ঘৃণার মেরিন
part : 18
season : 2
writer : Mohona
.
নীড় বাসায় এসে রুমে ঢুকে দেখে মেরিন নেই ।
নীড় : গেলো কোথায়? মেরিন... মেরিন...
নীড় খুজতে লাগলো মেরিনকে। দেখে রান্নাঘরে মেরিন রান্না করছে। নীড় গিয়ে দুম করে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো।
.
মেরিন : কি হলো? 😒।
নীড়: কতোক্ষন ধরে ডাকছি.... সারা তো দিবে....
মেরিন: কি লাগবে? বলুন দিচ্ছি...
নীড়: তোমাকে লাগবে...
মেরিন আর জবাব না দিয়ে চুপচাপ কাজ করতে লাগলো। নিজেকে ছারানোর চেষ্টা করে লাভ হলোনা। তাই আর চেষ্টাও করলোনা।
নীড় : কি রান্না করছো?
মেরিন: আমার মাথা.... এখন ছারুন।
নীড়: ছারুন ছারুন করছো কেন? নিজে যখন জরিয়ে ধরো তখন....
মেরিন : আর ধরবোনা। হইছে? এখন তো ছারবেন?
নীড় : মানে কি হ্যা মানে কি? ধরবেনা কেন? ও হ্যা ঠিকই তো। ধরবে কেন? আমি তোমাকে জরিয়ে ধরবো।
বলেই নীড়ের মেরিনের ঘাড়ে কিস করলো।
মেরিন বেসামাল হয়ে গেলো। আর ক্যাচ করে হাত কেটে গেলো।
কিন্তু কোনো আওয়াজ করলোনা। কারন এতোটুকু কেটে যাওয়া ওর কাছে কিছুইনা এখন। পানি ভরতি পাত্রে হাত ডুবিয়ে রাখলো। আর অন্য হাত দিয়ে রান্না করতে লাগলো।
.
নীড় তো নিজের কাজেই ব্যাস্ত। মেরিনের ঘাড়ে মুখ গুজে আছে। মেরিন ১হাতেই কোনোরকমে কাজ করছে। ১টা servant হঠাৎ করে চলে এলো । তার হাতে চায়ের কাপ ছিলো। নীড়-মেরিনকে দেখে হাত থেকে পরে গেলো। আর নীড়ের হুশ ফিরলো। servant লজ্জা পেয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
নীড় : আজব পাবলিক.... romance কর.... একি তোমার হাত কাটলো কি করে?
মেরিন: এমনিতেই....
নীড়: দেখি আসো ব্যান্ডেজ করে দেই।
মেরিন: লাগবেনা। পরে করে নিবো। কাজটা শেষ করে নেই।
নীড় কোনো কথা না বলে কাধে তুলে মেরিনকে রুমে নিয়ে গেলো। হাতে ব্যান্ডেজ করতে লাগলো । আর বকতে লাগলো। নীড়কে দেখে যে কেউই বুঝবে যে মেরিনের কাটা হাত দেখে ওরই বেশি কষ্ট হচ্ছে। মেরিন নীড়কে দেখছে। মেরিন দুম করে নীড়ের ঠোটে কিস করে দিলো। এরপর অন্যদিকে তাকিয়ে রইলো। নীড় মুচকি হাসি দিলো।
.
কিছুদিন পর....
নীরা সুস্থ হলো। ওকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো।
নীড় : আমরা airport কেন এলাম বলবা?
মেরিন: কাউকে welcome জানাতে....
নীড়: তোমার কাজ সত্যিই অদ্ভুদ।
মেরিন: আমি জানি।
নীড় : কাকে welcome জানাতে এসেছি সেটা তো বলবে...?
মেরিন: সামনে তাকান বুঝে যাবেন....
নীড় সামনে তাকালো। দেখলো নীরা হেটে আসছে । সাথে ৬-৭জন গার্ড।
নীড় : নীরা....
মেরিন: your love...
নীড় : তু....
মেরিন দৌড়ে গিয়ে নীরাকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন: আপু....
