উপকরণসমূহ :
নারিকেল - আড়াই কাপ।
দুধ - ২ লিটার।
চিনি - ২ কাপ৷
ঘি - ৩ টেবিল চামচ।
কন্ডেন্সমিল্ক - আধা কাপ।
গুড়া দুধ - আধা কাপ।
এলাচ গুড়া - ২ চা চামচ।
কাজু বাদাম কুচি - ১ টেবিল চামচ।
পেস্তা বাদাম কুচি - ১ টেবিল চামচ।
আমান্ড কুচি - ১ টেবিল চামচ।
কিসমিস - ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুতপ্রণালী :
প্রথমে নারিকেল গুলোকে ব্লেন্ডারব ব্লেন্ড করে নিতে হবে খুব ভালোভাবে। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটা বাটিতে তুলে রাখতে হবে।
এবার গ্যাসে একটা প্যান বসাতে হবে। প্যানে পরিমানমতো ঘি দিতে হবে। ঘি কিছুটা গরম হলে তাতে ব্লেন্ড করে রাখা নারিকেল দিয়ে দিতে হবে। এবং অল্প আচে আস্তে আস্তে ভেজে নিতে হবে খুব ভালোভাবে।
নাড়াচাড়া করে কিছুক্ষন ভেজে নেওয়ার পর তাতে চিনি আর কন্ডেন্সমিল্ক দিয়ে দিতে হবে। চিনি এবং কন্ডেন্সমিল্ক দিয়ে দেওয়ার পর আবার নাড়তে হবে, নাড়াচাড়া করে ভাজতে হবে। এভাবে বেশ কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে ভেজে নিতে হবে।
তারপর তাতে দুধ ঢেলে দিতে হবে এবং আস্তে আস্তে জ্বাল করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, চুলার আচ খুব বেশিও দেওয়া যাবেনা আবার খুব কমও দেওয়া যাবেনা। কেননা, চুলার আচ খুব বেশি হলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আবার চুলার আচ খুব কম দিলেও সমস্যা। তাই মিডিয়াম আচেই রান্না করতে হবে।
এভাবে নেড়েচেড়ে বেশ কিছুক্ষন দুধ জাল করতে হবে৷ প্রয়োজনে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তারপর ঢাকনা খুলে তাতে গুড়া দুধ, এলাচ গুড়া, কাজু বাদাম কুচি, পেস্তা বাদাম কুচি, আমান্ড কুচি, কিসমিস ছড়িয়ে দিতে হবে আর আবার কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে জ্বাল করতে হবে৷
অনবরত নাড়তে হবে, জ্বাল করতে হবে। যখন দুধ একেবারে শুকিয়ে ঘন হয়ে আসবে আর একেবারে ঘন হয়ে যাবে তখন চুলা অফ করে দিতে হবে আর নামিয়ে নিতে হবে।
একটা সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিতে হবে। পুরো ডিশে সুন্দর করে মেলে দিতে হবে। উপরে কাজু বাদাম কুচি, পেস্তা বাদাম কুচি, আমান্ড কুচি, কিসমিস ছড়িয়ে দিতে হবে এবং ফ্রিজে রেখে দিতে হবে কিছুক্ষন সেট হওয়ার জন্য।
সেট হওয়ার পর ফ্রিজ থেকে বের করে নিতে হবে এবং ইচ্ছেমতো শেইপে কেটে পরিবেশন করতে হবে মজাদার ও সুস্বাদু নারিকেল বরফি।
অনেক সুন্দর একটা রেসিপি ।আশা করছি সবার এটা খুব ভালো লাগবে।পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু আসা করছি।।