গল্প: ক্যালেন্ডার!
পর্ব: ১৩!
লেখক: তানভীর তুহিন!
সকাল ৮ টা বাজে। সবাই জাফলং এর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েছে। হোটেল কায়কোবাদ এরিয়া থেকে জাফলং যাবার মাধ্যম ৪ টা তা হলো লোকাল বাস, অটো কিংবা সিএনজি, মাইক্রোবাস এবং লেগুনা। সবাই মিলে ঠিক করলো ওরা লেগুনা করে জাফলং যাবে। কারন এই বাস, টেম্পু, মাইক্রো এসবে ওরা সবাই'ই চড়েছে। কিন্তু লেগুনায় চড়েনি, আর লেগুনায় সচরাচর চড়াও হয় না। তাই লেগুনায় যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবাই, একদম যৌথ ঐক্যমত। দুটো লেগুনা ভাড়া করা হলো, যাবে আসবে প্রতিটা লেগুনা ১২০০ টাকা দরে। ২১ জন হওয়ায় দুটো লেগুনায় অনায়াসেই ম্যানেজ হয়ে গেছে সবাই।
লেগুনা খট খট আওয়াজ শুরু করে পথচলা শুরু করেছে। রাস্তাটা অনেকটা ছ্যাকাখাওয়া প্রেমিকের মতো, একদমই নিশ্চুপ নির্বিকার। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ'ই আর্তনাদ দিয়ে চারপাশ ফাটিয়ে দেওয়া হৃদয়ভাঙন। রাস্তার এই হৃদয়ভাঙন মানে হলো রাস্তার বুকের খোপ খোপ গর্তগুলো। যখনই এই ছোট ছোট গর্তগুলো পিছনে ফেলে লেগুনাটা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই পুরো লেগুনাটা নেচে উঠছে, একদম উঠোন কাপানো নৃত্য যাকে বলে। লেগুনার এই অনাকাঙ্ক্ষিত নৃত্যের তাড়নায় সীমান্ত বিরক্ত হয়ে বলে, " এই বালের গাড়িতে উঠলাম ক্যা বাল? আমার পাছা তো নাই হইয়া গেলো। এইভাবে চলতে থাকলে আমি আর পাছা নিয়ে হোটেলে ফিরতে পারবো না। ডাইনোসর এর মতো আমার পাছাও বিলুপ্ত হয়ে যাবে! "
সবাই'ই লেগুনার এই হেলদোলে বিরক্ত ছিলো। কিন্তু সীমান্তর কথায় সবারই বিরক্তি কেটে গেছে, সকালবেলার তাজা বিনোদনের প্রভাবে সবাই হো হো করে হেসে ওঠে। শাওন লেগুনার ড্রাইভারকে ডাক লাগায়, " মামা তোমার লেগুনা আর কতক্ষন এমন বিনা গানে নাচানাচি করবো? "
লেগুনার ড্রাইভারের হাসিমুখের সরল উত্তর, " এই তো মামা আরোটটু! "
এখন আর লেগুনা মহাশয় ক্ষ্যাপা ষাড়ের মতো পাগলামি করছে না। একদম ভদ্রগতিতে এগোচ্ছে। লেগুনার প্রবেশদ্বারের পাশের সিটেই বসেছে মুবিন, আর মুবিনের পাশেই মিছিল। একটু বাদে বাদেই মিছিল মুবিনের হাটুতে কনুই দিয়ে ভর দিয়ে বাইরেটা দেখছে। আজ যেনো রোদ আর প্রকৃতির বাসর, ঠিক এমনভাবেই রোদ উঠেছে। মাথার উপর লেগুনার এই লোহার ছাদটুকু না থাকলে হয়তো সবার চামড়া পুড়ে রুটি হয়ে যেতো। বাইরে প্রখর রোদ থাকলেও তেমন গরম লাগছে না, তেমন কি? কোনো গরমই লাগছে না। বরং লেগুনা দ্রুতগতিতে চলার ফলে ফুরফুরে বাতাস লাগছে। বাতাসের ফলে মিছিলের চুলগুলো এসে মুবিনের মুখের বা পাশটায় আছড়ে পড়ছে। মুবিন সেই চুলগুলোর দিকে তাকাতে গিয়ে আর মিছিল নিজের বেহায়া চুলগুলোকে শাসন করতে গিয়ে বারবার চোখাচোখি হচ্ছে দুজনে। মুবিনের বেশ ভালো লাগছে এই চোখাচোখি হওয়ার মুহুর্তটা। যখনই চোখদুটোর কেন্দ্রবিন্দু এক হয়ে যায় তখনই মনে হয় সময়টা যেনো থেমে গেছে, থেমে গেছে যেনো সব, থেমে গেছে নিঃশ্বাস, থেমে গেছে চারপাশ, থেমে গেছে বাতাস, থেমে গেছে আকাশ, চলছে শুধুই দুজনার মাতাল হৃদযন্ত্র। দুজনেই যেনো সেই মুহুর্তে শুনতে পাচ্ছে দুজনার হৃদযন্ত্রের উত্তাল, মাতাল ধ্বনি। নিজের পছন্দের মানুষটার পাশে বসে সকালের এই প্রকৃতিতে ভ্রমন করাটা চরম সৌভাগ্যের, সেই সৌভাগ্যটার রস নিগড়ে সৌভাগ্যটাকে উপভোগ করছে মুবিন।
