♥ মামাতো বোন ♥
পার্ট :২
নীল
তুলি ছেলেটার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো
তুলিঃ বলো কত টাকা চাই তোমার
ছেলেটি: ১ লক্ষ
তুলিঃ এই নাও কার্ড যত লাগে তত তুলে নিয়ে আমাকে কার্ড টা দিয়ো
ছেলেটি তুলিকে জড়িয়ে ধরে বললো ধন্যবাদ সোনা তুমি না থাকলে আজ কিযে হত আমার।
ছেলেটি চলে যাবার পর তুলি এসে গাড়িতে বসলো
তুলি: চলো এখন
আমি: ওকে
তুলি: আর হ্যা তোমার মনে আছে তো যে কোন অনুষ্টানে গেলে আমাকে ম্যাম বলে ডাকতে হবে
মার নাম ধরে ডাকা যাবে না
আমি: হুম মনে আছে
কিছুক্ষন পরেই আমরা চলে আসলাম আমি গাড়ি থেকে নেমে দেখলাম কারো মনে হয় বিয়ে বাড়ি এটা
তুলি গাড়ি থেকে নেমে বললো
তুলিঃ তুমি এখানেই থাকবা ভিতরে যাবা না
আমি: ওকে ম্যাম
ও হ্যা ওকে ম্যাম বলে ডাকার কারন টা হচ্ছে আমার মত ছেলে
যদি ওকে নাম ধরে ডাকে তাহলে ওর মান সম্মান নাকি নষ্ট হয়ে যাবে তাই তো ওকে সব সময় ম্যাম বলে ডাকতে হবে ।
তুলি চলে যাবার পর আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম। তুলির সাথে ভালো ভালো যায়গায় গেলে তুলি আ মাকে এভাবে বাহিরেই রাখে তাই আর এখন এই ব্যাপার টা আমাকে খারাপ লাগে না।
আমি গাড়িতে বসে গান শুনতেছি এমন সময় শুনতে পেলাম মামির কন্ঠ
আমি গাড়ির গ্লাস খুলে দেখলাম মামি বাহির এ দাড় হয়ে
আমি গাড়ি থেকে নেমে বললাম
আমি: মামি কিছু লাগবে নাকি
মামি: তুমি ভিতরে না গিয়ে এ খানে কেন
আমি: না এমনি তেই যাইনি
মামি: আসো এখন
আমি: না থাক না আমি ভিতরে না যাই।
মামি: আমি বলছি না আসো তুমি।
আমি মামির কথা মত ভিতরে ডুকলাম। তার ফাকেই মামিকে বললাম
আমি: মামি কার বিয়ে আজ
মামি: আমার ভাইয়ের মেয়ে
আমি: ও রিতি আপু বিয়ে আজে ( মামির ভাইয়ের মেয়ের নাম রিতি)
মামি: হুম কথা না বলে চলো তোএখন
আমি মামির সাথে ভিতরে গেলাম ভিতর টা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
মামি আমাকে একটা রুম দেখিয়ে দিয়ে বললো যাও ওই রুম এ গিয়ে বিশ্রাম নাও আমি আসতেছি
আমি মামির কথা মত রুমে ডুকতে যাবো এমন সময় পিছন থেকে কে যেন আমাকে ডাক দিলো
আমি পিছনে ঘুরে দেখলাম রাফা আমাকে ডাকতেছে( রাফা হচ্ছে রিদির ছোট বোন)
ও মামির বাসায় গিয়ে মাঝে মাঝেই থাকে তাই আমাকে চিনে
ও এবার ক্লাস টেন এ পড়ে ও আমার সাথে খুব ফ্রি।
আমি: কি হয়েছে রাফা
রাফাঃ ভুলে গেছো নাকি আমাকে
আমি: ভুলে কেন যাবো তোমাকে
রাফাঃ যদি মনে রাখতে তাহলে একবার হলে ও আমার খোজ নিতে ভাই
আমি: আরে পাগলি আমি কেবল আসলাম
