বড় লোকের মেয়ে

0 3
Avatar for Hasan16
4 years ago

বড়লোকের মেয়ে

Part:- 10 & last,,

Writer:- Azizur Rahman Sopon

--- তর কোনো ইচ্ছে অপুর্ন রাখছি বল,,(মা)

--- তা না,,, আচ্ছা খাওয়া দাওয়া করে আমার রুমে আসো তুমায় বলবো,,,(ঈশিকা)

--- ওকে,,(মা)

--- ঈশিকা ওর রুমে অপেক্ষা করতে লাগলো,, একটু পর ঈশিকার মা আসলো,,

*---- আচ্ছা বল মা কি বলবি,,(মা)

--- মা আমি তুমার কাছে থেকে কিছু কথা লুকিয়েছি,,(ঈশিকা)

--- কি সেটা তো বল,(মা)

--- সেদিন স্বপন এমনি চলে যাই না আমাদের বাসা থেকে ও মনে আঘাত নিয়ে চলে গেছে,,,

--- মানে কি হইছে,,, (মা)

--- হুম বলছি,,,ঈশিকা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে সব কিছু বললো,,,,.......

........

.............

-- ছি তুই আমার মেয়ে বলতেও ঘৃণা লাগে তকে স্বাধীনতা দিছি এজন্য মানুষের ইগো নিয়ে জীবন নিয়ে খেলা করতে,,,,(মা)

--- প্লিজজ মা আমায় আর কিছু বলো না,,স্বপন আমায় বিয়ে করতে চায় আমিও করবো তুমি বাবাকে বুঝাও ওরে ছাড়া আমি বাচবো না,,আমি জানি বিয়ে করতাছে শুধু প্রতিশোধ নেয়ার জন্য,, তবুও আমি ওকে বিয়ে করবো৷,,,,,, (ঈশিকা)

--- কিন্তু তর বাবা মানবে কি,,,,আর বিয়ে করে কি খাবি,,,(মা)

+---- আমাদের কি কম আছে,,আমাদের একটা বাড়ি দিও তাই হবে,,,,(ঈশিকা)

--- হুম দেখছি কি করা যায়,,,,তবে তুই হইতো কখনো সুখি হতে পারবি না,,,,(মা)

--- আল্লাহ ভরসা তুমি বাবা কে বুঝাও,,,,আর কাল আর ২ দিন পর ই স্বপন দের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাও,,,,(ঈশিকা)

--- হুম আমি একন উঠি দেখি তর বাবা কি করে,,,,

তারপর ঈশিকার মা, ঈশিকার বাবা কে ২ ঘন্টা বুঝানোর পর রাজি হলো,,,,,

আর এটা শুনে ঈশিকা আত্মহারা হয়ে গেলো,,,,

এদিক আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতাছি তখন ঈশিকার ফোন,,,

--- হ্যা বলেন..(আমি)

--- আমি আমার মা বাবা কে রাজি করাইছি,,,২ দিন পর তুমার বাসায় যাবো,,,(ঈশিকা)

--- ওহ আচ্ছা তাহলে কি আমি কালই চলে যাই আপনাদের আপ্যায়ন এর তো প্রস্তুতি নিতে হবে,,,(আমি)

--- আমাদের সাথে যাও,,(ঈশিকা)

--- না আপনরা জামালপুর শহর এ এসে আমায় কল করবেন আমি আপনাদের রিসিভ করে আনবো,,(আমি)

--- ওকে,,,, (ঈশিকা)

--- হুম,, কথা বলা শেষ করে ঘুমিয়ে গেলাম,,

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে মাকে ফোন দিয়ে বললাম আমি আসছি,,,,,বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম,,,,,,,

রাতে বাসায় এসে পৌছালাম,,,,,,

মা বোন এর সাথে কথা বলার পর রুমে গেলাম,,, কাপড় বদলিয়ে ফ্রেস হয়ে রাতে খাওয়া দাওয়া পর,,,

--- মা তুমায় একটা কথা বলার ছিলো..?(আমি)

--- হুম বল,,,(মা)

--- আমি বিয়ে করবো,,,,আর মেয়ের মা বাবা কাল আসছে আমাদের বাসায় প্রস্তাব নিয়ে,, (আমি)

--- কিন্তু মেয়েদের বাসা কই কি করে তার মা বাবা,,,(মা)

