ইন্দিরার পিতার নাম ছিল - জওহরলাল নেহেরু।স্বামী- ফিরোজ জাহাঙ্গীর খান।তবে তিনি ইন্দিরা গান্ধী হলেন কিভাবে?
অনেকেই জানেন, ইন্দিরা গান্ধী বিয়ে করেছিলেন এক পার্সিয়ান কে।নাম ফিরোজ গান্ধী,ধর্মে অগ্নী উপাসক ছিলেন।
প্রকৃত ঘটনা হলো:
ইন্দিরা গান্ধী র পুরো নামঃ ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহেরু।স্বামী- ফিরোজ জাহাঙ্গীর খান।পিতাঃ জওহরলাল নেহেরু।মা- কমলা নেহেরু।দেখা যাচ্ছে স্বামীর দিকে, পিতার দিক, কোনো দিকই ' গান্ধী' নেই।
তাহলে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহেরু কিভাবে ইন্দিরা গান্ধী হলেন?
ফিরোজ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টি র একজন নবীন সদস্য ছিলেন।এবং এলাহাবাদে পার্টি র কাজের সুবাদে ইন্দিরা এবং তাঁর মা কমলা নেহেরুর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয় এবং তিনি নেহেরু পরিবারের খুব কাছে র একজন হয়ে যান।
১৯৩৩ সালে ফিরোজ ইন্দিরা কে বিয়ের প্রস্তাব দেন।তখন এটা প্রত্যাখ্যন করেছিলেন কমলা নেহেরু।ইন্দিরা নেহেরুর বয়স তখন মাত্র ১৬ বছর
১৯৩৬ সালে কমলা নেহেরু মারা যান এবং ইন্দিরা তখন খুব একা হয়ে যান।পিতা জওহরলাল তাকে অক্সফোর্ডে পড়তে পাঠান।ফিরোজ আরো আগে থেকে অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করছিলেন।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়টাতেই ইন্দিরা এবং ফিরোজ খুব ঘনিষ্টভাবে একে অপরের কাছে চলে আসেন।
সেই সময়েই ইন্দিরা তার পিতা জওহরলাল নেহেরু কে প্রায় ১০০ টা চিঠি পাঠিয়েছিলেন।চিঠিতে একটা মাত্র বাক্য লেখা থাকতো " বাবা, আমি ফিরোজ কে ভালোবাসি"।
জওহরলাল নেহেরু এতে বেশ বিচলিতও বিব্রত বোধ করেন।কারণ সে সময় অসম ধর্মের বিয়েকে ভারতে খারাপ চোখে দেখা হতো।এই বিবাহ হলে খবরের কাগজে নানা কথা লেখা হতে পারে,,,,,,,।তাই কোনো উপায় না দেখে বিষয়টা নিয়ে জওহরলাল মহাত্না গান্ধীর শরণাপন্ন হন। গান্ধীজি, ইন্দিরা ও ফিরোজের সাথে আলাপ করে তাদের অনড় অবস্হান বুঝতে পারেন।
আমার পুত্ররে সাথে ইন্দিরার বিয়ে দেবে?
গান্ধীজির এমন প্রস্তাবে চমকে উঠেন জওহরলাল নেহেরু। তিনি জানান,আমার কোনো আপত্তি নাই, তবে ইন্দিরা রাজি হবে না।
গান্ধীজি বলেন, ইন্দিরা রাজি।ফিরোজ কে আমি দত্তক নেব।সে হবে আমার পুত্র ফিরোজ গান্ধী।পরে সে মতই ফিরোজ গান্ধীর সাথে হিন্দু রীতিতে বিয়ে হয় ইন্দিরা নেহেরুর। আর "ইন্দিরা "হয়ে যান '
" ইন্দিরা গান্ধী"।
Nice article,,