রাফাঃ ওকে ভাইয়া চলো রুম এ গিয়ে বসে গল্প করি
আমি: ওকে চলো
আমরা দুজনে রুম এর মধ্যে প্রবেশ করে গল্প করতেছি এমন সময় তুলি রুম এর মধ্যে ডুকে আমাকে বললো
তুলি: ওই ফকিন্নির বাচ্ছা তোকে না বলছি বাড়ির ভিতড়ে ডুকবি না
আমি: আমি তো ডুকতে চাই নি কিন্তু মামি
ও আমাকে চুপ করে দিয়ে বললো
তুলিঃ মামি আসতে বলছে বিধায় তুই আসবি নাকি।
আমি: না মানে তুলি
তুলিঃ: কি বললি তুই ঠাসস ঠাসস ঠাসস ঠাসস
তোকে না বলছি আমার নাম ধরে ডাকবি না
আমি: স্যরি ম্যাম ভুল হয়ে গেছে আর ভুল হবে না।
আমি পিছন ফিরে দেখতেছি রাফা আমার দিকে করুন চোখ এ তাকিয়ে আছে
তুলিঃ যা বলছি এখন থেকে বের হয়ে আর যেন এখান এ না দেকি তোকে
আমি: ওকে ম্যাম
বলেই আমি যখনি চলে আসতে
ধরছি তখনি রাফা পিছন থেকে বলে উঠলো
রাফাঃ নীল ভাইয়া দাড়াও তুমি। তুমি কেথাও যাবা না এখানেই থাকবা
তুলিঃ: মানে কি বলতে চাস তুই নেহা
রাফাঃ আপু তুমি অনেক বলেছো যখন আমি তোমাদের বাসায় গিয়ে থাকতাম
তখনো তুমি নীল ভাইয়াকে এভাবেই অপমান করতে। ওটা তোমার বাসা ছিলো তাই আমি কিছু বলি নাই
এখন এটা আমার বাসা আমি কাকে থাকতে দিবো না দিবো সেটা আমার ব্যাপার
তুলিঃ ও বুঝছি রাতে দেখবো তোমার পেয়ারের নীল কোথায় থাকে কার বাসায় যায়
আমি: তুমি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করো তাহলে কিন্তু আপু। তোমার যে ঘটনা টা আমি যানি সেটা আন্টিকে বলে দিবো
এই কথা বলার সাথে সাথে তুলি যেনো চুপ হয়ে গেলো। ও মুখ টা কালো করে রুম থেকে বেড় হয়ে গেলো
আমি: থাক না রাফা বরং আমি চলে যাই আমার জন্য শুধু শুধু তুমি কেন ওর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতেছো
রাফাঃ চুপ করো তো তুমি তোমার কেউ নাই বিধায় ও তোমাকে এভাবে অপমান করবে নাকি
আমি: ওর খারাপ ব্যাবহার ওর থাপ্পর এগুলো এখন আর আমাকে কষ্ট দেয় না
কারন একটা কাজ যদি মানুষ প্রতিদিন করে তখন কিন্তু তাকে আর খারাপ লাগে না।
ঠিক প্রতিদিন ওর অপমান আর চর থাপ্পর আর আমাকে খারাপ লাগে না
রাফা: হয়েছে চলো তো এখন আমার রুম এ। ফালতু মেয়ে কোথাকার মানুষকে কেউ এভাবে থাপ্পর মারে নাকি। গালটাতো পাচ টা আংগুল এই দেখা যাচ্ছে
আমি রাফার সাথে ওর রুম এ গিয়ে চুপটি করে বসে রইলাম।
কিছুক্ষন পরে মামি রাফার রুম এ ডুকলো।
আর মামি রুমে ডুকতেই তো অবাক.
wait
0
2
Written by
Hasan16
Hasan16
4 years ago
Written by
Hasan16
Hasan16
4 years ago
I read your article just now. Your article is too good. Thnak you for sharing this article. Thank you.