আজ সবার মুখে মুখে অদৃশ্য এক ভাইরাস, নাম দেওয়া হয়েছে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯।
বিশ্বব্যাপি করোনার সংক্রমনে আজ চরম দুঃসময় পার করছে বিশ্ববাসী। এই ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শুরু হয় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই আগ্রাসী ভাইরাসকে বশে আনতে অতন্ত্য বিচক্ষণতার সহিত শহরকে কঠিন জালে আটকে দিলেও তা পরাজিত করে একসময় ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র চীন। বৃহৎ এই রাষ্ট্র তার সীমানায় এই মহামারীকে আটকানোর চেষ্টায় সাময়িক ভাবে সফল হলে ও অবশেষে পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। সারা বিশ্ব তখন ও ভাবতে পারে নি এই সংক্রমক ভাইরাস কি হারে সারা দুনিয়া বিস্তার করবে। অতি অল্প সময়ে এই সংক্রামক এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়াকে অতিক্রম করে যোজন যোজন মাইল দূরের ইউরোপ-আমেরিকায় ঝড় তুলছে। পুরো দুনিয়াকে একেবারে নাজেহাল পর্যায়ে নিয়ে যায় যা এখন অবধি তার অবস্থান থেকে দুর্বল হলেও একেবারে নির্মূল হতে পারে নি। এর সাথে হানা দিয়েছে নানা দুর্যোগ। সংকটে ভয়ে আর অতঙ্কে প্রবাসীরা ফিরে আসতে থাকলো নিজ মাতৃভূমি বাংলায়। স্বাস্থ্যবিধি আর কোয়ারান্টাইন মেনে চলার নির্দেশ দিলেও বাঙ্গালীরা অবহেলা আর অসচেতনতা নিয়ে থাকায় ভাইরাসও এগিয়ে যেতে থাকলো তার নিজের সুলভ বৈশিষ্ট্যেে।সামাজিক বিধিকে যে শুধু লঙ্ঘন করেছে তা নয়, বিভিন্ন জেলায় নিজেদের গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলো। ফলে করোনা ছড়িয়ে পড়লো বাংলাদেশের বেশির ভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলে, শুধু মাএ মানুষের অগাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারনে। সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথ, নৌপথের যে দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে তাতে মনেই হয় না দেশটি এক সংক্রামক ভাইরাসের সাথে যুদ্ধে বিপর্যস্ত, নাজেহাল। জীবন চালানোর তাগিদে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যায় নি তাই পরে খুলে দেয়া হল লকডাউন, আর তাতে সুযোগ পেয়ে রাস্তায় ঢল নামে মানুষের। শুধু সংক্রমনের সংখ্যায় নয় মৃত্যুর সংখ্যা ও আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়তে থাকে। চিকিৎসা সেবা শুরু করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রীর অপ্রতুলতায় সেখানে দেখা দেয় মারাত্মক সঙ্কট। সবচাইতে বড় সমস্যা সেখানে সুষ্ঠু এবং সফল সমন্বয় প্রয়োজন ছিলো সেখানে ই দেখা দেয় হরেক রকমের বিপত্তি।
তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এই দুর্যোগে সচেতনতাই পারে পরিএান দিতে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ও কঠোর পর্যালোচনায় প্রাপ্ত অর্থ যেন সুষ্ঠু সমন্বয়, ব্যবহার এবং যথোপযুক্ত খাতে ব্যয় করা হয় সেটায় নজর দিতে হবে। তবে আগামী দিনগুলোতে এই মহামারীর যুদ্ধের লড়াইয়ে ঠিকে থাকা সম্ভব৷
আসলেই তাই করনার কারণে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু কে জানে কবে আমরা এই মহামারী হতে মুক্তি পাব।