৪৭
প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা
কপগত রবক প্রতীক। যে ধ্রুবক প্রতীক কোনাে কিছুর আকার নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলে
পখত প্রতীক। যেমন, বাকোর সমাপ্তিসূচক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত । (দাড়ি) হচ্ছে
পখত বক প্রতীক। প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রতীকগুলাে যুক্তির আকারকে
করে বলে এগুলােকে আকার ধারক প্রতীকও বলা হয়।
ब্তগত ্রুবক প্রতীক : যে ধ্রুবক প্রতীক কোনাে কিছুর উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে তাকে
ত ্রুবক প্রতীক বলে। যেমন, শব্দের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত শাঁটলিপির সংকেতসমূহ
ইছে বন্ত্রগত ধ্রুবক প্রতীক। প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে বন্ত্রগত ধ্রুবক প্রতীকগুলা যুক্তির
পদানকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
সত উল্লেখ্য যে, যুক্তিবিদ্যার আলােচনা সংগঠিত হয় মূলত যুক্তিকে কেন্দ্র করে। আর
ুক্তির আঙ্গিক উপাদান বচন। এক্ষেত্রে প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার কাজ হচ্ছে বচনের পরিবর্তে
এতীক প্রবর্তন করে যুক্তি গঠনের মাধ্যমে যুক্তির বৈধতা বিচার করা। বচনকে বিশ্লেষণ
করলে এর দুটো দিক পাওয়া যায়- একটি হচ্ছে বচনের উপাদানের দিক, অর্থাৎ যেসব
শব্দাবলি দ্বারা বচনটি গঠিত। অন্যটি হচ্ছে বচনের আকারের দিক, অর্থাৎ বচনটি যে অর্থ
একাশ করে। বচনকে প্রতীকী রূপদানের ক্ষেত্রে গ্রাহক প্রতীক দ্বারা বচনের উপাদানকে ব্যক্ত
করা হয়। এ জন্য গ্রাহক প্রতীককে বলে বচনের উপাদান জ্ঞাপক চিহ্ন। আর ধ্রুবক প্রতীক
আরা বচনের আকারকে ব্যক্ত করা হয়। এ জন্য ধ্রুবক প্রতীককে বলে বচনের আকারজ্ঞাপক
। যেমন, টম ও হ্যারি হয় সৎ- এ যৌগিক বচনটি দুটি সরল বচনের সমন্বয়ে গঠিত-
) উম হয় সৎ (ii) হ্যারি হয় সৎ। এ সরল বচন দুটির সংযুক্তি প্রকাশিত হয়েছে ও
আারা, যা একটি নির্দিষ্ট বাচনিক আকারের নির্দেশক। এক্ষেত্রে ইংরেজি বর্ণমালার p, q
বর্ণয়কে গ্রাহক প্রতীক হিসেবে সরল বাচন দুটির স্থলে ব্যবহার করার মাধ্যমে এবং ও' এর
জন্য নির্ধারিত ধ্রুবক প্রতীক '' (Dot)-কে স্থাপন করার প্রেক্ষিতে আলােচ্য বচনটির প্রতীক
কশ হবে- p q। এক্ষেত্রে গ্রাহক প্রতীক হিসেবে p, q বর্ণ দুটি বচনটির উপাদানকে ব্যক্ত
করেছে এবং ধ্রুবক প্রতীক হিসেবে ''(Dot)- চিহ্নটি বচনটির আকারকে ব্যক্ত করেছে।
গযােগ।
মিক যুক্তিবিদগণ ধ্রুবক প্রতীককে আবার রূপগত ও ব্গত- এ দুভাবে ভাগ করেছেন।
বলতে
অন্য
যেমন,
বা
বা
পক
নের
কে
র
প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় ব্যবহৃত প্রতীক লিপি
সাধারণভাবে একটি বচনের দুটি দিক থাকে একটি হচ্ছে বচনের উপাদানের দিক, অর্থাৎ
যে শব্দাবলি দ্বারা বচনটি গঠিত। অন্যটি হচ্ছে তার আকারের দিক, অর্থাৎ যে শব্দ বা
শব্দাবলি বচনটিকে একটি আকার প্রদানের মাধ্যমে বচনটির নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে।
বচনের এই আকারিক শব্দ বা শব্দাবলিকে বলে যৌক্তিক যােজক। বস্তুত গ্রাহক প্রতীক দ্বারা
বচনের উপাদানকে প্রকাশ করা হয়। আর ধ্রুবক প্রতীক দ্বারা বচনের আকার, অর্থাৎ
যৌক্তিক যােজককে প্রকাশ করা হয়। আমরা জানি, গ্রাহক প্রতীক পরিবর্তনশীল। এ জন্য
যে কোনাে ভাষার বর্ণমালার বর্ণ, যেমন, ক, খ বা p, q বা $, ইত্যাদি গ্রাহক প্রতীক
হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু ধ্রুবক প্রতীক যেহেতু অপরিবর্তনশীল, সেহেতু প্রতীকী
যুক্তিবিদ্যায় যৌক্তিক যােজকের জন্য ব্যবহৃত ধ্রুবক প্রতীক হবে সুনির্দিষ্ট। এ জন্যই
আধুনিক যুক্তিবিদগণ যৌক্তিক যােজকের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতীক প্রবর্তন করেছেন।
এখানে সেই প্রতীক লিপিসমূহ একটি ছকের মাধ্যমে দেখানাে হলাে।
2
9
Wonderful writing carry on.please also visit my article