নীরা তো অবাক সেই সাথে হয়ও পাচ্ছে প্রচুর । মেরিন এতো নরমাল ব্যাবহার করছে। এরমানেই ঝামেলা আছে।
মেরিন : thanks god... যে তুমি ঠিক আছো... সুস্থ আছো। তুমি না বাচলে যে আমার নীড় uffs.... তোমার নীড়ও...
তোমার বিরহে তো নীড় পাগল হয়ে গেছে... সত্যি একেই বলে ভালোবাসা। যে ভালোবাসা কখনো আমায় দিয়ে হবেনা। আমার তো বন্দুক ঠেকানো ভালোবাসা...
উনি তোমাকে মন থেকে ক্ষমা করে দিয়েছে। এমন ভালোবাসা আর কোথাও পাবেনা । যাও গিয়ে নতুন করে জীবন সাজাও।
মেরিনের কাহিনি নীড়ের মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। তবে মেরিন যে অভিমানে সব করছে সেটা বেশ বুঝতে পারছে। মেরিন নীরার হাত টেনে এনে নীড়ের হাতে দিলো। এরপর ওদের হাতে ১টা envelope দিলো।
মেরিন : এটাতে switzerland এর tickets আছে। এটা আপনাদের জন্য আমার gift... honeym.... uffs pre-honeymoon এর.... all the best... bye....
বলেই মেরিন চলে যেতে নিলে নীড় ওকে টেনে নিজের কাছে আনলো।
নীড়: এসবের মানে ক....
আর বলতে পারলোনা। মেরিন নীড়ের ঘাড়ে ১টা injection মেরে দিলো। নীড় জ্ঞান হারালো।
.
৩ঘন্টাপর....
দেখলো ও ১টা রুমের মধ্যে আবদ্ধ। বেশ বড় রুমটা। সাথে attached kitchen & washroom ও আছে। পাশ ফিরে দেখে নীরা শুয়ে আছে । নীড় লাফ দিয়ে ওখান থেকে সরে এলো। তখন নীড় কারো হাসির শব্দ পেলো। কিন্তু কাউকে পেলোনা।
মেরিন : কি খুজছেন? আমাকে? পাবেন না... খু....ব শখ না আপনার আমাকে ফেলে নীরার কাছে যাওয়ার? ওর সাথে থাকার...
নিন থাকুন। যতোদিন ইচ্ছা থাকুন...
আপনার ইচ্ছা পূরন না করে পারি....
নীড় : ইচ্ছা পূরন? আমার আরো কতো ইচ্ছা ছিলো। পূরন করেছিলে...
মেরিন : আপনাকে মুক্তি দেয়ার তো... সেটা তো সম্ভব না। তবে ১টা offer কিন্তু দিয়েছিলাম... আমার আম্মুকে যদি খুজে বের করেন তবে আপনাকে মুক্তি দিবো।
নীড় : ....
মেরিন : whatever ... আপনাকে ভালোবাসি। কিন্তু ভুলের শাস্তি দিবোনা এটা ভাবা ভুল।
enjoy your punishment .... মানে pre-honeymoon..
নীড়: ভুল করলে মেরিন... পস্তাতে হবে তোমায়... ভালোভাবে বলছি আমাকে এখান থেকে বের করো....
মেরিন :না করলে?
নীড় : তুমি কিন্তু ভালো মতোই আমকে চেনো।
মেরিন : শাস্তি দিবেন? মেরিনের জন্য আর নতুন কোনো শাস্তি নেই।
bye....
.
একটুপর...
মেরিন রুমটার camera on করলো। কিন্তু on হচ্ছেনা।
মেরিন: মানে কি?
