী"।
আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ সম্ভবত। সবাইকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এর অগ্রিম শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম।
আল্লাহ হাফেজ।
Wonderful...good article.