আজ অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটেছে| জাপানে থাকতে আমার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা স্ট্যাটাসগুলো পড়ে একজন আমাকে নক করেছিলেন| অনেক মেসেজের ভীড়ে অর্ণবের মেসেজ বেশ দেরিতে খুলেছিলাম, এবং খোলার পর যা দেখলাম তাতে আমার হাত কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছিল:
ভাই, আমি অর্ণব আদিত্য, আমার বাবার মুক্তিযুদ্ধে কিছুটা অবদান আছে, তাঁর নাম শিবনারায়ণ দাস|
আজকের ইয়ো প্রজন্ম শিবনারায়ণ দাসকে চেনেনা, নামও হয়ত শোনেনি| বাংলাদেশের পতাকাকেই পারলে অস্বীকার করে কেউ কেউ, সেই পতাকার ডিজাইনারকে মনে রাখবে এটা আশা করাটাই তো দু:সাহসিক!
দেশে এসে প্রথম সুযোগেই তাই ফোন করলাম অর্ণব ভাইকে, তিনি ফোনে ধরিয়ে দিলেন কিংবদন্তীর এই মানুষটিকে|
আবেগে আপ্লুত আমি কথাই বলতে পারছিলাম না, তবে একটা কথা শুনলাম যেটা অন্তরে গেঁথে গেল:
“বাবা, আমার নাম মনে রাখুক বা না রাখুক তাতে কি যায় আসে! পতাকাটা থাকুক না, সগর্বে উড়ুক বাংলাদেশের মাটিতে- আমার এর চাইতে বেশি চাওয়া আর কি থাকতে পারে? ”
মহীরূহের পক্ষেই শুধু এমন বিনয় সম্ভব!
শুভ সংবাদ হচ্ছে, উনি আমাদেরকে তাঁর বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন| আমি থাকছি না, তবে ইতিহাসের সাক্ষী হতে দ্রুতই যাবে কর্লিওনি এবং আরো কজন এযুগের কলমযোদ্ধা|
ইতিহাসের আলোয় চির উদ্ভাসিত হোক আমাদের পতাকাটি, মসীচিত্রে হাজার বছর বেঁচে থাকুক শিবনারায়ণ দাসেরা|
He designed our bangladesh