বখাটে মেয়ে

0 5

😈বখাটে মেয়ে😈

পর্ব ০৩

|

- রায়হান এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস?(রিমা)

-না মানে কিছু না

-এভাবে দেখলে নজর লাগবে বলে রিমা হাসতে থাকে

-আমি আপনাকে দেখি নাহ হুহ,আমি রিহা আপুকে দেখি(মনে মনে)

-বিড়বিড় করে কি বলছিস?

-নাহ কিছু না

-সাউন্ড সিস্টেমের লোকদের ডেকে নিয়ে আয় তো(রিহা)

-হু

-এই শোন

-বলেন

-নাস্তা করেছিস?

-নাহ

-কেনো?

-আম্মুর শরীরটা বেশি ভালো না, তাই সকাল সকাল উঠে নাস্তা বানাতে পারেনি

-ওহহ

-হুম

-তুই কি তোদের পরিবারে বড় নাকি?

-হ্যা

-আমি আর আমার একবোন আছে

-বোন কোন ক্লাসে পড়ে

-ক্লাস নাইনে

-ওহহ ভালো

-হ্যা আচ্ছা ওদের তাহলে ডেকে নিয়ে আসি

-একটু তারাতারি করিস

-আচ্ছা।

কতক্ষণ পরে সাউন্ডস সিস্টেমের ২জন লোককে ডেকে নিয়ে আসার পরে ওদের সাথে রিহা আর রিমা আপু কি জানি কি কথা বলে রায়হানকে আবার ডাক দেয়।

-জ্বি বলেন

-চল(রিহা)

-কোথায়

-নাস্তা করতে যাবো,ভয় পাসনা অন্য কোথাও নিয়ে যাবো না বলে হাসতে থাকে।

রায়হান তখন রিহা আর রিমাদের পিছুপিছু হাটতে থাকে।

সবাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা শেষ করার পরে আবার ক্যাম্পাসে আসে।

অনুষ্ঠানের অর্ধভাগ শেষ হওয়ার পরে এবার সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়।

রায়হান আর সামি পিছনে বসে বসে সবার নাচগান দেখছে এমন সময় সুমি আপু পিছন আসে

-রায়হান এদিকে আয় তো

-হ্যা আপু বলেন

-সালাম নামে একটা ফ্রেন্ড আছে সে ভালো গিটারিস্ট কিন্তু তার বোন প্রেগন্যান্ট তাই সে হসপিটালে যেতে হয়ছে। এখন কথা হলো তোদের মাঝে এমন কি কেউ আছে যে ভালো গিটার বাজাতে পাড়ে?

-আমিই একটুআধটু পাড়ি

-সত্যিই পাড়িস?

-হ্যা

-চল তো আমার সাথে

রায়হান সুমির সাথে যায়।।

-রিহা রায়হান নাকি গিটার বাজাতে পাড়ে(সুমি)

-সবার সামনে গিটার নিয়ে দাঁড়ালে ওর হাত কাপাকাপি করবে(রিহা)

-নাহ আমি পাড়বো

-অভিযোগ গানটা বাজাতে পাড়বি?

-এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় গান

-সত্যি পাড়বি তো?

-হ্যা পাড়বো

-স্টেজে সবসময় আমাদের করা পারফর্ম কিন্তু সবার সেরা হয়, দেখিস যদি উল্টাপাল্টা হয় তাহলে কিন্তু খবর আছে

-আপনার বিশ্বাস না হলে আর কি করার? যাই আমি

-এই দাড়া(রিমা)

-হুম

-নিজের সেরাটা দিস,আশা করি ভালো হবে।

-অবশ্যই

রিহা রায়হানের হাতে গিটার ধরিয়ে দিয়ে বলল চল এখন-ই স্টেজে উঠবো

-হুমম, আর অন্য ইনস্ট্রুমেন্টস থাকবে না?

-নাহ শুধু গিটার

-ওহহ

-একা ভয় পাচ্ছিস নাকি?

-নাহ

-ভয় পাওয়ার কোনোকিছু নেই,নিজের মন থেকে ট্রাই করবি তাহলেই হবে

-হুম চলেন এবার বলে রায়হান রিহার সাথে স্টেজে উঠে।

স্টেজে উঠার পরেই রায়হানের বুক কেমন জানি ধড়ফড় করছে।

রায়হান তখন নিজের মনকে নিজেই বুঝাতে থাকে রায়হান কন্ট্রোল, এটা তোর করা ফার্স্ট স্টেজ প্রোগ্রাম।

ভালো করলেই ভালো আর খারাপ হলে সবার কথা শোণা লাগবে আর রিহা আপুর বিশেষ মার তো আছেই।

রিহা তখন রায়হানের কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে রেডি তো?

