বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। বর্তমান সময়ে অভিভাবকরা আগের চেয়ে যেকোনো বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। বিশেষ করে শিশুদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে বর্তমানের অভিভাবকরা অনেক অনেক বেশি সচেতন। তারা তাদের সন্তানের শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন কমতি রাখেনা। বাসায় দুই/তিনটা হোম টিউটর, তার উপর আবার কোচিং আর অভিভাবকদের নিয়মমাফিক গাইডলাইন তো আছেই। সব অভিভাবকদেরই একটাই প্রত্যাশা আর তা হলো তাদের সন্তানকে পরীক্ষায় টপার হতে হবে যেকোনো কম্পিটিশন এ ফার্স্ট হতে হবে। তাদের এই চাওয়া তে আমার কোন আপত্তি নেই। যেকোনো পিতা-মাতা এটাই চাই তাদের সন্তান পরীক্ষায় টপার হোক, যে কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম হোক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা তাদের সন্তানকে দিনের অধিকাংশ সময় তাদের পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত রাখবে,তাদের খেলাধুলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। যদিও বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই এমনটাই করে বিশেষ করে বলতে গেলে যারা শহরে থাকে। অভিভাবকরা মনে করছে তারা তাদের সন্তানকে যথেষ্ট শিক্ষিত করছে।তাদের সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করছেন। হ্যাঁ এটা ঠিক তারা তাদের সন্তানকে শিক্ষিত করছেন ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষে পরিণত করছেন। এক কথায় তারা তাদের সন্তানের সৃজনশীল প্রতিভাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন নিজের অজান্তেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই ধরনের সন্তানগুলো যখন পারিবারিক শিকল থেকে সামান্য মুক্ত হয় তখন তারা লাগামহিনভাবে ছোটাছুটি করে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের জীবনের জন্য ভুল পথ বেছে নেয়। আমার মতে বর্তমানে অভিভাবকদের তাদের শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য যা যা দরকার তা তা করা উচিত। এমন নয় যে তাদেরকে পড়ালেখা করতে বারণ করছি।শুধু বলতেছি তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য যে সময়টুকু তাদের দরকার সে সময়টুকু তাদেরকে দিন।
আপনার সন্তানকে কিভাবে মানুষ করবেন সেটা আপনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে আমি হস্তক্ষেপ করতেছি না। আমি শুধু আমার মতামত প্রকাশ করলাম। আমার মতামত কারো পছন্দ না হলে এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সময়োপযোগী নতুন ধারার লিখা😍।