Love

0 0
Avatar for Hasan16
3 years ago

#গল্পটা_ভালোবাসার💞💞💞

#সিজন_2

#পর্বঃ৩০

#Misty_Meye(মরিয়ম)

আমিঃ এই যে শুনুন।

রোদঃ কি?

আমিঃ আইসক্রিমের দোকান খুলেছে।

রোদঃ তো?

আমিঃ তো মানে? আইসক্রিম খাবো না।

রোদঃ তুমি না চা খেলে।

আমিঃ তো কি হইছে। চা খাইয়া আইসক্রিম খাইতে নাই নাকি?

রোদঃ এতো সকালে আইসক্রিম কিনতে দেখলে না সবাই তোমাকে পাগল ভাববে।

আমিঃ ভাবুক। আপনি চলুন।

এরপর রোদ আমাকে আইসক্রিম কিনে দেয়। আর আমরা আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি তিয়াষ,রোদ্দুর,রোদেলা সবাই বসার রুমে বসে আছে।

আমি আর রোদ সবাইকে দেখে অবাক হয়ে গেছি। এতো তাড়াতাড়ি ওরা উঠলো কিভাবে?

রোদঃ তোরা কখন উঠলি?

রোদ্দুরঃ তোমরা কই ছিলা ভাইয়া?

রোদঃ বাইরে।

রোদেলাঃ তোমাদের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। দরজা খুলা ছিলো তাই তোমার রুমে গিয়ে দেখলাম তোমরা কেউই নাই। ও ভাইয়া তুমি ভাবীকে নিয়ে ঘুরতে গেছিলা। আমাদের ও নিতা।

মিষ্টিঃ আমি বলছিলাম তোমাদের ও নিতে । কিন্তু তোমার ভাইয়া আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে কিন্তু তোমাদের নেওয়ার কথা শুনলোই না। (ইচ্ছা করেই মিথ্যা কথা বললাম।)

রোদঃ 😡

আমিঃ☺

এরপর ওরা সবাই রোদকে ইচ্ছা মতো বলছে। আর রোদ ও চুপ করে শুনছে। আর রাগছে। আমি রুমে গিয়ে পায়ের উপর পা তুলে আরামে মোবাইল গুতাচ্ছি। আর ওদিকে রোদ ওদের সাথে ঝগড়া করছে।

রুমে এসে আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে রোদ ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে অফিসে চলে যায়। আমাকে কিছুই বললো না। অফিসে গিয়ে রোদের মনে পড়ে মিষ্টির কথা। ভাবছে ও কিভাবে কাল রাতে মিষ্টির পাগলামি সহ্য করলো। এতো কান্না তারপর আমার ওর টি-শার্টে এগুলা ভাবতেই রোদের হাসি পাচ্ছে। রোদ আরো আশ্চর্য হচ্ছে ওর একটুও রাগ হচ্ছে না। বরং ভালো লাগছে।

ও তো মিষ্টিকে একদম সহ্যই করতে পারেনা কিন্তু আজকে ওর সেটা একদমই মনে হচ্ছে না। ওর মিষ্টির হাসিটা মনে পড়তেই নিজে ও হেসে দেয়। মিষ্টির ঝগড়াটাকে মনে পড়তেই আরো খুশি হয়ে যায়। রোদের মনটা মুহূর্তেই খুশি হয়ে যায়। সারাদিন ওর মিষ্টির কথা ভাবতে ভাবতেই শেষ হয়ে যায়। এক রাতেই নিজের এতো পরিবর্তনে নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছে ও ।

রাতে বাসায় আসার সময় রোদ মিষ্টির জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসে। মিষ্টি তো সেই খুশি। ও রোদকে একটা থ্যাংকস দিয়ে খেতে শুরু করে।

এভাবে একমাস কেটে যায়। এ একমাসে রোদ মিষ্টির প্রতি কিছুটা দূর্বল হয়ে পড়েছে। ও সেটা বেশ বুঝতে পারছে। মিষ্টি আর রোদের সম্পর্ক আগের থেকে একটু স্বাভাবিক হয়েছে। আগের মতো কথায় কথায় ঝগড়া হয়না তবে যখন হয় তখন সেই রকমের ঝগড়া হয়।