মেরিন ফুটেজ দেখতে লাগলো। দেখলো নীড় ক্যামেরার সামনে এসে ঠাস করে ভেঙে দিলো। মানে ভাঙতে নিলো। ভাঙার পর তো আর দেখা যায়না। 😅।
মেরিন ছুটে গেলো। আসলে ও তো পাশের রুমেই ছিলো। দেখলো দরজা ভাঙা। আর নীরা হাত-পা-মুখ বাধা অবস্থায় আছে। সেই সাথে থাপ্পরের দাগ। আর মাথা ফেটে রক্তও বের হচ্ছে । দেয়ালে রক্ত দেখলো । যার মানে দেয়ালে নীড় নীরার মাথা ফাটিয়েছে। কিন্তু কোথাও নীড় নেই। মেরিন নীরার চুলের মুঠি ধরে
বলল: আমার নীড় কোথায়? বল আমার নীড় কোথায়?
নীরার এমনিতেই হাল খারাপ। তারওপর মুখ বন্ধ। উত্তর দিবে কি করে?
মেরিন : কথা বলছিস না কেন? জন....
জন... জন দৌড়ে এলো।
মেরিন: নীড় কোথায়?
জন: দেখিনি ম্যাম...
মেরিন: কেন চুরি করতে গিয়েছিলে.... stupid ... এটাকে নজরে রেখো।
বলেই মেরিন নীড়কে খুজতে বেরিয়ে গেলো। পাগলের মতো খুজতে লাগলো নীড়কে। পেলোইনা । লোক লাগিয়ে দিলো চারিদিকে লোক লাগিয়ে দিলো নীড়কে খোজার। কিন্তু পেলোনা।
.
৩দিনপর....
নীড়ের কোনো খবর নেই। মেরিন তো পাগল প্রায়। খাওয়া-দাওয়া-ঘুম সব বন্ধ। অসুস্থ হয়ে পরেছে মেরিন।
মেরিন : কেন সেদিন এমন করলাম... কেন এমন শাস্তি দিলেন আমায়.... আমি....
তখন নীলিমা পাগলের মতো দৌড়ে এলো।
নীলিমা : নীড় ফিরেছে....
মেরিন কথাটা শুনে এই শরীর নিয়েই দৌড়ে নিচে নামলো। গিয়ে দেখে নীড় দারিয়ে আছে । ছুটে গিয়ে নীড়কে জরিয়ে ধরলো। হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
মেরিন: কেন আমাকে ছেরে গিয়েছিলেন? কেন কেন কেন? এতো বড় শাস্তি কেন দিলেন? 😭 । আর কখনো আমি এমন করবোনা। আপনি কেন বোঝেন না.... কেন চলে গেলেন... আমাকে মারতেন বকতেন.. কথা দিন আর কখনো আমাকে ছেরে যাবেন না please ...
নীড় বুঝতে পারলো মেরিনের মনের হাল। তাই নীড়ও মেরিনকে শক্ত জরিয়ে ধরলো।
নীড় : যাবোনা....
মেরিন : promise ....
নীড় : promise ...
নীড় মেরিনের মাথায় চুমু দিলো। মেরিন নীড়কে ছারলো। কিন্তু ছেরে যেই নীড়ের পিছে নজর গেলো মেরিনের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো। কারন কনিকা-নাসিম দারিয়ে আছে। মেরিন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। ও ধীর পায়ে কনিকার দিকে এগিয়ে গেলো। কনিকার মুখে হাত বুলিয়ে দিলো। না মেরিন আর মেনে নিতে পারলোনা। অজ্ঞান হয়ে গেলো। কবির মেরিনকে ধরতে এলে নীড় বাধা দিলো। ধরতে দিলোনা। সবাই হাজার চেষ্টা করেও মেরিনের জ্ঞান ফেরাতে পারলোনা। শেষে ডক্টর তপুকে ডাকা হলো। নীড়ের তপুকে সহ্য হয়না। কিন্তু তপুই মেরিনের treatment এর জন্য better .... তাই ওকেই ডাকলো। তপু চেক করলো।।
তপু: কতোবার বলেছি ওকে tension free রাখতে.... ওকে চাপ না দিতে.... খেতে দেননা ওকে নাকি? এরপর ওর কিছু হলে আর আমাকে ডাকবেন না।
বলেই তপু চলে গেলো।
.
রাতে....
১টা বাজে....
নীড়ের চোখ লেগে এসেছিলো... তখন নীড় শুনতে
পেলো : আম্মু....