--- তারা অনেক বড়লোক থাকে আমার ভার্সিটি এলাকা তেই,,বড়লোক,,,(মা)

--- কিন্তু আমি এমন ঘরে তকে বিয়ে করাতে রাজি না,,দেখিস না কত ছেলে বড়লোক মেয়েদের বিয়ে করে নিজের মাকে ভুলে যা,,,(মা)

--- মা কি বলছো,,,সবাই কি সমান আমার ভাই সবার থেকে আলাদা,,(ছোট বোন তামান্না বললো)

--- হুম তুই একটু বুঝা,,,(আমি)

--- আচ্ছা ভাইয়া ভাবি মনে হয় অনেক কিউট তাইনা,,,(তামান্না)

--- চুপ করবি কি তরা,,,,(মা)

--- হুম করলাম,,(আমি)

-- আচ্ছা ওরা আসুক আমার পছন্দ হলে ভেবে দেখবো,, কালই তো আসছে,,,,(মা)

-- হুম কালই আসছে,,,(আমি)

আচ্ছা এখন ঘুমাতে যা,,,,

পরদিন ঈশিকা সকালে ফেন দিয়ে বললো তারা রওনা হইছে,,,,

--- বিকালে আমি ওদের জামালপুর শহর থেকে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে আনলাম,,,,বাড়ি আসার পর সবার সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিলাম,,

-- বাহ গ্রাম টা তো খুব সুন্দর (ঈশিকা)

-- হুম জানি,,(আমি)

--- আমাদের ঘরটা কেমন,, (আমি)

--- তুমি যেভাবে বলেছিলে তার থেকে অনেক ভালো আমার খুব পছন্দ হয়েছে,,,,,(ঈশিকা)

-- এই ভাইয়া তকে মা ডাকছে,,,,(তামান্না এসে বললো)

--- ওকে যাচ্ছি তুই গল্প কর ঈশিকার সাথে,, (আমি)

আমি চলে আসলাম,,,

মা ডাকছো তুমি,,,,(আমি)

--- কই নাতো,,,,,(মা)

-- ওহ আচ্ছা,,, আমি আবার ফিরে আসলাম কিরে মিথ্যা বললি কেনো,,,,(আমি)

--- এমনি ভাবির সাথে একটু গল্প করার জন্য,, (তামান্না)

এটা বলে ২ জনে হাহা করে হেসে উঠলো,,,,

হুম হইছে যা তুই খাবার ব্যবস্থা কর,,(আমি)

-- হুম যাচ্ছি,, (তামন্না চলে গেলো)

--- কি বললো,,(আমি)

-- কিছুনা তুমার বোন টা খুব মিস্টি আর তার বিপরিত তুমি,,,(ঈশিকা)

--- হুম আপনার কারনে হয়েছি,,(আমি)

আচ্ছা চলেন খাওয়া দাওয়া করেন,,,,,গরিবের খাবার পছন্দ হবে কি..?(আমি)

--- অন্তত আজ কিছু বলো না,, আজ মনটা খুব ভালো,,(ঈশিকা)

--- ওকে চলেন খাবেন,,,,

খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার কাকা মা আর খালু বসলো,,,,,,তারপর বিয়ের বিষয় কথা বলা শুরু হলো এক পর্যায়ে সব মিটে গেলো আমার মায়ের খুব পছন্দ হয়েছে,,,,ঈশিকা আর আমার মায়ের কথা বার্তা দেখে মনে হিংসা জন্ম নিলো একদিনে এত মিল,,,,,

---সবাই যখন উঠতে যাবে তখন আমি বললাম,, বিয়েতে আমার একটা আপত্তি আছে,,,,(আমি)

*-- সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,,

--- বলো তুমার কি আপত্তি,, (আন্টি)

---- বিয়েতে কাবিন হবে মাত্র ১০ হাজার ১ টাকা,,,,(আমি)

--- আমার কথা শুনে সবাই সবার মুখের দিকে চাওয়া চাওয়ি করছে,,,,,,হঠাৎ আঙ্কেল রেগে গেলো,,,,,

--- কি বলছো তুমি এটা কি পুতুল খেলা (আঙ্কেল)

