#শেষ ঠিকানা
পর্ব:১
লেখাঃহাসান
বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতেই পুরানো স্মৃতিগুলো মনে পরে যাচ্ছে। আমি আহাদ। গত দশ বছর পর দেশে ফিরছি। এই দশটি বছরে আমার ফ্যামিলি অনেক বার দেশে ফিরতে বলছে কিন্তু আমি নিজের প্রতিষ্ঠিত করতে করতে দশ বছর চলে গেলো।
বাসায় যেতে যেতে পুরানো স্মৃতি গুলো মনে পরছে। নিলুফা কে ভালোবেসে আপন করতে চেয়েছিলাম। আমাদের পরিচয়না ফেসবুকে হলেও ভালোবাসাটা অনেক গভির ছিলো। ওদের বাসায় পস্তাব নেওয়া ওর বাবা আমদের ভালোবাসা টাকে মেনে নেয়নি। ওর বাবা বলেছিলো যদি কখনো ঢাকা নিজের ফ্লাট করতে পারি তখন নিলুকে আমার হাতে তুলে দিবে। কিন্তু গত 5বছর আগে নিলুর বিয়ে হয়ে যায়। আজ ঢাকা আমার ফ্লাট আছে গাড়ি আছে নিজের বিজনেস আছে সব আছে কিন্তু আমার ভালোবাসাটা নেই। নিলুফা আমার সাথে কি করে প্রতারনা করলো ভাবতেই পারলাম না। হয়তো এটাই আমার ভাগ্যের লিখন। আমার ভাইয়ারা এখন ঢাকাই থাকে। একজনের দুই ছেলে আর একজনের এক ছেলে। ছোট ছেলেটি এবার প্লে তে পরে আর ঐ দুজন বড় হয়ে গেছে ক্লাস সেভেনে এ পরে। ঢাকা এসে নিজের বিজনেস শুরু করতে করতে আরে দুই মাস কেটে গেলো। এক রাতে নিজের রুমে বসে কিছু কাজ করছিলাম হঠাৎ আমার ছোট ভাবির আগমন~~
ভাবি এসে বলে গেলো কালকে মাহিন(আমার ভাতিজা) এর বেষ্ট ফ্রেন্ড এর বার্থডে মাহিন মাত্র প্লে এ পরে আর স্কুলের হেড মেডাম এর মেয়েই মাহিন এর বেষ্টফ্রেন্ড। ভাবির নাকি মেডাম এর সাথে গলায় গলায় ভাব। পরের দিন সন্ধ্যায় মাহিন আর ভাবিকে নিয়ে অনুষ্টানে আসলাম। ছোট একটা ফ্লাট মা মেয়ে নিয়েই তাদের সংসার। ফ্লাট টা সাজানোটা খুফ সুন্দর হয়েছে। আমি সোফায় বসে ফোনে গেমস খেলছি এমন সময় মাহিন এসে বললো
মাহিন: চাচ্চু ও চাচ্চু
আমি:হুম চাচ্চু
মাহিন: একটা পাচ বছরের পিচ্চি কে দেখিয়ে এটা আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড জিনিয়া।
জিনিয়া নামটা শুনেই বুকে বা পাশে চিন চিনি ব্যাথ্যা অনভুব করলাম কারন আমি আর নিলুফার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমাদের মেয়ে হলে জিনিয়া নামটাই রাখবো। জিনিয়া দিকে তাকিয়ে মনে হয়ে এ যেনো সত্যিই আমাদের মেয়ে। নিলুর মতোই মায়াবি চোখ তার। নিজের অজান্তেই মেয়েটিকে একটা চুমু দিলাম। তখন পাশের রুম থেকে একজন মেয়ে বের হলো। সাদা রংঙের কালো পাইরে শাড়ি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। খোপা করা চুল। সেই ময়াবি চোখ। এ যে নিলুফা আমার ভালোবাসা। পাশ থেকে জিনিয়া পিচ্চিটি মাম্মি মাম্মি বলে দৌড়ে নিলুর কোলে উঠলো তার মানে এটা নিলুর মেয়ে।নিলু সুখেই আছে দেখা যায়।
চলবে
0
5