পরশপাথরের ছোঁয়ায় লোহাও সোনা হয়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবে মানবজীবনে কোনো কোনো দুঃখময় ঘটনা ক্ষুদ্র মানুষকে মহৎ মানুষে রূপান্তরিত করে। এটা চিরন্তন সত্যি কথা। এটাই বাস্তব।
সুখ আর দুঃখ এই দুটোই আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুখ-দুঃখ আকে অপরের পরিপূরক। এদের একটিকে ছাড়া অন্যটিকে কল্পনা করা যায়না।
প্রকৃতপক্ষে, সুখ-দুঃখ একই কয়েনের দুটি অংশ। একই কয়েনের এপাশ-ওপাশ। সুখ ছাড়া যেমন দুঃখা কল্পনা করা যায়না ঠিক তেমনি দুঃখা ছাড়া আবার সুখ কল্পনা করা যায়না।
জীবনে যেমন সুখ আছে ঠিক তেমনিভাবে দুঃখ ও আছে। এর কোনোটিকেই কোনোভাবে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।
জীবনে চলার পথে আঘাত পেতে পেতে মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হয়। বেদনা পেতে পেতেই মানুষ খাটি মানুষে পরিণত হয়৷
জীবণে কষ্ট না পেলে, আঘাত না পেলে মানুষ কখনোই জীবনের যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারতো না। দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, আঘাত এর জলেই মানুষের সকল গ্লানি, পাপ সব ধুয়ে মুছে যায় আর জন্ম নেয় পবিত্রতা। আর সেই পবিত্রতাই একজন মানুষকে মহৎ মানুষে, সৎ মানুষে রূপান্তরিত করে।
পরশপাথর যেমন লোহাকে সোনা করে দিতে পারে ঠিক তেমনি ভাবে দুঃখ-কষ্ট একজন মানুষকে সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষে পরিণত করতে পারে। এজন্যই মনীষীগণ দুঃখ-কষ্ট, বেদনাকে পরশপাথরের সাথে তুলনা করেছেন।
আমরা জীবনে চলার পথে কষ্ট বা বেদনা পেলে হতাশ হয়ে পড়ি, ভেঙে পড়ি। মনে করি হয়তো সবকিছু শেষ হয়ে গেলো, আর কিছু ঠিক হওয়ার নয়৷ কিন্তু না এটা মোটেও ঠিক না। এটা আমাদের অনেক বড় একটা ভুল ধারনা। এই ধরনের চিন্তা ভাবনার ফলে আমরা অনেক সময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি।
আমাদের সকলেরই এটা মনে রাখা উচিত যে দুঃখ-কষ্ট মানবজীবনের অনিবার্য ফসল৷ দুঃখ-কষ্ট আমাদেরকে জীবনে অনেক কিছু শেখায়। আমাদেরকে অতি সাধারন ও ক্ষুদ্র মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষে পরিণত করে। এটা পরশপাথরের মতো আমাদের জীবনকে পুরো বদলে দেয়।
Smile😊