চেইন টানলে ট্রেন থামে কেন?
মূল লেখনী -জয়দীপ দে
কান টানলে মাথা আসে, আর চেইন টানলে ট্রেন থামে। কিন্তু চেইন বা শিকলের সঙ্গে ট্রেনের সম্পর্ক কী? কিভাবে চেইনের টানে ট্রেন থামে? এটা জানার আগে জানতে হবে ট্রেনের ব্রেক সিস্টেম সম্পর্কে। ব্রেক সিস্টেমটা বেশ জটিল। কেন জটিল? নিউটনের প্রথম সূত্রে আমরা দেখেছি— ‘স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় চলতে থাকবে।’
ফলে হুট করে একটা ট্রেনের কোন ক্যারেজ বা ওয়াগন থামিয়ে দিলে ভীষণ বিপদ। পেছনের বগিগুলো গতিজড়তার কারণে তিব্র বেগে তাকে ধাক্কা দেবে। আর সামনের গুলো একে টেনে নিয়ে বা ফেলে চলে যাবে। তাই কোন ট্রেন যদি থামাতে হয়ে প্রত্যেকটি বগি ও ইঞ্জিন থামাতে হবে এক সঙ্গে।
এই জটিল কাজটি রেলের ইঞ্জিনিয়াররা খুব সহজে করার একটা বুদ্ধি বের করেছে বাতাস দিয়ে। ধরুন একটা টিউবের ভেতরে একটা পিস্টন রাখা গেল। টিউবটা খালি থাকলে সেটা উপরের দিকে উঠে থাকবে। আর বাতাসে ভর্তি হলে, বাতাসের চাপে নিচে নেমে আসবে। বাতাসের চাপ দিয়ে এই পিস্টন নামানো-উঠানোর বুদ্ধি দিয়ে ট্রেনের ব্রেক সিস্টেম গড়ে ওঠে। এটাও আবার দুই ধরনের আছে। শুধু মূল নীতিটি এখন বলা যাক।
এই পিস্টনের আরেক মাথায় লাগিয়ে রাখা হয় ব্রেক ব্লক। বাতাস ঢোকানো বা বের করার মাধ্যমে এই ব্রেক ব্লক চাকার গোড়ায় গিয়ে লাগে। ঘুর্ণায়মান চাকাকে আটকে আটকে ফেলে। দেখবেন প্রতিটি ট্রেনের ক্যারেজ একটি পাইপের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। তাকে রেলের লোকরা হোস পাইপ হলে। এই পাইপের মাধ্যমে আসলে প্রত্যেকটি ক্যারেজ ও ইঞ্জিনের ব্রেক ইন্টারলিংকড বা পরস্পর সংযুক্ত করে রাখা হয়। যেকোন একটি অংশ থেকে বাতাস বের হলে বা ঢুকলে সঙ্গে প্রত্যেকটি ক্যারেজ ও ইঞ্জিনের ব্রেকে এর সমান প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে ট্রেনের সবগুলো চাকা ঘোরা বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন থেমে যায়।
আমরা যে ট্রেনের শিকল বা চেইন টানি, তার আরেক মাথা আসলে ব্রেকের বাতাসের পাইপের কোন একটা ভাল্বের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আমরা সজোরে টানলে সেই ভাল্ব খুলে গিয়ে বাতাস ঢোকা বা বের করার ব্যবস্থা করে দেয়। সঙ্গে ফিসসস… একটা শব্দ করে ট্রেন থেমে যায়। এই শব্দটা আসলে বাতাসের।
প্রতিটি ট্রেনের ইঞ্জিন ও শেষের কামরায় ব্রেক ভ্যানে একটি বাতাসের প্রেশার মাপার মেশিন থাকে। তা দেখে ড্রাইভার বা গার্ড সহজে বুঝতে পারেন তার ট্রেনের কোথাও ব্রেক করা হয়েছে বা বাতাস বের বা ঢুকেছে কিনা
Why does the train stop when the chain is pulled?
Original Writer - Joydeep Dey
The head comes when the ear is pulled, and the train stops when the chain is pulled. But what is the relationship of the train with the chain? How does the train stop by pulling the chain? Before you know it, you need to know about the brake system of the train. The brake system is quite complex. Why complicated? We have seen in Newton's first law: - "The stationary object will remain stationary forever and the moving object will continue to move in a straight line at the same speed forever."
As a result, if a carriage or wagon of a train is stopped in a hurry, there is a great danger. The rear bogies will push him at high speed due to the inertia. And the ones in front will drag or drop it. So if any train has to stop, every bogie and engine has to stop at once.
Railway engineers have come up with an idea to make this complex task easier with the wind. Suppose a piston can be placed inside a tube. If the tube is empty, it will rise to the top. And when filled with air, the pressure of the air will come down. The brake system of the train was developed with the intelligence of lowering and lifting this piston with the pressure of the wind. There are also two types. Let's just say the basic principle now.
Brake block is attached to the other end of this piston. This brake block is applied to the beginning of the wheel by inhaling or exhaling air. The spinning wheel stuck. You will see that the carriage of each train is connected through a pipe. If the people of the railway hose pipes to him. Through this pipe, the brakes of each carriage and engine are actually interlinked. Every carriage and engine brake reacts equally when air comes in or out of any one part. As a result, all the wheels of the train stopped turning. The train stops.
The other end of the chain we pull is actually connected to one of the valves in the brake air pipe. When we pull hard, the valve opens and allows air to enter or exit. With a whisper, the train stopped. This word is actually wind.
Each train has an air pressure measuring machine in the engine and end compartment of the brake van. The driver or guard can easily see if the brakes are on or if the air is out or in.
এই বিষয়টা নিয়ে আমার অনেক কৌতুহল ছিল। সেটা আজ থেকে দূর হলো। বিভিন্ন সময় আমি শুনেছি, হরতালের জন্য ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দিয়েছে । তখন ভাবতাম হোস পাইপ কি কাজে আসে। এখন থেকে আর এগুলা ভাবতে হবে না। ধন্যবাদ, বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।