বন্ধুর_বোন_যখন_বউ
#পর্ব: 11
#হাসান
,,
,,
আমি হাসপাতালের বারান্ধায় বসে আছি হঠাৎ পেছন থেকে কেউ আমার পিঠে হাত রাখলো পেছনে ঘুরে দেখি,,ছোট মা
আমি: আপনে এখানে (একটু রেগে)
ছোট মা: বাবা শুভ আজ আমি তোকে কিছু কথা বলতে চাই,,,,,
আমি: জ্বি বলুন(বিরক্তি কর ভাব নিয়ে)
ছোট মা: দেখ বাবা তোর মা মারা যাবার পরে তোর বাবা তোকে দেখাশোনার জন্য আমাকে বিয়ে করেন।
কিন্তু আমি ,,,আমি তোদের সম্পত্তির লোভে পরে তোর বাবা কে বিয়ে করেছিলাম,,,,
এমন কী তোকে আর তোর বাবাকে মেরে ফেলার ও ফন্ধি এটেছিলাম
তোকে মিথ্যা অপবাদে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,,,, এটাও ঠিক আছে
আমি কখনো তোর মা হতে পারিনি এটাও ঠিক আছে,,,,
কিন্তু যখন আমার পেটে ইমন আসে তখন আমি ভেবে দেখলাম ওকে পৃথিবীর আলো দেখতে দেবো না,,,,ডাক্তারের কাছেও গিয়েছিলাম কিন্তু পরে আবার আমার মনে হলো ,,,,,আমি একজন মা হয়ে কী ভাবে নিজের হাতে আমার সন্তান কে হত্যা করবো,,,,,
নিজের কাছে নিজেকে সেদিন প্রশ্ন করেছিলাম যে আমি এত নিচ এত খারাপ যে আজ আমি নিজের সন্তান কে হত্যা করতে চাইছি,,,,বাবা জানিস সেই দিন থেকে আল্লাহ্র কাছে তওবা করেছিলাম জিবনে আর কোনো খারাপ কাজ করবো না একজন ভালো মা হয়ে দেখাবো ।কিন্তু পারিনি রে,,,আজ আমার ভুলের শাস্তি তোর বাপ পাচ্ছে রে ,,,,তোর বাবা একজন ভালো মানুষ ওনার কোনো দোষ নেই আমি ওনাকে তোর বিরুদ্ধে উশকিয়ে ছিলাম,, এই ভয়ে যে তোর সাথে ওনার সম্পর্ক থাকলে আমি কোনো সম্পত্তি পাবো না ।সব তোর নামে করে দেবে ,
কিন্তু আজ আমার আর কোনো সম্পত্তির প্রতি লোভ নেই ।
কারন আজ আমরা বুড়া বুড়ি মারা গেলে সব তোর আর ইমনে রি,,,আর আমি চাই সবাই এক বাসাতে থাকতে
সেখানে তুই থাকবি বউমা থাকবে আমরা সবাই এক বাসাতে থাকবো।
আর বাবা আমার এতদিনের খারাপ ব্যাবহারের জন্য আমি লজ্জিত আমাকে ক্ষমা করে দিস
বাবা শুভ
আমি: হুম মাথা (নিচু করে)
মা: কিছু বলছিস না কেন
আমি: এই কথা গুলো আপনার অনেক আগে বোঝা উচিত ছিল।
অনেক দেরি হয়ে গেছে আপনার জন্য আমি আমার বাবাকে ভুল বুঝলাম
ছোট মা: বাবা আগের সব কথা গুলো ভুলে যা,,,,আজ থেকে ভালো মা হয়ে দেখাবো,,,আর তোর বাবাকেও ক্ষামা করে দে তা না হলে তোর বাবা মরেও শান্তি পাবে না,,,,,
আমি : তার মানে ?কী হয়েছে বাবার
মা: কয়েক দিন আগে নাকি সন্ধাবেলা তোর বাবার সাথে তোর দেখা হয়েছিলো,,।
আমি:হুমম
মা: ঔ দিন তোর বলা কথা গুলো তোর বাবা সয্য করতে পারে নি
বাসায় আসার পথে গাড়ির ভিতর হার্ড এট্যাক করেন তিনি ।
আমি: বাবা এখন কেমন আছে(হাইপার হয়ে)
ছোট মা: ভালো কিন্তু
আমি: কিন্তু কী ছোট মা???