নীড় তারাতারি চোখ মেলল। দেখল মেরিন চোখ মিটমিট করছে। আর চোখ বেয়ে পানি পরছে...
নীড় : মেরিন....
মেরিন : আম্মু...
নীড় নিহালকে ফোন করলো।
ফিসফিস করে বলল : বাবা.... মেরিনের জ্ঞান ফিরেছে। মামনিকে বলো যে আম্মুকে ডেকে নিয়ে আসে।
নিহাল : হামম।
নীড় মেরিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। কিছুক্ষন পর সবাই রুমে ঢুকলো।
.
কনিকা মেরিনের পাশে বসলো। এরপর নিজের কোলে মেরিনের মাথাটা নিলো। এরপর মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
কনিকা : আম্মুই... ও আম্মুই.... আম্মুইরে.... দেখো সোনাবাচ্চা আম্মু এসেছি। দেখো ছোট পাখি। আম্মুই টা.... ও আম্মুইটা....
মেরিন কানে সব শুনতে পাচ্ছে। কিন্তু চোখ মেলতে ইচ্ছা করছেনা। ভয় করছে। যদি চোখ মেলে আর কনিকাকে না পায়।
কনিকা : আম্মুই... দেখো না... ও মা টা...
মেরিন ধীরে ধীরে চোখ মেলল। উঠে বসলো। দুচোখ ভরে মাকে দেখতে লাগলো। চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে। কনিকা মেয়ের চোখের পানি মুছে দিলো। মেরিন কনিকাকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো। আর কনিকাও কাদতে লাগলো।
মেরিন : কেন আমাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলে ? কেন এই নষ্ট পৃথিবীতে আমার থেকে আলাদা হলে... কেন আমায় সাথে করে নিয়ে গেলেনা... কেন নিয়ে গেলেনা...
কেউ আমাকে ভালোবাসেনা আম্মু.... আদর করেনা ... সবাই ঘৃণা করে... আমিও আমাকে ঘৃণা করি... তুমিও কি আমায় ঘৃণা করবে আম্মু... আম্মু আমি পচা হয়ে গেছি...
তোমার আম্মুই পচা হয়ে গেছে... খারাপ হয়ে গেছে... তুমিও কি আমাকে ঘৃণা করবে? আমাকে আদর করবেনা? ও আম্মু... ও আম্মু... আম্মুরে...
জানো বাবাও না আমাকে ঘৃণা করে... আগের মতো আদর করেনা, কোলে নেয় না, খাইয়েও দেয় না...
জানো বাবা কি বলে... বাবা বলে আমি নাকি তার মেয়ে না... আম্মু তুমি না বলতে আমি নাকি বাবার মতো হয়েছি....
আমার চোখ নাক ঠোট পাপড়ি কপাল ... সব বাবার মতো...
তুমি না বলতে রাগও করি বাবার মতো...
হাসিও বাবার মতো...
তাহলে বাবা কেন ওই কথা বলে...
জানো আরো কি বলে...
বলে আমি নাকি পাপের ফসল...
আরো কি বলে জানো... বলে আমি নাকি তোমার মতো। চরিত্রহীনা...
জানো আম্মু... এগুলো শুনলে আমার না ভীষন কষ্ট হয় এগুলো শুনলে...
মনে হয় কেউ বুকের ওপর ছুড়ি চালাচ্ছে।
ও আম্মু বাবাকে বলোনা যেন এমন কথা আর না বলে...
আমার ভীষন কষ্ট হয়.... বলবে বলো...
ও আম্মুরে... বলোনা বলবে.... বলোনা... বলবে...
কনিকা কাদতে কাদতে
বলল : হ্যা বলে দিবো... শান্ত হও মা। কান্না থামাও বাচ্চা... আর কেউ তোমাকে ঘৃণা করবেনা.... তোমার বাবাও আবার তোমাকে আদর করবে....
কাদতে কাদতে ১পর্যায়ে মায়ের বুকেই ঘুমিয়ে পরলো মেরিন।
কনিকাও সারারাত মেয়েকে বুকে নিয়েই পার করলো।
.