সকাল ১০ টায় ওরা সবাই জাফলং পৌছায়। সকাল থেকে এই অবধি কারো পেটে কিছু না পড়ায় সবার পেট ক্ষুধায় চো! চো! করছিলো। তাই দেরী না করে সবাই মিলে পাশের একটা ছোট হোটেলে পরোটা, ডিম, ডাল, ভাজি দিয়ে নাস্তা সেড়ে নেয়। তারপর সবাই মিলে ঘোরা শুরু করে জাফলং। আজ জাফলং এর পুরোটা ঘুরে নেবে ওরা, কারন ট্রিপ পাচদিনের। আর পাচদিনে পুরো সিলেট ঘুরতে হবে, পুরো সিলেট বলতে পুরো সিলেট না। কিছু কিছু বিখ্যাত ভ্রমনযোগ্য যায়গা আরকি।
পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানিতে হাটছে সবাই। চারপাশটা এতোটা মনোমুগ্ধকর যে তা বলে প্রকাশ করা অসম্ভব। এই পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু জিনিস থাকে যার সমন্ধ্যে বলার জন্য শব্দকোষে শব্দ কম পড়ে যায়, ওদের সামনের দৃশ্যপট'ও ঠিক তেমন। সবাই চোখ দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে বিচিত্র প্রকৃতির, বিচিত্র রঙ। মিছিলও দেখছে, মুবিন দেখছে তার প্রকৃতিকন্যাকে। হ্যা জাফলংকে অনেকেই প্রকৃতিকন্যা বলে, আর এটা সত্যিও যে জাফলং যায়গাটা এই খেতাব পাবার যোগ্য। কিন্তু মুবিনের কাছে যে তার প্রকৃতিকন্যা শুধুই মিছিল। একমাত্র মিছিলই!
চারপাশ হেটে হেটে ঘুড়ে দেখা শেষ। এই অপরুপ প্রকৃতি দেখিয়ে নিজের চোখকে ধন্য ও সার্থক করা হয়ে গেছে সবার। এবার নিজের দেহটাকে প্রকৃতি মাখিয়ে সার্থক করার পালা। জাফলং এসে যদি ঝর্নার পানিতে গোসল না করা হয় তাহলে সেটা একদমই প্রকৃতিবিরোধী কাজ। কে না চাইবে? এই হীরার মতো সচ্ছ পানিতে নিজের দেহটাকে বিলিয়ে দিতে? কে না চাইবে এই ঝরনার আছড়ে পড়া পানির শব্দে হারিয়ে যেতে? প্রকৃতিপ্রেম থাকলে এসব চাইতে আপনাকে হবেই। সবাই প্রকৃতিকে সমর্থন করে ঝর্নার পানিতে গোসল করে নিলো। তারপর টুকটাক হালকা খাবার খেয়ে নিয়ে সবাই জাফলং এর আশপাশের যায়গাগুলো ঘুরে দেখা শুরু করলো।
বিকাল ৪ টা বাজে। সারাদিনে কারো পেটেই ভাত পড়েনি। সবার পেট এখন ভাত চাই! ভাত চাই! করছে। তাই সবাই এখন পেটের দাবি পালনে হোটেলে ঢুকবে। সবাই মিলে জিন্দাবাজার এলাকার পালকি রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। জিন্দাবাজার এলাকায় বেশ বিখ্যাত এই পালকি রেস্টুরেন্ট। এখানে প্রায় ত্রিশ রকমের ভিন্ন ভিন্ন ভর্তা পাওয়া যায়। অবশ্য জিন্দাবাজার এলাকার প্রায় সব হোটেলেই এরকম নানা পদের ভর্তা পাওয়া যায়। সবাই মিলে খাওয়া শুরু করলো। যেহেতু এখানের ওয়ান অফ দ্যা স্পেশাল ডিশ ভর্তা, তাই সবাই ভর্তা দিয়েই শুরু করলো। আর আশ্চর্যজনক বিষয় হলো সবাই এই বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে ভাত টেষ্ট করতে গিয়েই ক্ষুধার্ত পেটকে ঢোল বানিয়ে ফেললো। পেট ঢোল হয়ে যাওয়ায় কেউ আর অন্য কোনো তরকারি টেষ্টই করতে পারলো না। সারাদিনের দৌড়ঝাঁপের পর, চায়ের দেশ সিলেটের স্পেশাল চা খেয়ে সবাই সন্ধ্যা সাতটায় হোটেলে ফেরে।
