The cobra king

0 9
Avatar for Hasan16
3 years ago

#The_Cobra_King

#Mafia_Boss_Season4

part:76

→রুহী কে ধরে জয়।ফিদাও ভয় পেয়ে যায়।সেই তখন থেকেই মেয়েটা বলছিলো খারাপ লাগছে।ফিদা অতোটা কানে নেয়নি।এখন কি করবে ও?রোয়েন ভাইয়ের ও দেরি হচ্ছে।ফিদা কিছু বলতে গেলে জয় বলল,

.

.

-''ওনার মেইবি শরীর ভালো নেই।হসপিটালে নেয়া উচিৎ।জয়ের কথায় আর কিছু ভাবতে পারেনা ফিদা।ও সাথে সাথে রাজি হয়ে যায়।রুহীকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হয় ওরা।ফিদা রোয়েনকে কল দিয়ে জানিয়ে দেয় রুহীর অসুস্থতার খবর আর হাসপাতালের নাম।রোয়েন জানায় ও এক্ষুনি আসছে।এদিকে জয় ফিদা রুহী কে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে।সেখানকার গাইনোকোলজিস্ট জয়া মাহবুব জয়কে বললেন,-''ওনার স্পাউজ কি আপনি?"

-''না।বাট কেন?"

-''এক্চুয়ালি সি ইজ প্রেগন্যান্ট অফ টু মান্থস।"

-''হোয়াট?.অবাক হয়ে যায় জয়।এদিকে ফিদা প্রচন্ড খুশি।রুহীর ও জ্ঞান ফিরে আসে।রোয়েন প্রায় দৌড়ে আসে ফিদা আর জয়ের কাছে।এসেই শুধু-রোয়েনকে এভাবে আসতে দেখে ফিদা বুঝতে পারে ভালবাসার মানুষটার জন্য কতোটা অস্থির হয়ে আছে সে।ডাক্তা-''মিসেস রুহী মাহবুব চৌধুরীর স্পাউজ আপনি?"-''ইয়েস। ওর কি হয়েছে?ও ঠিক আছে?"-''কি হয়েছে সেটা আপনার ওয়াইফ বলবে।যান দেখা করে আসুন।রোয়েন রুহীর রুমটায় ঢুকে যায়।রুহী বসে আছে খাটের ওপর।রোয়েন যেয়েই বুকে জড়িয়ে নেয় রুহীকে।রুহী মুচকি হাসে।-''আ'ম সরি ছিলাম না তোমার পাশে।তুমি ঠিক আছো তো?"

-''আমি ঠিক আছি।চিন্তা করছো কেন?"

-''ডাক্তার কি বলছিলো তুমি জানি কি বলবে আমাকে।"

.

.

রুহী মিষ্টি হেসে রোয়েনের কানের সামনে ঠোঁট এগোয়।আর রোয়েনের এক হাত নিজের পেটের ওপর রেখে বলল,

.

.

-''কংগ্রাচুলেশনস উড বি ড্যাড।"

.

.

রোয়েন যেন চমকে যায়।ওভাবে থেকে রুহীর পেটে হাত রেখে বলল''আমি সত্যিই বাবা হচ্ছি রুহী?"

-''ইয়েস মাই লাভ।"রোয়েনের খুশি আর ধরেনা।রুহীকে সামনে এনে ওর ঠোঁটে তীব্র চুমু খায়।রুহীর চোখে খুশির অরুহী নিজের পেটে হাত-''সেই ভালবাসাটা এখানে রোয়েন।আমাদের ভালবাসার প্রতীক ও রোয়েন।এখানে আমাদের ছোট্ট জান আছে রোয়েন।যে আপনাকে বাবাই আর আমাকে মাম্মাম ডাকবে।"

-''ভাবতে পারবেনা রুহী আমার কতটা ভালো লাগছে।বলে বুঝাতে পারবোনা।অনেক ভালবাসি তোমাকে।"

-''আমি ও খুব ভালোবাসি রোয়েন।আমাদের সোনা বাচ্চাটা আমাদের কাছে আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় উপহারোয়েন রুহীকে আবার ও বুকে টেনে নেয়।এদিকে সব কিছু জয়ের মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।কি শুনছে ও?ওর মিষ্টি পাখি প্রেগন্যন্ট আবার ম্যারিড।জয় কিছুই বুঝতে পারছেনা।ওর গলা ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে।রোয়েন রুহীকে নিয়ে বেরিয়ে আসে।রুহীকে প্রায় জড়িয়ে ধরে আছে রোয়েন।রোয়েনকে বেরিয়ে আসতে দেখে ফিদা জয়কে দেখিয়ে -''ভাইয়া ওনি না থাকলে রুহীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতেই পারতামনা হয়ত। অনেক হেল্প ক-''থ্যাংক ইউ সো মাচ।জয় কিছু বলতে পারেনা।ওর চোখ জোড়া প্রচন্ড লাল হয়ে আছে।রুহীর দিকে তাকিয়ে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে প্রচন্ড রেগে বেরিয়ে যায় জয়।রোয়েন রুহী আর ফিদা কে নিয়ে বেরিয়ে যায়।ফিদা রাস্তায় নিজের বাসার গলির সামনে নেমে যায়।রুহীকে নিয়ে ফিরে আসে রোয়েন।রুহী গাড়ি থেকে নেমে আসে।রোয়েন গাড়ি পার্ক করে রুহীর হাত ধরে ঘরে প্রবেশ করে।রুহীকে এবার কোলে তুলে নেয় রোয়েন।

