Love4

0 2
Avatar for Hasan16
3 years ago

#তোমায়_হৃদয়_মাঝে_রাখবো

#Writer_Shila_Akter

#part 19

আমি উঠে দাড়ালাম ছেলেটিকে দেখে।

- অনেক ক্ষণ ধরেই দেখছি এখানে এভাবে বসে আছেন তাই ভাবলাম একটু কথা বলি।

আমি ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছি এই ছেলের প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে বসে থাকতে গেলে ও তার পারমিশন নিতে হবে এমনিতেই ভালো লাগছে না আবার এর কথা তবুও ও শান্ত দৃষ্টি তে তাকিয়ে রইল আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পরে এ আবার কে।

- এই যে মিস কি ভাবছেন এতো।

হঠাৎ কথায় ঘোর কাটলো,,, জি

- আপনার বাড়ি কি এখানেই আসলে আপনাকে চিনিনা তো তাই।

আমি আর ও অবাক হয়ে তাকালাম ছেলেটির কথা বলে কী আমার এলাকায় আমাকে ই বলছে এখানেই কি না।

- জি

- ওহ আগে দেখেছি বলে মনে হয় না আপনি কি বাড়ি থাকেন না নাকি।

- আমি ও তো আপনাকে আগে দেখি নি। আপনার বাড়ি কই।

- আমার বাড়ি আমি এখানকার চেয়ারম্যানের ছেলে একমাস হয়েছে বাড়ি এসেছি। আপনার

এবার বুঝলাম এ তাহলে চেয়ারম্যানের শহরে ছেলে শুনেছি লাম কিন্তু কখনো দেখিনি আজই দেখলাম। আগে কখনো তো আসে নি বাড়িতে তার নানা বাড়ি শহরে সেও সেখানেই থাকতো।

- আপনার বাড়ি কোন পাশে।

আমি হাতে ইশারায় দেখিয়ে দিলাম।

- ওই দিকে তো আমার বাড়ি। কিন্তু আপনাকে তো আগে দেখি নি।

- আমি ঢাকা ছিলাম এতো দিন।

- ওহ তাই তো তোমার বাবার নাম টা কি?

এবার আর কিছু বললাম না বেশি বেশি এতো কিছু জেনে কি করবে বাবার কথা বলতে গাল বেয়ে দু ফোটা জল বেয়ে পরলো আর না দাঁড়িয়ে সামনের দিকে হাটতে লাগলাম। ওই লোকটি অবাক হয়ে ভাবছে কি হয়েছে আমার নিজে ও দৌড়ে আমার পাশে হাটতে হাটতে বলল.....

- এনি প্রবলেম আপনি চলে এলেন যে। আর কাদছেন কেন?

- দয়া করে আমার পিছু ছারেন আমার ভালো লাগছে না।

- কিন্তু কেন বাবার কথা বলা থে কাদছেন কেন?

আমি রাগি চোখে ওনার দিকে তাকালাম।

- ওকে ওকে কিছু বলছি না। আপনার নামটাকি জানা যাবে।

- প্লিজ এবার অনতত বলেন।

- নিলা

উনি হয়তো আর ও কিছু বলতো আমি তারাতারি বাড়ি চলে এসেছি।

রাতে রুমে শুয়ে আছি আর চোখের জল ফেলছি বাবা আমাদের এভাবে ছেরে চলে যাবে সত্যি ভাবি নি। সেদিন আম্মা ফোনে একথায় বলে বাড়ি এসে বাবা লাশ দেখতে হয় এমন কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করছিল যে আমার ফুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়। জানতে পারি বাবার কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলো কিন্তু আমি টেনশন করবো বলে আম্মা আমাকে কিছু জানায় নি। আম্মা নাকি বলতে চেয়েছিল কিন্তু বাবা বলেছে পরার ক্ষতি হবে আমি ঠিকে হয়ে যাব অযথা ওকে চিন্তায় ফেলার কি দরকার। আজ যদি আমাকে সব জানাতো তালে অন্তত বাবার সাথে শেষ বারের মতো একটা কথা বলতে পারতাম কিন্তু আমার পুরা কপাল তা কিছু ই হলো না। বাবা তুমি কেন আমাদের দুজনকে এভাবে একা ফেলে চলে গেলে এখন কে তোমার এই মেয়েকে দেখে রাখবে কে ভালোবাসবে।

পরদিন নদীর পারে বসে আছি হঠাৎ কেউ পাশে এসে বসল তাকিয়ে দেখি ওই ছেলে টা। আমি তাকাতেই হাসি মুখ করে তাকাল।

- হাই কেমন আছ নিলা?

