"গল্পটা ভালোবাসার"
রাস্তায় হাটতে হাটতে হঠাৎ মনে হলো মানুষ রুপের একটা পরি আমার সামনে দিয়ে হাত ইশাড়ায় রিক্সা দাড় করাচ্ছে।দেখেই আমি হাটতে শুরু করি রিক্সার পেছন পেছন ডাক দেয়ার মতো কোনো শব্দ গলা থেকে যেন বের হচ্ছে না।সে আর পাঁচটা মেয়ের মতো জিন্স নয় খুব সাধারন একটা থ্রিপিচ পরে আছে বেশি হলে দাম হবে ৩০০-৪০০টাকা চোখে তার লেপটে দেয়া কাজল। রিক্সার পেছন পেছন দৌড়াতে দৌড়াতে এক সময় রিক্সা থামিয়ে সে একটা নদীর কাছে নামলো আমি বুঝতে পারলাম নদীর পাশের বাড়িটা তার।অনেক কষ্ট করে বন্ধুদের দিয়ে শিওর হলাম।রোজ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে তার বাড়ির সামনে দাড়াতাম সে কখন বের হয় দেখার জন্য।অবশেষে জানলাম সে সকাল ৯টায় বের হয় বিকেল ৫টায় বাসায় ফিরে।যে ছেলে ঘুম ভাঙ্গতো বেলা ১২টার পরে আজ সেই আমি ৭টায় উঠে খেয়ে না খেয়ে ৯টার আগে তার বাসার সামনে উপস্থিত থাকি।তাকে দেখলে ক্ষুদা নামক জিনিস টা আর থাকে নাহ।সে কলেজ শুরু হওয়ার আগে ২টা টিউশন করে আর কলেজ ছুটির পরে ২টা টিউশন করে।তার পেছন ঘুরতে ঘুরতে ৬মাস কেটে গেছে আজ ও তার নাম টা জানতে পারিনি।তবে হ্যা এটা শিওর হয়ে গেছি সে কোনো রিলেশন করে নাহ।কেনোনা এই ৬ মাস এ ঘুড়তে যাওয়া তো দূরে থাক কারো সাথে ১মিনিট কথা বলতেও দেখিনি।ফোন ব্যবহার করে নাহ খোজ নিয়ে দেখেছি।৬ মাস কেটে গেলেও কাছে গিয়ে কথা বলা তো অনেক দূন নামটাও জিগ্গেস করার সাহস হয়নি।তবে হ্যা আজ ঠিক করেই ফেলেছি নাম।জিগ্গেস করবো। ভোর টায় উঠে সার্ট পাল্টাতে পাল্টাতেই ৭টা বাজিয়ে ফেলছি। ৭টা২৩ এ আমি রওনা হলাম।ওর বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি এমন সময় ও বাসা থেকে বের হয়।হোলাপি রং এর একটা থ্রিপিচ পরা আজ ওকে রোজকার থেকে একটু বেশি সুন্দর লাগছে এমনিতেও অনেক সুন্দর ও। রিক্সায় উঠবে এমন সময় আমি ওকে ডাক দিলাম এই যে সুনছেন,ও জবাব এ বললো জি বলেন।আমি বললাম আমি কি আপনার নাম জানতে পারি ??? ও বললো কেনো?আমি ভয় ভয় বললাম। জি মানে এমনি।সে রিক্সায় উঠে মুচকি হেসে বললো আমার নাম পায়েল। ও যেমন সুন্দর ওর নামটাও ঠিক ততোটাই সুন্দর।ওর পেছনে আরও অনেক দিন ঘুড়তে ঘুরতে হঠাত একদিন এক গুচ্ছো ফুল হাতে নিয়ে মাঝ রাস্তায়। হাটু গেরে বসে বললাম আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি পিলিজ তুমি আমায় ফিরিয়ে দিও নাজ।ও কিছু নাহ বলে চলে গেলো।কয় এক দিন যাবত ওর বাসার সামনে গিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকি কিন্তু ওকে দেখতে পাইনাহ।প্রতিদিন এর মতোই সে দিন ও দাড়িয়ে আছি হঠাৎই বৃস্টি শুরু হয় আমি জেদ করে তাও দাড়িয়ে আছি এমন সময় ও এসে কাদতে কাদতে আমায় জড়িয়ে ধোরে বলে আমি তোমায় ভালোবাসি।কথাটা বলেই ও পড়ে যায়।কপলে হাত দিয়ে দেখি অনেক জ্বড়।কিছু না ভেবেই একটা সিএনজি ডেকে হসপিটাল এ নিয়ে যাই। পরদিন সকালে খোজ নিয়ে জানতে পারি ওর বাসায় সৎ মা ওকে খুব মারধোর করে।ওর বাবা নেই।ওর পড়াশোনার জন্য ও টিউশনি করে,এমন কনো দিন নেই যে মার খায় নাহ।হসপিটালে গেলাম দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে দেখি ও ঘুমিয়ে আছে হঠাৎ ও হাতের দিকে চোক পরলো প্রতিটা আঘাত এর দাগ এখোনো ওর শরির এ স্পষ্ঠ দেখা যাচ্ছে।বাইড়ে গিয়ে কিছু ফল আর খাবার কিনে নিয়ে ওকে খাইয়ে আমি বাসায় চলে যাই।মা বাবা সবাইকে সবটা খুলে বলি মা বাবা রাজি হয় নাহ কারন আমি তাদের একমাত্র ছেলে সবাই চায় একটা ভালো ঘড়ের মেয়ে তার ছেলের বউ হোক।কোনো কথাই শুনছে নাহ তারা।আমি চাইনা পায়েল আর তার সৎ মায়ের কাছে যাক।আমি মা বাবা কে আবার ও ডেকে এক জায়গা বসে বুঝাই পায়ে পরি তাও রাজি না হওয়াতে আমি বলি তোমরা কি চাও তোমার ছেলে সুখি হকো নাকি বিয়ে করে অসুখি হোক মা বাবা চুপ হয়ে গেলো।আমি আর কথা না বাড়িয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই।৩দিন পর বাসায় এসে শুনি আমার বিয়ে ঠিক করেছে।আমি রাজি না মা অবশেষ এ তার মরা মুখ দেখবো কছম দিয়ে বিয়েতে রাজি করিয়েছে।ঐ দিকে পায়েল এর ও আজ ৩-৪ দিন যাবত দেখা নেই খোজ নেই।বিয়ে করে ফেললাম মা বাবার কথা শুনে।বাসর ঘড় থেকে বালিসটা নিয়ে বের হবো এমন সময় আমার পায়ে সালাম। দিয়ে বললো আজ আমায় কিছু দিবেন না।কন্ঠটা চেনা লাগা সত্তেও বললাম আমার সবটা জুড়ে একজন ই আছে সে উঠে দাড়ায় তাকে দেখে মনে হয়েছিলো দুনিয়ার সব সুখ যেন আমার হাতের মুঠোয়।মা বাবার থেকে জানতে পারলাম আমি বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে তারা হসপিটাল থেকে পায়ের কে নিয়ে আসে আর আমাকে চমকানোর জন্য জানায় নাহ।আজ পায়েল আমার বউ ওকে সুখে রাখার দায়িত্ব আমার।ও যতোটা কষ্ট পেয়েছে চেষ্টা করবো সবটা মুছে দেয়ার।
8
37
Nice post broo