রাত পার করতে করতে অতীতের বাকী অংশ জেনে আসি।
{{{
কনিকা কোনোরকমে নিজের পরিবারের সূত্র জানতে পেরেছিলো। তাই তার গভীরে যাচ্ছিলো। যেটা শুনে সেতু যা তা বলছিলো। তাই নিজেই গোপনে সত্য খুজতে লাগলো। নাসিমকে ছারা কাউকে বলেনি... যদি বাকীরা মজা নেয়। যদি বলে এতিমের আবার নিজের পরিচয় জানার স্বাধ। সেই সত্যের সন্ধানে যেতো। অথচ যেই সেতুর ভয়ে কথাটা কনিকা গোপনে রেখেছিলো সেই সেতুই সুযোগ বুঝে কবিরের কান ভরেছিলো। মিথ্যা ছবি, মিথ্যা প্রমান সব বের করেছিলো। কবিরও বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিলো। সেতু এটাও প্রমান করেছিলো যে মেরিন রনকের ছেলে। তবে মেরিনের নামে খান বাড়ির সব সম্পত্তি থাকায় মেরিনকে সাথে নিতে বাধা দিয়েছিলো কনিকাকে...
কবির কনিকাকে মেরিনের কসম দিয়েছিলো যেন কনিকা আর কখনো ওদের সামনে না আসে। আসলে মেরিনের মরা মুখ দেখবে। তাই কনিকা এতোদিন কারো সামনে আসেনি। নাসিম যখন মাজার থেকে এসে সব শুনলো তখন কনিকাকে খুজতে বেরিয়ে গেলো। কিন্তু নিলয় এসে তাকে আটক করে ফেলল। তাই সেও আর ফিরলোনা।
}}}
.
পরদিন...
মেরিনের ঘুম ভাঙলো । দেখলো ও মায়ের বুকে।
কনিকা : good morning বাচ্চা...
মেরিন : আম্মু.....
নীড় : বলি হলো মা-মেয়ের ঘুম হলো...?
কনিকা-মেরিন পিছে ঘুরলো।
নীড় : good morning...
কনিকা : good morning ...
নীড় : তারাতারি fresh হয়ে নাও ২জন... আধাঘন্টার মধ্যে press conference আছে...
২জন অবাক হলো।
মেরিন : press conference ?
নীড় : হামম। hurry up...
একটুপর press conference হলো। সেখানে সবার সামনে কনিকার গায়ে মাখা কালির দাগ মুছে দিলো নীড় । সেই সাথে বেরিয়ে এলো কনিকার আসল পরিচয়। কনিকা হলো মাহমুদ বংশের মেয়ে।
.
কিছুক্ষনপর...
সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে। কিন্তু মেরিন নেই। নীড় মেরিনকে খুজছে। সিড়ির দিকে তাকালো। দেখলো off-white রঙের ১টা শিফনের শাড়ি পরে চুল গুলো ছেরে দিয়ে নামছে। শাড়িতে চিকন গোল্ডেন রঙের পার। কোনো সাজ নেই। কেবল নাকে নাকফুল কানে দুল, হাতে চুরি, গলায় ছোট্ট ১টা চেইন। হাতে ১টা envelopeও আছে। নীড় সেটা নিয়ে মাথা ঘামালোনা। কারন ও মেরিনকে দেখতে ব্যাস্ত। বউ বউ লাগছে। মেরিনের মুখে ১প্রশান্তির হাসি । মেরিন এসে নীড়ের সামনে দারালো। নীড় বসা থেকে উঠে দারালো।
মেরিন হাসি দিয়ে বলল : ধন্যবাদ...
নীড় : !!!
মেরিন : খামটা আপনার জন্য। ধরুন...
নীড় ধরলো।
মেরিন: খুলে দেখুন।
নীড় খুলল। ভেতরের কাগজটা পড়ে সাংঘাতিক ক্ষেপে গেলো। কারন এটা divorce paper ..
ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
.
চলবে...
0
7