➤ লজ্জাবতী গাছকে গাছ বলা হলেও, এটি বড় ধরনের বৃক্ষ নয়। এটি লতা ঘাস জাতীয় এক প্রকারের উদ্ভিদ। তবে একটি বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য এরা মনুষ্য সমাজে, বিশেষ করে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী মহলে বেশ সুপরিচিত। এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হল লজ্জা পাওয়া। লজ্জাবতী নামকরণ করা হয়েছে এদের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রেখেই। লাজুক মানুষ যেমন কারো সাথে কথা বলতেই লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। এরাও কারো শরীরের স্পর্শ পেলেই লজ্জায় জড়োসড়ো হয়ে পড়ে। পাতগুলো যায় নুইয়ে, সারা শরীরটা গুটিয়ে আসে।
☞ লজ্জাবতীর বোটানিক্যাল বা বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘মিমোসা পুডিকা’। আদি নিবাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে। তবে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সবখানেই এ গাছ ছড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে গাছটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। এটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। কাণ্ড খাড়া, শাখান্বিত এবং ছোট ছোট কাঁটা আছে। সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এ গাছে ছোট ও গোলাকার ফুল ফোটে। ফুলের রঙ হয় গোলাপি ও সাদা। গাছের পাতাগুলো দেখতে ছোট এবং রঙ গাঢ় সবুজ। গাছটি দেড় থেকে দু’ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়।
☞ লজ্জাবতী গাছগুলো কেন এরকম আচরণ করে থাকে, তা’ নিয়ে বিজ্ঞানীরাও খুব চিন্তা ভাবনা, গবেষণা করেছেন। তাদের মতে, লজ্জাবতী গাছের পাতার গোঁড়াটা একটু ফোলা থাকে। এই ফোলা অংশের ভিতর থাকে বড় বড় কোষ। এসব কোষ যখন পানি ভর্তি থাকে তখন গাছের পাতার বোটা ফুলে ওঠে এবং ডাঁটা সোজা হয়। কিন্তু লজ্জাবতী গাছে কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করলেই তার সাড়া গায়ে একটা বিদ্যুৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। এদের শরীরে এ্যাসিটাইলিন নামে এক প্রকারের রাসায়নিক পদার্থ আছে। এই এ্যাসিটাইলিন কোলিন পদাথের্র মাধ্যমেই এই বিদ্যুৎ প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে ওদের সাড়া অঙ্গে। তখন এই রাসায়নিক পদার্থই দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে ছুটতে থাকে। এ ফলে লজ্জাবতী গাছের কোষ থেকে খনিজ লবণ বেরিয়ে আসে। খনিজ লবণ বের হয়ে আসার সঙ্গে কোষে যে পানি জমা ছিল তাও বেরিয়ে আসে। পানি বের হয়ে যাওয়ার ফলে কোষগুলো চুপসে যায়। ফলে তাদের শক্তি ও চাপ কমে যায়। তখন গাছের পাতাগুলোও শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং দুর্বল হয়ে নুয়ে পড়ে। এই অবস্থা কিছুক্ষণ থাকে। আবার বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে কোষে পানি জমতে থাকে, গাছটি ও তখন পুনরায় সোজা হয়ে ।😳😳
i have never got chance to see its flowers.লজ্জাবতীর বোটানিক্যাল বা বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘মিমোসা পুডিকা’ i did not know that before.