হোটেলে ফিরে অনেকেই পেট নামক ঢোল আগলে ঘুমিয়ে পড়ে। মুবিনেরও ভর্তাগুলো বেশ ভালো লেগেছিলো, কিন্তু ও বেশি খায়নি। সেই কারনে ঘুমও আসেনি ওর। তবে শরীরটা ক্লান্তির চোটে ম্যাচ-ম্যাচ করছিলো। মুবিন আর মিছিলের ঘর একদম পাশাপাশি। মুবিন বেলকনিতে গিয়ে মিছিলকে ফোন লাগায়। দুবার টানা রিঙ হয়ে কেটে যায়, তিনবারের বার ফোন ধরে।
ওপাশ থেকে মিছিলের কাতর কন্ঠ, " হ্যালো, এতোবার ফোন দিচ্ছো কেনো? "
- " এভাবে কাতরাচ্ছো কেনো? এখনও পেটে ভর্তা দৌড়াদৌড়ি করতেছে নাকি? "
- " উহহু! উহু! উহুহু! উহু! উহু "
- " আরে নাকিকান্না কাদবা নাকি কিছু বলবা? "
- " বেশি খেয়ে ফেলছি। এখন পেট ব্যাথা করতেছে! "
- " আরে আস্তে আস্তে ঠিক হবে। শুধু শুধু প্যানিক হয়ে ঘ্যান ঘ্যান করবা না তো? "
- " ফোন রাখ তুই! "
মিছিল মুবিনকে ঝারি মেরে ফোন কেটে দেয়।
মুবিনের পেট পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় মুবিন ফার্মেসিতে চলে যায়। আর ফার্মাসিস্টকে সবার পেট ঢোল হবার ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলে, মধ্যবয়স্ক ফার্মাসিস্ট মহাশয় তো হাসিতে অক্কা পায় পায় অবস্থা। অবশেষে হাসি কোনোমতে পকেটচাপা দিয়ে সে মুবিনকে এক বক্স হজমের ট্যাবলেট দেয়। মুবিন রিসেপশনে গিয়ে বলে এই ট্যাবলেট গুলো যাতে স্টাফ দিয়ে ওর সাথের সবার রুমে দিয়ে দেওয়া হয়।
মুবিন একটা ট্যাবলেট নিয়ে মিছিলের রুমের দড়জার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় দুই মিনিট যাবৎ দড়জা ধাক্কাচ্ছে, কিন্তু মিছিল খুলছে না। তার একই প্যানপ্যান ঘ্যানঘ্যান সে নাকি নড়তেও পারবে না, কারন তার পেট ব্যাথা করছে। অবশেষে মুবিন কোনো উপায় না পেয়ে বেলকনি দিয়ে মিছিলের রুমে ঢোকে। ওদের রুম পাশাপাশি হওয়ায় বেলকনি দুটোও একদম পাশাপাশি, তাই এই বেলকনি পেড়িয়ে ওই বেলকনিতে যেতে মুবিনের তেমন কোনো কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। এই কাতর অবস্থায় মুবিনকে রুমে দেখে হতবাক হয়ে যায় মিছিল। সে তো দড়জা খোলেনি তাহলে মুবিন রুমে আসলো কোত্থেকে? বেশি খাবার ফলে কী হ্যালুসিনেশন হয় নাকি? মিছিল হাতদুটো পেট থেকে কোনোমতে সড়িয়ে নিয়ে চোখ দুটো একটু জোড়ালো ভাবে ডলে নেয়। এটা কীরকম হ্যালুসিনেশন? চোখ ডললাম তাও গেলোনা? কই ফিল্মে তো চোখ ডললেই চলে যায়? এসব ভেবে ভেবে আবারও চোখ ডলে নেয় মিছিল। না এবারও তো গেলো না, এখনও তো সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। মুবিন মিছিলের তামাশা দেখছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, তামাশার সময়কাল দীর্ঘ না করে মুবিন ঝাড়ি মারে, " পেটে যতটুকু ধরে তার বেশি খাও ক্যান? এখন তোমার সাথে আমার প্রেম করার কথা ছিলো। তা না করে কী করছি আমি? ফার্মেসিতে গিয়ে হজমের ট্যাবলেট কিনে, বেলকনি টপকে তোমার রুমে তোমায় হজমের ট্যাবলেট খাওয়াতে আসছি। আমার কপালটারে এভাবে ফুটা কইরা দিলা ক্যান? "