ছোট মা : তোর বাবা কোমাই চলে গেছে ,,,,
আমি: মানে ,,,,,
ছোট মা: হুম,,,কিন্তু ডাক্তার বলেছে
ওনাকে যত হাসি খুশি রাখবো ততো তারাতারি সুস্থ হয়ে যেতে পারে,,,,,,
আর অনেক যত্ন নিতে হবে ।
আমি: কোন হাসপাতালে এডমিড করেছো
ছোট মা: এই হাসপাতালেই প্রথম কেবিনে আছে
আমি: এখন কী দেখা করা যাবে।
ছোট মা: যাবে,,,,যা তুই তোর বাবাকে দেখে আয় আমি নিলার সাথে কথা বলি
আমি:আচ্ছা ,,,আর ধন্যবাদ,,,,,
ছোট মা: কীসের জন্য
আমি: রক্ত দিয়ে নিলার জিবন বাচানোর জন্য
(ছোট মা একটু হেসে) এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই
তোর বাবার কাছে জাচ্ছিলাম
হঠাৎ দেখি
সবাই কান্না কাটি করছে ,,,এগিয়ে গিয়ে দেখি ,,রক্তের অভাবে একজন কে বাচানো যাচ্ছে না,,(ডাক্তার 20 মিনিটের মধ্যে o+ রক্ত চাইছে)
(আমি এর আগে রক্ত পরিক্ষা করেছিলাম আমার o+ রক্ত আর ডাক্তার ও একই রক্ত চাইছে তাই রক্ত দিয়েছিলাম।
কিন্তু এখন দেখছি আমি যাকে রক্ত দিয়েছি সে আমার ছেলের আত্তার আত্তা,,,,,,আর আমাদের চৌধুরি পরিবারের পুএ বধু,,,,,
আমি:হুম ,,,,, ওর যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে আমি বাচঁতে পারতাম না ,,,,,,খুব ভালোবাসি আমি ওকে
ছোট মা: সেটা আমি জানি ,,আচ্ছা বাবা যা তুই তোর বাবার সাথে দেখা করে আয়,,,,আমি নিলার কাছে যাচ্ছি
আমি: আচ্ছা ,,এরপর ছোট মা নিলার কাছে গেলো আমি বাবাকে দেখতে গেলাম,,,,
1 no কেবিনে গিয়ে দেখি বাবা শুয়ে আছে মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো,,,,,
আমি গিয়ে বাবার হাত ধরলাম,,,,
হঠাৎ বাবা কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে তাকালো,,,,তাকিয়ে দেখে আমি।
আমি বাবার পা ধরে বলতে লাগলাম আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা আজ তোমার এই অবস্হার জন্য আমি দায়ী।
বাবা মাথা নারিয়ে না বললেন ।
সেদিন যদি আমি তোমাকে ওভাবে না বলতাম তাহলে আজ হয়তো তোমার এ অবস্হা হতো না,,,
এবার বাবা মাক্সের ভিতর দিয়েই বললো না বাবা না ,,,তুই আমাকে ক্ষমা করেছিস।
আমি চোখের পানি ছেরে) ,,,(বাবারা কখনো ভুল করে না ),,,আর ক্ষমা সেতো তুমি আমাকে করবে ,,,
না রে কিছু অভিমান আর কিছু ভুলের কারনে আজ আমারা বাপ ছেলে আলাদা ছিলাম,। আমি এসব কাথা এখন বাদ দাও। কাল তোমাকে সিঙ্গাপুর পাঠাবো।
বাবা: কেনো
আমি: তোমার উন্নত চিকিৎসার জন্য।
বাবা: তার আর দরকার নেই রে বাপ ।তুই এসছিস ,আমি এমনিতেই সুস্থ হয়ে যাবো।
আমি: হুমম কিন্তু,,,আমার তোমাকে দরকার।তাই না বলো না আমি আজই তোমার সিঙ্গগাপুর যাওয়ার ব্যাবস্হা করছি।
বাবা: আচ্ছা।
আমি: আচ্ছা বাবা তুমি এখন ঘুমাও ।
বাবা: আচ্ছা।
তারপর বাবা ঘুমিয়ে গেলে আমি বের হয়ে এলাম ।এসে আবার নিলার কাছে গেলাম গিয়ে বাই জানিয়ে বাবার সিঙ্গাপুর যাওয়ার ব্যাবস্হা করলাম।আজ রাত 1 টাই বাবার ফ্লাইট ।বাবার সাথে এখানকার একটা ডাক্তার আর ছোট মা যাবে।
তারপর আমি নিজের বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার হাসপাতালে চলে এলাম।এসে বাবাকে খবর টা দিলাম সাথে ছোট মাকেও।
এখন রাত 2 টা আমি বাবাকে বিমানবন্ধরে ছাড়তে এসেছিলাম।
বাবাকে ছেড়ে ।
আমি হাসপাতালে নিলার কাছে গেলাম গিয়ে দেখি আমার পরীটা ঘুমিয়ে আছে,,,,,পাশে ওর ,,,আর সবাই বাসায় চলে,,,,,,আমি গিয়ে নিলায কপালে একটা চুমু খেলাম
ও হালকা নরে উঠলো তারপর আমার হাত জরিয়ে ধরলো।আমি আমার হাত ছাড়ানোর মিথ্যা চেষ্টা করছিলাম।এক সময় ও জেগে গেলো ।আমাকে দেখে চমকে উঠলো,,,
নিলা: এতো রাতে তুমি এখানে,,,,বাসায় যাও নাই।
আমি: আমার কলিজা টাকে এখানে রেখে আমি কী ভাবে বাসায় যাবো বলো।
নিলা: এতো ভালোবাসো আমায়।
আমি: অনেক গুলা ভালোবাসি তোকে,,,,যত ভালোবাসলে ।
নিলা: হয়েছে আর কবি হতে হবে না ।
আমি জানি তুমি আমাকে কতো ভালোবাসো।
তারপর আমি নিলাকে জরিয়ে ধরলাম।নিলা আমাকে জরিয়ে ধরলো ।
এই তোরা কী করছিস রে ভুলে যাস না আমি পেছনে আছি(পেছন থেকে নিলার মা একটু হাসি দিয়ে)
আমিতো একটু লজ্জা পেলাম ,,,
নিলা: আমরা প্রেম করছি,,,,(তুমি জাগলা কেনো,)
মা: আমি তাহলে যায়। তোরা প্রেম কর।
আমি: এই না না আন্টি নিলা এমনি বলছে ও। আমিতো ওকে দেখতে এসেছিলাম
মা: এতো রাতে (আর লুকাতে হবে না)
শুভ তুমি এখানেই থাকবা নাকি বাসায় যাবা।
আমি: না আমি বাসায় যাবো।
,,
,,
,,
চলবে,,,,,,,,
0
22