#হয়তো_ভালোবাসি
#part_07
পরেরদিন সকালে
নেশা আর আকাশ বসে ব্রেকফাস্ট করছে।।হঠাৎ নেশার চোখে কিছু গেল।
নেশাঃ আহহ
আকাশঃ কি হলো😟
নেশাঃ জানি নাহ আকাশ মনে হয় চোখে কিছু পরেছে
আকাশঃ দেখি
আকাশ নেশার চোখ দেখার জন্য তার সামনে দাড়ালো।একটু পর আকাশ নেশার চোখের দিকে ভালো করে তাকালো।কেমন ঘোর লেগে যাচ্ছে তার। নেশাও আকাশের দিকে তাকালো।আকাশের চোখ গেল নেশার ঠোঁটের দিকে। নেশার ঠোঁট গুলো অতিমাত্রায় লাল।যা দেখে আকাশের ঘোর লেগে গেল।হাত দিয়ে কিছুক্ষণ স্লাইড করলো।নেশা এখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।মুখে দুষ্টু হাসি।আকাশ ধীরে ধীরে নেশার ঠোঁটে যেই নাহ কিস করতে যাবে নেশা আকাশের বুকে মুখ লুকালো🙈🙈।।আকাশ ও ব্যাপার টা বুঝে মুচকি হেসে নেশাকে জড়িয়ে ধরলো।
আকাশঃ আমার কলিজাটার বুঝি লজ্জা করছে
নেশাঃ জানি নাহ🙈🙈[আরো জোরে আকাশকে জড়িয়ে]আকাশ ও হেসে নেশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
আর এই সব গুলো ঘটনা চোখে পড়লো নীড়ের।কিন্তু তাদের মধ্যে যে লিপ কিস হয়নি তাতো নীড় দেখেনি।দেখেছে আকাশ আর নেশা কাছাকাছি দাড়িয়ে আছে,খুব ক্লোজ হয়ে।আর কি লাগে। ভেবে নিলো ওদের মধ্যে ইন্টিমেট চলছে।।নীড় তো রেগে বোম।
নীড়ঃ কাজটা তুমি ভালো করলে নাহ নেশা। এর ফল তোমাকে পেতে হবে।[বলেই হনহন করে চলে গেল ]
সবাই মিলে অনেক ঘুরলো কিন্তু নীড়ের কোন খোঁজ পাওয়া গেল নাহ।সবাই ভেবেছে হয়তো কোন কাজে বিজি আছে।
রাতে-নেশা ঘুমের মধ্যে অনুভব করলো কেউ তার দম আটকে রেখেছে।সাথে সাথে ঘুম ভেঙে গেল।আর দেখলো কেউ তাকে লিপ কিস করছে😳।কিন্তু অন্ধকারে মুখ দেখা যাচ্ছে নাহ।নেশা খুব জোরে ধাক্কা দিলো লোকটি খাটের একদম অপর পাশে সরে গেল।নেশা গিয়ে লাইট অন করলো।
নেশাঃ আপনি😡😡[সবাই যা ভাবসো তাই।নীড় ছাড়া আর কে।নেশা নীড়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওর চোখ গুলো মারাত্নক পরিমানে লাল হয়ে আছে।যেন চোখ দিয়েই জ্বালিয়ে দেবে নেশাকে।নেশা চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেল।তবুও সাহস জুগিয়ে বললো]নেশাঃ আপপনি একখনে কে....আর বলতে পারলো নাহ।কারন নীড় আবার নেশার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়েছে। নেশা ছাড়ার জন্য মোচড়ামুচড়ি করছে। কিন্তু লাভ হলো নাহ।নীড় অনেক শক্ত করে ধরে রেখেছে তাকে।খুব রুডলি কিস করছে।সব রাগ কমার অনেক্ক্ষণ পর ছাড়লো। তারপর নেশার দিকে তাকালো।নেশার চোখ থেকে পানি পরছে।নীড় তা ঠোঁট দিয়ে শুষে নিলো।নেশা কেপে উঠলো। নেশার কাপনি দেখে নীড় মুচকি হাসলো। নেশার ঠোঁট গুলো কাপাকাপি করছে।যা দেখে নীড়ের আরো লোভ লাগলো।আলতো করে ঠোঁটে কিস করলো।তারপর খুব জোরে একটা কামড় দিয়ে ছেড়ে দিলো।