মিছিল খানিক কেপে ওঠে। আরে এ তো মুবিন'ই, কোনো হ্যালুসিনেশন ফ্যালুসিনেশন না। মিছিল মুবিনকে মুবিনের থেকেও জোরে ঝাড়ি মেরে বলে, " একেতো আমার প্রাইভেসি নষ্ট করে চোরের মতো আমার রুমে ঢুকছো। তারউপরে আমার উপরেই ঝারি মারতেছো? কেনো মারতেছো? আমার পেট আমি যা ইচ্ছা তাই করবো, আমার পেটে আমি খাবার ঢুকাবো, জাহাজ ঢুকাবো, গোলাবারুদ ঢোকাবো, ক্ষেপণাস্ত্র ঢোকাবো, বাচ্চা ঢোকাবো সেটা আমার ইচ্ছা। তোমার কী? "
- " বাচ্চা ছাড়া বাকি যেসব বলছো ওগুলো পেটে ঢোকাতে ইচ্ছে করলে ঢোকাও। তবে তোমার পেটে বাচ্চা তো আমিই ঢোকাবো মিছিল মনি! " বলেই হালকা মৃদু মুচকি হাসে মুবিন।
- " মুবিইইইন্না! পেটের এই অবস্থা না হলে এখনই তোর পিঠে আমি তবলা বাজাইতাম! "
- " আমার পিঠে তবলা বাজানোর দরকার কী? নিজের পেটই তো ঢোল হয়ে আছে। ওটায় বাজাও, বেশ রিদম আসবে। এই আমি না ভালো ড্রাম বাজাই, বাজাবো তোমার পেটে? "
মিছিল নাকিকান্না কাদে। মিছিল হতাশ অসহায় কন্ঠে বলে, " তুই কী আমায় জ্বালাইতে আসছস এখানে? "
- " তুমি না একদমই জন্মনিরামিষ। আমি কই কেয়ারিং লাভারের মতো তোমার জন্য হজমের ঔষধ নিয়ে আসলাম। তোমায় রিলিফ দেবার জন্য, আর তুমি কিনা আমার কেয়ারিং ন্যাচারকে, আমার প্রেমকে জ্বালা বলে অপমান করছো! "
- " মেডিসিন আনছো? তাহলে প্লিয বকবক না করে দাও! "
মুবিন গ্লাসে পানি নিয়ে নিজের হাতে মিছিলকে ঔষধ খাইয়ে দেয়। তারপর পাশে বসে বলে, " আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেই, তুমি ঘুমাও। ঠিক আছে? "
- " আহাহা! আলহাদ পাইছে উনি। ঢং! উনি আমার বিয়ে করা জামাই লাগে উনি মাথায় হাত বুলায় দিবে আর আমি ঘুমাবো। রুম থেকে বের হ তুই! "
- " ফ্যাচফ্যাচ ভালো লাগতেছে না। তুমি জানো আমি বলছি মানে বলছি'ই। আর আমি তো কোনো অন্যায় আবদার করতেছি না, শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে চাচ্ছি। আর এটা তো আমি তোমার সেবা করছি, আচ্ছা তুমিই বলো বিয়ের পরে আমি অসুস্থ হলে তুমি আমার সেবা করবা না? তুমি যেটা বিয়ের পরে করবা, সেটা আমি বিয়ের আগে করছি। ব্যাস শেষ! "
- " এতো লজিক আমি শুনবো না। আমি ঘুমায় গেলে যদি তুমি উল্টাপাল্টা কিছু করো? তখন? "
- " তুমি হজমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমাচ্ছো কোনো স্লিপিং পিল কিংবা মদ খেয়ে ঘুমাচ্ছো না। যে আমি তোমার সাথে উল্টাপাল্টা করলে তুমি টের পাবা না! "
- " তবুও তুমি বের হও রুম থেকে! "
- " প্রমিস শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো। আর তুমি ঘুমিয়ে গেলেই বেলকনি টপকে আমার রুমে চলে যাবো। উঠে তোমার দরজাও লাগাতে হবে না। আর ঘ্যানঘ্যান কইরো না, ঘুমাও। " বলেই মুবিন মিছিলের মাথায় হাত বোলানো শুরু করে। মিছিলও আর তর্কে না জড়িয়ে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে নেয়, ঘুমানোর চেষ্টায়।
চলবে!