--- তুমি চুপ করো,,আঙ্কেল এর উদ্দেশ্য বললো আন্টি,,,

-- ঈশিকা মা একটু আমার সাথে আয় বাহিরে তারা ঘর থেকে বের হয়ে গেলো,, একটু পর এসে তারা রাজি হলো আমার কথায়,,,,,আর বিয়ে হবে আগামি রবিবারে ৬ দিন পর,,,,ঈশিকাদের বাসায় আমার পরিবার আত্মীয় স্বজন সবাই সেখানে থাকবে,,,

পরেরদিন সকালে ঈশিকারা চলে গেলো,,,,

--- ওরা যাওয়ার পর মা বললো

--- কিরে তুই এমন কথ বললি কেনো,,)মা)

--- সময় হলে সব বলবো,,,,এখন বিয়ের প্রস্তুতি নাও,,,,

বন্ধুদের ফোন করে বললাম,,, খুশির সংবাদ টা,,,,

পরেরদিন

মা, বোন,,কাকা,,, কাকি, কাকাতো ভাই আর খালু সব মিলেয়ে ১৫ জন মিলে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলাম,,,,,

🍥🍥🍥🍥

ঢাকা আসার পর ভালোই চলতে লাগলো, শপিং করা বিয়ের সব ধরনের কাজ সব মিলেয়ে ভালো চলছিলো,,,আজ আমার গায়ে হলুদ,,কাল বিয়ে,,,

বেশি বড় অনুস্ঠান করা হই নি,,,,,,,,,বাড়িটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সবার চোখে মুখে আনন্দের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে,,,

যা হোক সব ঝামেলা শেষ করে পরদিন আমাদের বিয়ে টা হয়ে গেলো,,,বিয়ের সাজে ঈশিকা কে দারন লাগছে,,চোখ ফেরানো যাচ্ছে না,,,,বিয়ে শেষে ঈশিকার বাবা ঈশিকাকে আমার হাতে তুলে দিয়ে বললো,,

--- দেখো বাবা তুমাদের মাঝে যা হয়েছে ভুলে যাও আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিও না,,আমার মেয়ের চোখের জল দেখতে পারি না তাই তুমার সব কথা মেনে নিয়ে তুমার হাতে তুলে দিলাম,,,,

ঈশিকার চোখ দিয়েও পানি ঝরছে সেওই জানে না তার কপালে ভবিষ্যৎ কি আছে,,,,

রাত ১০ টা বাজে বন্ধুরা ধাক্কা ধাক্কি করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিলো আর বললো বিড়াল টা যেনো মারি,,,,

--- আমি রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম, ঈশিকা এসে আমার পা ছুয়ে ছালাম করলো,,,,,,চলো নামাজ টা পরে নেই,,(ঈশিকা বললো]

--- হুম.. (আমি)

তারপর নামাজ টা পরে নিলাম,,,

আমি খাটে গিয়ে বসলাম,,,,

--- আমায় কি ক্ষমা করা যাই না,,(ঈশিকা)

--- না শুনেন আপনার আমার এখন কোনো সম্পর্ক নেই,,,,,,আর বাহিরে যেনো সবাই জানে আমরা খুব হ্যাপি আছি ওকে,,,১৯/২০ হলে আপনার কপালে দুঃখ আছে, যা বলবো তাই করবেন,,,যেদিন আমার মনে হবে আপনাকে ক্ষমা করা যাই সেদিন ক্ষমা করবো,,,এখন ঘুমিয়ে পড়ুন,,,

ঈশিকা এক পাশ শুয়ে চোখের পানি ফেলছে আর মনে মনে ভাবছে,,, আমার গল্পটা কি অসমাপ্ত থাকবে,,,,তাকে পেয়েও কি তার ভালোবাসা পাবো না,,কোনোদিন কি ক্ষমা করবে না,,,,,,,

, আর আমি ভাবছি কি করবো তাকে কি ক্ষমা করবো নাকি আরো কষ্ট দিবো,,এখন কষ্ট দিলে তো ঈশিকার বাবা মাকেও কষ্ট দেয়া হবে,,,কি করবো মাথায় কিচ্ছু আসছে না,,,

আচ্ছা,,,

[স্বপন কি ঈশিকা কে মেনে নিবে,,,অন্য ১০ টা স্বামি স্ত্রীর মতো চলাফেরা করবে,, নাকি গল্পের মোড টা অন্য দিকে যাবে,,,তা জানতে সাথেই থাকুন সিজন ২ আসার আগ পর্যন্ত,,,,, কাল থেক

1
$ 0.00
Avatar for Hasan16
4 years ago

Comments