রুহী অবাক হয় রোয়েনের কাজে।রোয়েন নিজেদের রুমে চলে আসে।তারপর রুহীকে খাটে বসিয়ে ''এখন থেকে এভাবে তোমাকে আমাদের রুমে নিয়ে আসবো।"

-''আমি হাঁটতে পারবো।"-''শশশ একদম কোন কথা না।আমার সোনা বাচ্চাটার মাম্মামের জন্য সব করবো।কারন অনেক ভালবাসি তারুহী হেসে জড়িয়ে ধরে রোয়েনকে।কিছুক্ষন পর সরে আসে ওরা।রুহী বলল-''ফ্রেশ হয়ে নিন।খাবার গরম করছি আমি।"-''একদম নড়বেনা।সব ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।এখন আর কোন হাঁটাহাঁটি করবেনা।নো কাজ।এখন অনেক বেশি বিশ্রাম করতে হবে।"

-''বোর হয়ে যাবো আমি।"-''বোর হওয়ার সুযোগ দেবোনা।এখন চলো ফ্রেশ হবে।বলে রুহীর হাত ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে যায় রোয়েন।নিজ হাতে রুহীকে গোসল করিয়ে দেয়।ফ্রেশ হয়ে রুহীকে বের করে নিয়ে আসে রোয়েন।রুহীর চুল মুছে দিতে থাকে তোয়ালের আলতো ঘষায়।রুহী মিষ্টি হেসে স্বামীকে দেখছে।রুহী নিজের চুলে খোপা করে নিয়ে রোয়েনের সাথে বেরিয়ে আসে।রুহী খেয়াল করে টেবিল ভর্তি খাবার।রুহী চমকে গিয়ে রোয়েনের দিকে তাকায়। রোয়েন হেসে রুহীকে চেয়ারে বসায়।রুহী খেয়াল করলো ছোট মাছের তরকারি,ভর্তা, ডাল,সালাদ,দুধ আরো অনেক কিছু।রুহী বলল,-''কখন করলেন এগুলো?"-''আমি করিনি।"-''তো?"-''আনিলা মা করেছেন এগুলো।"রুহীর মনটা একটু খারাপ হয়ে যায়।রোয়েন রুহীকে খাইয়ে দিতে শুরু করে।খাবারের মাঝেই রুহীর শরীর কেমন যেন করে উঠে।তাই আর খেতে চায়না ও।উঠে দাঁড়ায় রুহী।রোয়েন বলল,-''কি হলো?"-''আমার না খারাপ লাগছে।খেতে পারবোনা।"-''আর এক লোকমা।আসো খেয়ে নাও।"-''না আমি খেতে পারবোনা।"বলেই দৌড়ে রুমে গেলো রুহী।রোয়েন দুধের গ্লাস নিয়ে রুমে এসে দেখলো খাটের ওপর কাঁথার নিচে কি যেন উঁচু হয়ে আছে।রোয়েন সেটার পাশে গিয়ে কাঁথাটা উঠিয়ে দেখলো রুহী বসে আছে।রোয়েন কে দেখতে দাঁত বের করে হাসলো রুহী।রোয়েন কি বলবে বুঝতে পারছেনা।হঠাৎ এমন শুরু করলো কেন রুহী।রোয়েন কাঁথাটা সরিয়ে দিয়ে রুহীর পাশে এসে বসে।রোয়েনের এর গাল জড়িয়ে অপর গালে চুমু খায় রুহী।ও বলল,

.

.

-''জানো মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় তোমাকে খেয়ে ফেলি।ঐযে তোমার গাল দুটো উফফ লা জাবাব,তোমার লাল ঠোঁটজোড়া উফ উম্মাহ আর তোমার কিলার টাইপ চোখ মারজাওয়া।আচ্ছা কি করে আমার হাসবেন্ড হলে বলো তো?তোমার জন্য দরকার ছিলো ক্যাটরিনা কাইফের মতো লম্বা কারিনার মতো একজন বৌ।আমি কি করে জুটে গেলাম কে জানে?"

.

.

