Join 53,987 users and earn money for participation
read.cash is a platform where you could earn money (total earned by users so far: $ 236,686.02).
You could get tips for writing articles and comments, which are paid in Bitcoin Cash (BCH) cryptocurrency,
which can be spent on the Internet or converted to your local money.
আজকে অন্যরকম একটা গল্প লেখার চেষ্টা করব।আশা করছি ভালো লাগবে সবার।
চলুন শুরু করা যাক-
বর্তমান সময়ে শিক্ষার আলো সকল ঘরে ছরিয়ে পরেছে।ছেলে মেয়ে উভয়কেই এখন পড়াশোনা করানো হয়।কিন্তু এই কাজটা এতোটা সহজ ছিলোনা কখনো। যুগ যুগ ধরে অনেক নারীর গৃহযুদ্ধ, প্রতিবাদী মনোভাবের ফসল হিসেবে এখন নারীরা সহজেই শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে । নারী জাগরণের অগ্রযাত্রার পথিকৃৎ এর কথা বলতে গেলে একটা নাম না বললেই নয়।তিনি হলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যিনি সাধারণত বেগম রোকেয়া নামেই অধিক পরিচিত।
বেগম রোকেয়া বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী লেখিকা ও সমাজ সংস্কারক।৯ ই (নয় ) ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে পায়রাবন্দ,মিঠাপুকুর, রংপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি , ব্রিটিশ ভারত এ তার জন্ম হয়।তিনি হলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ,সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক,প্রাবন্ধিক ও সমাজ সংস্কারক।
বাংলার নারীদের মুক্তির কথা প্রথম যে নারী বলেছিলেন তিনি হলেন বেগম রোকেয়া।সে সময়টাকে বলা চলে নারীদের জন্য অন্ধকার যুগ।সকল নারীরাই থাকত বন্দীদশায় এই সময়ে।শিক্ষা,সংস্কৃত, রাজনীতি কোনো কিছুতেই তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না মেয়েদের। এসব অন্ধকার কাটিয়ে কিভাবে আলোর পথে এগিয়ে আসতে হয় তা আমাদেরকে শিখিয়েছেন বেগম রোকেয়া।সুযোগ,সুবিধা সব ব্যতিরেকে কিভাবে কতটুকু কষ্ট করলে সফলতার দেখা পাওয়া যায় তা তিনি আমাদেরকে বেশ ভালভাবেই বুঝিয়েছেন।
২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার 'সর্বকালের সর্বশ্রষ্ঠ বাঙালি' জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি। কবিতা,প্রবন্ধ,উপন্যাস,ছোটগল্প, বিঙ্গান কল্পকাহিনী ও শ্লেষাত্মক রচনায় তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ছিল।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর লেখা -
উপন্যাস-পদ্মরাগ(১৯২৪)
প্রবন্ধগ্রন্থ-মতিচূর(১৯০৪)
তার অন্যান্য রচনা- সুলতানার স্বপ্ন(১৯০৫),অবরোধবাসিনী(১৯৩১) ইত্যাদি তার অনন্য রচনা।
১৯৩২ সালের ৯ ই ডিসেম্বর কলকাতায় এই মহিয়শী নারী মৃত্যুবরণ করেন।তার জন্ম ও মৃত্যু একই দিন ৯ ই ডিসেম্বর পালন করা হয়।
এই অন্ধকারাচ্ছন্ন দুনিয়া থেকে মেয়েদেরকে আলোর পথে আনতে বেগম রোকেয়ার ভাইয়ের অবদানও অপিরিসীম।যেই সময়টাতে পুরো দুনিয়া নারীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল সেই সময়টাতে বেগম রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের দাঁড়িয়েছিলো তার পাশে।বিভিন্নভাবে তাকে সাহায্য করেছে পড়াশোনা করতে।বেগম রোকেয়া তার স্বামীর হাত ধরেই পেয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বাদ।
আমরা যতোদিন নারীদের অধীকার, মুক্তির কথা বলব ততোদিন এই মহীয়সী নারীর কথা আমাদেরকে বলতেই হবে।আমাদের অগ্রযাত্রার পথিকৃৃৎকে আমরা কখনোই ভুলব না।
ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন।
বেগম রোকেয়া নারী জাগরনের পথিকৃৎ। বেগম রোকেয়ার চেষ্টায় নারীরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে এসেছে।তার প্রচেষ্টায় নারীদের শিক্ষা গ্রহন এখন ইজি হয়ে গেছে।আসলে আমরা তো ভয় পাই শুরু করিনা।কোন কিছু শুরু করলে হয়তো কয়েকদিন মানুষ সমালোচনা করবে পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। খুব ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ।
বেগম রোকেয়া যদি জানতেন আজকে উনার উদাহরণ, উনার নারীবাদী মতবাদ দিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে দাড়াবে তাহলে উনি কখনোই এগুলা করতেন না। ফেমিনিজম এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে নারীদের সম্মান অর্জন করা যেটায় বেগম রোকেয়া সফল হলেও বর্তমানে উনার মতবাদের বিকৃত রূপের বিশ্বাসীরা কিন্তু অসফল কারন তারা মনে করে তারা বেগম রোকেয়ার মতবাদ বিশ্বাস করে মানে কিন্তু আদতে তারা উনার মতবাদের বিকৃতরূপ মানে আর ধারন করে সেটা বুঝতে চায়না। এখনই সময় বেগম রোকেয়ার মতবাদের প্রকৃত ভাবাদর্শ তুলে ধরা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর ব্যস্তববাদী একটা কমেন্ট করার জন্য।তিনি মেয়েদেরকে সঠিক পথই দেখিঢে গিয়েছেন।এখন কেউ যদি তার অপব্যবহার করে থাকে তার জন্য সে নিজেই দায়ী।
বেগম রোকেয়া নারী জাগরনের পথিকৃৎ। বেগম রোকেয়ার চেষ্টায় নারীরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে এসেছে।তার প্রচেষ্টায় নারীদের শিক্ষা গ্রহন এখন ইজি হয়ে গেছে।আসলে আমরা তো ভয় পাই শুরু করিনা।কোন কিছু শুরু করলে হয়তো কয়েকদিন মানুষ সমালোচনা করবে পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। খুব ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ।