Ajob prem

2 6
Avatar for Foysal
Written by
4 years ago

আজব প্রেম

part : 3

( 2 part এর পর থেকে )

আমি ব্যাগ নিয়ে বাসার ভিতরে ডুকে যায় ।

দাদি : রাফিন দাদাভাই তোমার থাকার জন্য ২ তলায় রুম ঠিক করা আছে । তুমি ব্যাগগুলো ওখানে নিয়ে যাও,,,

রাফিন : ওকে দাদি ,,,,

তারপর আমি ২ তলার রুমে যেতে যেয়ে দেখি একটি রুম । তাই রুমের ভিতরে যায় যেয়ে দেখি রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানো দেখে মনে হলো এই রুমে হয়তো ইয়াসমিন থাকে । তাই রুম থেকে বের হয়ে আসি তখনি দাদি আসলো

দাদি : এটা তোমার রুম নয় দাদাভাই তুমি আমার সাথে আসো,,,

তাই আমি দাদির পেছন পেছন যাচ্ছি । তবে রুমটা দেখে মনে হলো ওই রুমে ইয়াসমিন থাকে । দাদির কাছে আর জানতে ও চায়লাম না কে ওই রুমে থাকে । দাদি আমাকে রুম দেখিয়ে দিয়ে নিচে চলে গেলো । আমি ব্যাগগুলো রেখে ফ্রেশ হয়ে এসে । বিছানায় শুয়ে আছি । আর কেন জানি মনে হলো ইয়াসমিন কে তো এসে দেখলাম। বাসায় নাই হয়তো কোথায়ও গিয়েছে । নাই আরো ভালো হয়েছে তা না হলে আরো কতো কথা যে শুনতে হতো । এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে আমি গুমিয়ে পড়েছি তা মনে নাই । ঘুম থেকে উঠে ঘড়িতে দেখি ৪ টা বেজে গিয়েছে তাই তাড়াতাড়ি করে বাথরুমে যেয়ে গোসল করি তারপর হাফহাতা গেঞ্জি ও পেন্ট পরে নিচে যায় । দেখি দাদি বাসার কাজের মেয়ের সাথে রান্না করছে আর দাদু বসে টিভি দেখছে,,

দাদু : কি ঘুম শেষ হয়েছে ???

রাফিন : জ্বি মানে,, দাদু একটু ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম তাই হয়তো ঘুমায় পরছিলাম ।

দাদু : ওওও এখানে বসো ।

তাই আমি দাদুর পাশে যেয়ে বসি । এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো । দেখি কাজের মেয়েটি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে আমি তাকে রান্নাঘরে যেতে বলি আর আমি দরজা খুলতে যায় । আবার কলিং বেল বেজে উঠল । আমি দরজা খুলতেই ইয়াসমিন আমাকে চর মেরে বলে,,

ইয়াসমিন : ঠাসসসসসসসসস,,,,এতো সময় লাগে দরজা খুলতে ??? ( আমাকে না দেখে )

আমি কিছু না বলে দাঁড়িয়ে আছি এবার আমাকে দেখে,,

ইয়াসমিন : আপনি এখানে কি করছেন ।

আমি কিছু না বলে চুপচাপ দাদুর কাছে চলে আসি এবং বসে থাকি । একটু পর ইয়াসমিন ও আসলো,,,

ইয়াসমিন : ওই খুনিটা এখানে কি করছে ???

দাদু : আজ থেকে ও এখানেই থাকবে ।

ইয়াসমিন : কেন ???

দাদু: এমনিতেই থাকবে আর আমার কথা শেষ কথা রাফিন এখন থেকে আমাদের সাথে থাকবে ।

ইয়াসমিন : ওকে তবে আমার সামনে যেনো কখনো না আসে বলে দিলাম ।

তারপর ইয়াসমিন তার রুমে চলে যায় আর দাদু বললো

দাদু : ওর কথায় কিছু মনে করো না ও সত্যিটা জানলে হয়তো আর বলবে না ।

রাফিন : ঠিক আছে তবে ইয়াসমিন কে সত্যিটা বলার দরকার নাই ( দাদুর হাত ধরে )

দাদু : ওকে বলবো না ।

তারপর আমি বাসার বাহিয়ে যায় এবং ছোট ছোট ছেলে - মেয়েদের সাথে ব্যাট বল খেলি । ছোট ছোট যেকোনো ছেলে মেয়ে আমার কাছে আসলে অনেক খুশি হয় । আমার ও ছোট ছোট ছেলে ও মেয়েদের সাথে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে । অনেকে বলতো আমার কাছে না কি জাদু আছে যা দিয়ে আমি যেকোনো ছেলে ও মেয়ে কে খুশি করে দিতে পারি । খেলা করতে করতে সন্ধার আযান দিয়ে দেয় । তাই খেলা শেষ করে নামাজ পড়তে যায় । নামাজ শেষ করে আবার বাসার দিকে যায় । বাসায় গিয়ে রুমে যাওয়ার জন্য সিড়ি দিয়ে উঠছিলাম তখন দাদি ডাকলো,,,

দাদি : তোমার খাবার আমি রুমে পাঠিয়ে দিচ্ছি খেয়ে নিয়ো দাদাভাই ।

রাফিন : আচ্ছা দাদি,,,

তারপর আমি রুমে যাওয়ার সময় ইয়াসমিনের রুমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ইয়াসমিন নামাজ পড়ছে । তখন ইয়াসমিন কে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছিলো। কোনো রাগ নেয় তখন । মুখটা খুব মায়াবী দেখতে লাগছিলো তাই দাঁড়িয়ে দেখতে থাকি তখন কে যেনো সিড়ি দিয়ে হেঁটে উপরে আসছিলো তাই আমি তাড়াতাড়ি ইয়াসমিনের রুমের ওখান থেকে শরে যেয়ে আমার রুমে চলে যায় । রুমে বসে আসি কিছুক্ষণ পর কাজের মেয়েটি এসে রুমে খাবার রেখে চলে যায় । আবার ইচ্ছা করছিলো ইয়াসমিন কে দেখে আসি তখনি মনে হলো না এটা আমি কি করছি যারা আমাকে আপন করে নিয়েছে তাদের সাথে আমি বেইমানি করছি তাই আর না যেয়ে খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে থাকলাম । এশার আযান দিলো তাই নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষ করে এসে দাদুর রুমে যায়। দাদু ও দাদির সাথে একটু গল্প করে সোজা আমার রুমে চলে যায় । বিছানায় শুয়ে আছি কিন্তু ঘুম হচ্ছে না তাই মোবাইলের Data on করে facebook এর নিউজ ফিডের ঘটনাগুলো দেখছি এমন সময় একটি মেয়ের আইডি থেকে friend request আসলো তাই আমি আইডিটা ভালো করে দেখে নিলাম যে ফ্যেক আইডি কি না । তারপর আমি request accept করি আর সাথে সাথে message আসলো ।

অচেনা মেয়ে : কি মিস্টার এতো সময় লাগে request accept করতে ।

রাফিন : কে আপনি ???

অচেনা মেয়ে : আমি ভূত । আপনার ঘাড় মটকাবো,,

রাফিন : বা - বা রে আজ কাল ভূত ও Facebook চালায় ।

অচেনা মেয়ে : হুম আপনি চালান আর তাহলে ভূত কেন পারবে না ।

রাফিন : ওওওও তাহলে bye আমি আবার ভূত দেখে ভয় পায় ( মজা করে )

অচেনা মেয়ে : আরে না না যেতে হবে না আমি মিমি

রাফিন : কে মিমি,, আমি চিনি না ।

অচেনা মেয়ে : ওওও তাই,, আমাকে রেস্টুরেন্টে টাকা দিয়ে help করলেন মনে নাই,, আর আমার নাম মিমি তখন আপনি চলে গেলেন তাড়াতাড়ি করে তাই বলা হয় ছিলো না

রাফিন : ও আপনি আগে বলবেন তো,,,

মিমি: অচেনা মানুষের সাথে বুঝি কথা বলেন না ।

রাফিন :বলি তবে খুব বেশি না,, আর আমি একটা মনে করি যে,,আমাকে যদি কারো প্রয়োজন হয় তাহলে সে আমাকে যেমন করে হোক না কেনো আমাকে খুঁজে বের করবে আর যদি আমাকে কারো প্রয়োজন না হয় তখন আমি যতই তাকে খুঁজি না কেন সে আমাকে মূল্য দিবে না ।

মিমি : হুম হয়তো আপনি ঠিক বলছেন । আপনার নামটা তো জানা হলো না আমার ???

রাফিন :আমি হৃদয় আহম্মেদ রাফিন । তবে সবাই রাফিন নামে আমাকে জানে ।

মিমি : কিছু মনে না করলে একটি বলি,,

রাফিন :জ্বি বলেন ,,,,

মিমি :আপনি কি সেই স্কুল হত্যাকারি রাফিন ???

রাফিন : জ্বি,

মিমি : আপনাকে দেখে তো মনে হয় না আপনি হত্যা করেছেন ।

রাফিন : বড় সাপ ছোবল দিলে যত কষ্ট হয়,, ছোট সাপ ছোবল দিলে তার থেকে বেশি কষ্ট হয় কারণ ছোট সাপের বিশ অনেক বেশি ।

মিমি : হয়তো,,,তবে আমার মন বলছে আপনি হত্যা করেন নাই,,

রাফিন : বাদ দিন ওই সব কথা । আমার ভালো লাগে না শুনতে ,,,

মিমি : ওকে । আমার সাথে কাল একটু দেখা করতে পারবেন ।

রাফিন : না কাল আমি কলেজে যাব ভর্তি হয়ে এখনো কলেজে যেতে পারি নাই এবং তারপর অনেক কাজ আছে ।

মিমি : ওওও কোন কলেজে ভর্তি হয়েছেন ???

রাফিন : ইসলামিয়া কলেজে ।

মিমি : ওওও আমিও তো ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হয়েছি ।

রাফিন :তাহলে তো দেখা হচ্ছে আমাদের,,,

মিমি : হুম,,,,,

এভাবে অনেক কথা হলো ,,অনেক রাতও হয়ে গিয়েছে

রাফিন : অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমান ।

মিমি : হুম ঘুমাবো,,আপনিও ঘুমান ।

রাফিন :ওকে

তারপর আমি একটু পানি খেয়ে ঘুমিয়ে যায়

(

1
$ 0.00
Avatar for Foysal
Written by
4 years ago

Comments

Nice

$ 0.32
4 years ago

Tnx

$ 0.00
4 years ago