নেশাঃ আহহ😣
নীড়ঃ সরি জান।খুব লেগেছে তাই নাহ[নেশার ঠোঁটে হাত বুলাতে বুলাতে ]
নীড়ঃ জানো আমার ও খুব লেগেছিলো।যখন তোমাকে আকাশের সাথে দেখেছিলাম।প্লিজ পরের বার থেকে এমন করো নাহ।তুমি শুধু আমার কাছে আসবে।আর কারো নাহ। না হলে আজ যেটুকু বাকি আছে সেটুকু ও পরের বার করে ফেলবো [বলেই মুচকি হেসে নেশার কপালে কিস করে বেরিয়ে গেল রুসকালে
নীড় চুপচাপ জুস খাচ্ছে। আর দেখছে।কেননা নেশা হোটেলের অলমোস্ট সব ভেঙে ফেলেছে রাগে।কিন্তু নেশাকে থামানোর চেষ্টা করছে নাহ নীড়। কারন সে জানে এখন নেশার সামনে গেলে তাকে খুন ও করে ফেলতে পারে নেশা।সায়ান,রাফি,নিসু কেউই থামাতে পারছে নাহ নেশাকে। হঠাৎ আকাশ আসলো।আসলে সে বাইরে গেছিলো। এখন আসলো।আর এসেই দেখে সব তছনছ করে ফেলেছে নেশা।
আকাশঃ নেশা এইসব কি😟😟😟
নেশা কোন কথা বলছে নাহ শুধু ভেঙেই যাচ্ছে।আকাশ গিয়ে দৌড়ে নেশাকে জড়িয়ে ধরলো নেশাকে।
আকাশঃ জান প্লিজ ঠান্ডা হও।কি হয়েছে আমায় বল।
নেশাঃ আমায় ছাড়ুন আকাশ। ছাড়ুন [বলতে বলতে আকাশের কোলে ঢলে পড়লো ]
আকাশ নেশাকে তার দিকে ঘুরালো।।অজ্ঞান হয়ে গেছে নেশা। আকাশ তাকে কোলে করে নিয়ে রুমে চলে গেল। নেশাকে কোলে নেয়াটা নীড়ের একদম পছন্দ হলো নাহ।রাগে হাতে থাকা জুসের গ্লাস টা জোরে চেপে ধরলো।যার ফলে গ্লাস টা ভেঙে হাতে ডুকে গেল। কিন্তু নীড়ের তো সেদিকে খেয়াল নেই সে তো নেশাকে আকাশ কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে আছে।সায়ান দেখলো ব্যাপার টা।
সায়ানঃ একি তোর হাত কাটলো কিভাবে।রক্ত পড়ছে তো।
নীড়ঃ ওর সাহস কি করে হলো নেশাকে কোলে নেয়ার।মেরে ফেলবো একে
সায়ানঃ মানে।এই নীড় কি বলছিস এইসব[নীড় কে ঝাকি দিয়ে]
নীড়ের হুস আসলো.সায়ানের দিকে তাকালো
নীড়ঃ কি হয়েছে?
সায়ানঃ তোর কি হয়েছে কিসব বিড়বিড় করছিস?
নীড়ঃ কিছু নাহ।
সায়ানঃ আচ্ছা। চল তোর হাতে ব্যান্ডেজ করে দেই।
নীড়ঃ লাগবে নাহ[বলে নীড় চলে গেল]।
এইদিকে
ডাক্তার এসে নেশাকে চেক করে গেল।অতিরিক্ত মেন্টাল প্রেসারের কারনে এমন হয়েছে।
ধীরে ধীরে নেশার জ্ঞান ফিরল
আকাশঃ এখন কেমন লাগছে তোমার??কিছু খাবে?অডার দেই??