,

,

,

,

,

বসার ঘরে আমার শ্বশুর -শাশুড়ি আমাদের সবাইকে ডেকে পাঠিয়েছে। ওখানে গিয়ে শুনলাম ঊনারা রোদ্দুর আর তিয়াষের বিয়ের জন্য সবাইকে ডেকেছেন। ওদের বিয়েটা ও উনারা তাড়াতাড়ি দিয়ে দিতে চাইছে। আর এ কাজে আমি উনাদের সাহায্য করছি। রোদ্দুর আর তিয়াষ তো লজ্জা আর খুশিতে লাল হয়ে গেছে। আর রোদ অবাক হয়ে গেছে। কারন ও এতোদিন তো জানতোই না যে তিয়াষ আর রোদ্দুর নিরা আর তিশাকে ভালোবাসে। ও শুধু চুপচাপ শুনেই যাচ্ছে। আমি ওর অবস্থাটা বেশ বুঝতে পারছি।

রুমে এসে ও আমাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে।

আমিঃ আপনি জানবেন কিভাবে? ভাই-বোনের ব্যাপারে তো কোন খোঁজ খবর রাখেন না তো জানবেন কিভাবে? শুনুন ওরা না অনেক আগে থেকেই একে অপরকে ভালোবাসে। আমাদের বিয়ের আগ থেকেই।

রোদঃ এতো আগে থেকে। বাবা মা ও জানে অথচ আমিই জানলাম না।

আমিঃ ওই যে বললাম খবর রাখলে না জানবেন।

রোদঃ এক জনই বাড়িটারে পালটিয়ে দিলো আর বাকি দুই জন আসলে আল্লাহ্‌ই জানে কি হয়?

আমিঃ 😈,,,,,,,,

,

,

,

,

,

সারাবাড়ি লাইট, ফুল দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। সাথে হৈ চৈ এ পুরো বাড়ি মেতে আছে। হবে নাই বা কেনো বিয়ে বাড়ি বলে কথা। আমার ও ভীষণ আনন্দ হচ্ছে আমার দুই বোন এখানে চলে আসবে। তারপর আমরা তিনজন একসাথে কতো মজা করবো। আহঃ!

তিয়াষ, রোদ্দুর আর রোদেলা আরো কয়েকজন সবাই একসাথে গল্প করছে। আজকে তো ওদের গায়ে হলুদ। কিন্তু ওদের দেখে একদম মনেই হচ্ছে না যে ওদের আজকে বিয়ে। আমি ও বাড়ি সাজাতে ব্যস্ত।কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়ে হলুদ শুরু হবে। আমিই সব কিছুর আয়োজন করছি। কিন্তু রোদ্দুর আর তিয়াষের বদলে রোদকে দেখে অনেক অবাক হয়ে যাচ্ছি। রোদের ভাইয়ের বিয়েতে রোদ কেনো? রোদকে সকলে গায়ে হলুদ দিচ্ছে। আমি ও দিচ্ছি। কিভাবে এগুলা হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কিন্তু রোদের বিয়ে কার সাথে হচ্ছে সেটা ও আমি জানি না।

বিয়ের সময় রোদ ভীষণ হাসি খুশি হয়ে আছে । আমাকে যেন বাড়ির কেউই চিনছে না সকলের এমন ভাব। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আচ্ছা এরা পরে আমাকে সারপ্রাইজ দিবে না তো। রোদ তো আমার দিকে তাকাচ্ছেই না। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটা মেয়ে লাল শাড়ি পড়ে আসলো। আর রোদের সাথে বিয়েটা ও করে নিলো। এবার আমি কেঁদেই দিলাম। আমার এগুলা একদম সহ্য হচ্ছে না। আর তারপর আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওরা আমারই রুমে ঢুকে গেলো।

চলবে...............

1
$ 0.00
Avatar for Hasan16
3 years ago

Comments