আমি অন্য দিকে ফিরে তাকালাম।

- হে কিছু বলো আর আই আম সরি কাল তোমার কাছে বাবার নাম জিগ্গেস করার জন্য।

- ইটস ওকে।

- আমার নাম তো তুমি জান না তাই না। আমার নাম পাবেল।

আমি এক ধ্যানের পুকুরের দিকে তাকিয়ে আছি ছোট পুলাপান পুকুরের গোসল করছে হাস আছে মেয়েরা ও আছে আর আমার পাশে বসে পাবেল একা নানা কথা বলে চলেছে আমি তার কথায় কান ও দিচ্ছি না। জয়ের কথা মনে পরেছ খুব কতো দিন হয়ে গেল যোগাযোগ নেই বাবা মারা যাবার পর থেকে এখানেই আছি কিছু বাবার রেখে যাওয়া টাকা ছিল যা দিয়ে কিছু মানুষ খাওয়ানো হয়েছে। আর যা আছে আম্মা বলে দিয়েছে এগুলো দিয়ে আমাকে বিয়ে দেবে। আর নাকি পরাবে না কথাটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছিলো কিন্তু কি বলবো আমি আম্মা কে বলেছিলাম আমি বিয়ে করবো না পড়ালেখা করবো কিন্তু আম্মা বলে... দরকার নেই আর পরার কি হবে এত পরে... কবে দেখা সবে জয়ের সাথে জানা নেই।

পাশে পাবেল কথা বলেই চলেছে আমি উঠে বাড়ির দিকে যেতে লাগলাম।

- একি চলে যাচ্ছ কেন?

আমি অবাক চোখে তাকালাম একটু আগেই তো আপনি করে বলছিল আর এখন তুমি বলছে। ছেলের মতি গতি ভালো না আর না দাড়িয়ে চলে গেলাম।

দুইদিন আর বাড়ি থেকে বের হলাম না। সব সময় পাবেল ছেলে টা পেছনে লেগে থাকে।ক্ষেতে থেকে শাক তুলে বাড়ি যাচ্ছি হঠাৎ সামনে পাবেল কে দেখলাম।

- হে নিলা তুমি কোথায় থাক দেখি না যে।

আমি তাকে ইগনোর করে চলে আসতে নিলে সে আমার সামনে এসে বলে।

- কি হলো কথা বলছো না যে যানো তোমায় কতো খুজেছি কিন্তু পায় নি।

- কেন খুজেছেন?

- নিলা আমি ভঙিতা পছন্দ না সরাসরি বলছি। আই লাভ ইউ

আমি এটা শুনে নিরবে তার দিকে তাকিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে অসতে নিলে আমার হাত ধরে ফেলে।

- কিহলো আমার উওর না দিয়ে যাচ্ছ যে।

আমি তো রেগে তাকালাম এভাবে হাত ধরায়।

- হাত ছারুন

- আগে উওর দাও।

এবার আর রাগ কন্টোল করতে পারলাম না ঠাস করে চর বসিয়ে দিলাম ওনার গালে ওনি আগুন চোখে তাকালো আমি জানি সে অনেক রেগে গেছে আর না দাড়িয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে এলাম।

পরদিন

সকালে হঠাৎ আম্মা এসে আমাকে শাড়ি পরতে বলল আমি জিগ্গেস করলে ধমক দিয়ে চলে যায়। আমি কিছু বুঝতে না পেরে শারি রেখে ওই ভাবেই বসে থাকি একটু পর মা এসে আমাক বকে শাড়ি পরিয়ে মাথায় ইয়ি বড় ঘুমটা দিয়ে বাইরে নিয়ে আসে। এখানে এসে দেখি চেয়ারম্যান সাহেব বসে আছে তার সাথে তার বউ ও আছে আমাকে দেখে কিছু কথা জিগ্গেস করলো কি হচ্ছে কিছু আমার মাথায় ঢুকছে না।

রাতে মা খুশি মনে আমার সাভনে এসে বলতে লাগে।

- ওরা তোকে পছন্দ করেছে রে নিলু দুইদিন পরেই বিয়ে ঠিক করলো এতো ভালো একটা ছেলের হাতে তোকে তুলে দিতে পারবো আমি তো কল্পনা না তে ও ভাবি নি।

মার কথা শুনে আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেল ভাকে জিগ্গেস করে জানতে পারলাম চেয়ারম্যান সাহেব তার ছেলের জন্য আমাকে দেখতে এসেছিল। আর দুইদিন পর বিয়ে?

চলবে......

1
$ 0.00
Avatar for Hasan16
3 years ago

Comments