-হুমম

-শুরু করি তাহলে?

-ওকে

-গিটারের সুর ধর

-রায়হান তখন গিটারের স্ট্রিংয়ে আঙ্গুল রেখে চোখ ভুজে রিহার গানের সাথে বাজাতে থাকে।

রায়হান মুগ্ধ হয়ে পাগল করা সুরেরটান শুনছে আর গিটার বাজাচ্ছে।

গান শেষ হওয়ার দর্শকদের হাত তালি আর চিল্লানি শুনে বুঝতে পাড়ে যে গান আর গিটার দুইটাই হয়তো ভালো হয়েছে তারপর ও মনের মধ্যে সংকোচ আছেই কারন রিহা এখনো তাকে কোনোকিছু বলেনি।

রায়হান রিহার পিছুপিছু স্টেজ থেকে নামে।

- ওহ মাই গড রায়হান এত সুন্দর বাজাতে পাড়িস? (রিমা)

-থ্যাংকইউ আপু

-ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম ডিয়ার

-রায়হান(রিহা)

-হ্যা বলেন

-অনেক অনেক ভালো হয়ছে, আমার মনে হয় না এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ভালো দ্বিতীয় কোনো গিটারিস্ট আছে

-থ্যাংকস

-চল এখন বাহিরে যাবো

-হুম চলেন।

-সুমি আর রিমা তোরা এখানে থাক আমি আসছি একটু করে

রায়হান তখন রিহার সাথে হাটতে থাকে

একটা চা এর দোকানের সামনে গিয়ে

-এই মামা একটা দেও তো

-দোকানদার তখন একটা সিগারেট দেয়

-দিয়াশলাই দিও

-রায়হান রিহার এমন কার্যকলাপের দিকে তাকিয়ে আছে।

-এসব চলে নাকি?

-উহুম

-হুম গুড বয়

-এটা খেলে কি হয়?

-এসব তুই বুঝবিনা

-এটা ছেড়ে দিলেও তো পারেন

-ছেড়ে দিতে হলে একটা উপলক্ষ লাগে

-মানে?

-মানে একটা স্পেশাল মানুষের প্রয়োজন হয় যে এটা ছাড়িয়ে দিবে

-বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হলে আবার স্পেশাল কেউ লাগে নাকি?

-বললাম না তুই বুঝবিনা

-আপনার কি স্পেশাল কেউ নাই?

-নাহ

-কেনো?

-তেমন কাউকে চোখে পড়ে না

-ওহহ

-হ্যা

ততক্ষণে সিগারেট শেষ হলে একটা পালস চকলেট মুখে দিয়ে রায়হানকে নিয়ে আবার ক্যাম্পাসে চলে আসে।

প্রোগ্রাম শেষ হলে সবাই যে যার মতো করে বাড়ি চলে যায়।

রায়হান বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি জমায়।

পরেরদিন সকাল ১১টার দিকে

- রিমা রায়হানকে দেখছিনা যে(রিহা)

-কালকে অনেক দৌড়াদৌড়ি করছে তাই হয়তো ক্লান্ত

-ওহহ

-আচ্ছা ওর নাম্বার টা দে

-কেনো?

-এমনি কাজ আছে দে

-নাম্বার নাই তো

-ওহহ

-ফেসবুকে সার্চ করে দেখতে পাড়িস।

রিহা তখন রায়হানের নাম লেখে সার্চ করে।

সবার সামনেই রায়হানের নাম দেখতে পেয়ে প্রোফাইলে গিয়ে দেখে একটা পোস্ট দেওয়া।

"কি সুন্দর মনোমুগ্ধকর কন্ঠ তোমার,এমন কন্ঠ কখনো শোনা হয়নি আমার"

-এত মনযোগ দিয়ে কি পড়ছিস

-না কিছু না

-রিমা তখন মোবাইল ছো মেরে কেড়ে নেয়।

আচ্ছা এই হচ্ছে কাহিনী বলে রিমা হাসতে থাকে।

-বাকি সবাই রিমার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে

-মোবাইল টা দে বলে রিহা...

l

(চলবে)

1
$ 0.00

Comments