রোয়েন অবাক হয়।রুহী আগে কখনোই এমন কথা বলেনি।আর আজ কি বলছে এগুলো।রোয়েন এবার রুহীকে জড়িয়ে ধরে ওর দুপায়ের ওপর রুহীকে বসালো।রুহীর মুখ রোয়েনের দিকে ঘুরানো।রোয়েন বলল-''একটা কথা বলি ক্যাটরিনা কারিনা তোমার কাছে কিছুইনা।কারন আমার মায়াবতী সবচেয়ে সুন্দর অনেক মূল্যবান।যেটা হাজার লক্ষ ক্যাটরিনা কারিনার চেয়ে ও দামি।কারন আমার মায়াবতী শুধুই আমার ভালবাসা আর কেউনা।রুহীর চোখে পানি চলে এলো।কাঁদতে লাগলো ও।রোয়েনের গলা জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করে।রোয়েন বলল-''কি হলো?"

-''এতো ভালবাসো কেন?"

-''অনেক ভালবাসি।কিন্তু কাঁদছো কেন?"

-''জানিনা কিন্তু কান্না পাচ্ছেরোয়েন দুধের গ্লাস হাতে নিয়ে -আগে দুধটুকু খেয়ে নাও।পরে কান্না করো।"

-''না গন্ধ লাগছে।খেতে পারবোনা।"

-''গন্ধ লাগছে???"

-''হ্যা খুব গন্ধ।আমার বমি পাচ্ছে।"

-''তুমি না,খাওয়ার জন্য বলছো না তো?"

-''একদম না।সত্যিরোয়েন কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।কি বলে এই মেয়ে?গন্ধ কেন লাগবে।না রোয়েন আজই হাসপাতালে গিয়ে কোন গাইনোকোলজিস্ট এর সাথে কথা বলবে।এদিকে সেদিন ঘরে ফিরে না জয়।প্রচন্ড স্পীডে গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।শুধু মিষ্টি পাখিকে মনে পড়ছে ওর।মিষ্টি পাখিকে তো ভালবেসে ফেলেছিলো ও।কিন্তু কি হয়ে গেলো।মেয়েটা ম্যারিড।ওর বর আছে।ও তার হাসবেন্ডকে অনেক ভালবাসে।জয়ের জন্য কোন ভালবাসা নেই। কোন কিছু নেই।এদিকে বিজলি বেগম ভীষন চিন্তিত নাতি এখনো ঘরে আসেনি।কি করছে ছেলেটা?কই গেলো?কখনো এতো সময় করে বাহিরে থাকেনি।রাত একটায় ফিরে আসে জয়।অবশ্য দাদির কল পেয়েই এসেছে ও।বিজলি বেগম জিজ্ঞেস করেন,

.

.

-''কজয় দাদির দিকে তাকায়।চোখ জোড়া খুব লাল।কিছু বলেনা ও।দাদী ও কিছু বলতে পারেনা।জয় রুমে চলে যায়।

পরদিন সকালে অফিসে না গিয়ে নিজের কলোনির হাসপাতালে আসে রোয়েন।সেখানকার গাইনোকোলজিস্ট রুবীনা খানমের সাথে দেখা করবে ও।রুবীনা রোয়েনকে দেখে বলে-''স্যার আপনি?"

-''হুম।একটু দরকার ছিলো।"

-''জি বলুন।"-''আমার ওয়াইফ রুহী প্রেগন্যান্ট।দুমাস চলছে।ও না কিছু খেতে পারছেনা।বলছে গন্ধ লাগছে।আর খুব উদ্ভট বাচ্চামো আচরন করোয়েনের কথা শুনে একটু হাসেন রুবীনা খানম।তারপর বললেন,-''স্যার ফাস্ট সময় গুলোতে গন্ধ লাগবে কিছু কিছু খাবারে কারন হরমোন চেঞ্জ হতে থাকে।আর দ্বিতীয়ত হরমোন পরিবর্তনের কারনেই নানারকম সিম্পটমস দেখা যায়।কেউ কেউ স্লিপওয়াক করে,বাচ্চামো করে,একটুতে হাসা বা কেঁদে দেয়া এটা নরমাল স্যার।এসময় গুলোয় মায়েদের সাথে খুব সতর্কতার সাথে আচরন করতে হয় কারন মায়ের অনুভূতি বাচ্চাদের ওপর এফেক্ট করে।ভালো অনুভূতি হলে বাচ্চা হাসি খুশি থাকবে সুস্থ থাকবে।আর মা দুশ্চিন্তায় থাকলে কিংবা কান্না কাটি করলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।"

-''আচ্ছা।"

-''হা আর ওনার প্রত্যেক মাসে হাসপাতালে নিয়ে আসবেন।বাচ্চার ওয়েট চেক করতে হবে।আর হেলদি ফুড খাওয়াবেন।"

-''অবশ্যই।আমি আসি তা

1
$ 0.00
Avatar for Hasan16
3 years ago

Comments