নেশাঃ আমি ঠিক আছি আকাশ। আপনি শান্ত হোন।
আকাশঃ কিভাবে শান্ত হবো।তোমার কি হয়েছিল আগে বল।এমন করলে কেন? কেউ কিছু বলেছে?
নেশাঃ নাহ কেউ কিছু বলেনি।
নিসুঃ তাহলে এতো পাগলামি কেন করলি বইন।আমরা তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম।হোটেল তো ভেঙে পুরো গুড়ো গুড়ো করে দিয়েছিস😑
আকাশঃ এমন হোটেল দশটা ভাঙলেও কিছু হবে নাহ আমার।কিন্তু নেশা প্লিজ সত্যি করে বলো কেউ কি তোমায় কিছু বলেছে। না হলে তুমি শুধু শুধু এইভাবে রাগ করলে কেন?
নেশাঃ মনে মনে- যদি নীড়ের কথা বলি আকাশ ওকে মেরেই ফেলবে।
নেশাঃ নাহ কেউ কিছু বলে নি।আপনি সকালে নাহ বলে চলে গেছিলেন তাই রাগ উঠে গেছে😐
আকাশঃ যাস্ট এইজন্য? সকালে তোমার রুমের দরজা লক ছিলো তাই ডিস্টার্ব করিনি।তুমি তো আমায় ফোন দিলেই পারতে।।
নেশাঃ ফোন আপনিও তো দিতে পারতেন।জানেন যে রাগলে আমার মাথা ঠিক থাকে নাহ😒
আকাশঃ খানিকটা হেসে- ওকে আমার ভুল হয়ে গেসে আপনাকে বলে নাহ যেয়ে। আই এম সো সরি🙉🙉
নেশাঃ ইটস ওকে 😒।
আকাশঃ আচ্ছা তুমি বরং এখন একটু রেস্ট নাও।
নেশাঃ আকাশ আমি বাড়ি যেতে চাই।
আকাশঃ এখন?!!
নেশাঃ হুম কেন নিয়ে যাবে নাহ🥺
আকাশঃ কেন নেবো নাহ। কিন্তু কাল তো এমনিতেই চলে যাবে তো আজ কেন যেতে চাইছো?
নেশাঃ আমি যাবো মানে যাবো।এখনি যাবো।আকাশঃ তুম....নেশাঃ আকাশ আমি বলেছি যখন যাবো তখন যাবোই।তুমি নিয়ে যেতে নাহ পারলে বল আমি একাই চলে যাবো।আকাশঃ আরে নাহ।।আচ্ছা রেডি হও একটু পর বের হবো।নিসুঃ মানে কি তুই আজ কেন যাবিনেশাঃ আমার ভালো লাগছে নাহ নিসু।প্লিজ জোর করিস নাহ।নিসুঃ নাহ মানে নাহ।তুই যাবি নাহ।।তাহলে আমি ও চলে যাবোনেশাঃ নিসু পাগলামি করিস নাহ।আমি তো সাংগীত এ যাচ্ছি ই। তাহলে প্রবলেম কোথায়নিসুঃ নাহ তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড। তুই আমায় একা রেখে যেতে পারিস নাহ😢😢😢😢নেশাঃ উফফ কি জ্বালা।তুই এখন কান্না অফ কর যাবো নাহ আমি কোথাও। হেপি।নিসুঃ হেপি নাহ মানে খুব হেপি। উম্মাহহহহ😘😘
নেশাঃ 😳😳🙊🙈আকাশঃ নেশা তোমার হাতে এগুলো কিসের দাগ??নেশাঃ নাহ কিছুর নাহ। দরজার সাথে লেগে এমন হয়ে গেছে [আসলে নীড় যে ওইসময় নেশার হাত চেপে ধরেছিলো তখন এমন দাগ হয়ে গেছে ]আকাশঃ দরজার সাথে লাগলো কিভাবে🤨নেশাঃ উফফ তুমি অফ করবা তোমার এই জেরা।আমি একজন অসুস্থ মানুষ কই একটু রেস্ট নিবো নাহ খালি প্রশ্ন আর প্রশ্ন। বিরক্তকর
আকাশঃ ওকে ওকে সরি তুমিচলবে