হাতের মোবাইলে রাতের অন্ধকারের পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠছে। ঘুম ঘুম চোখে রঙিন দুনিয়ার স্বপ্নে বিভোর তারুণ্য ক্রমে ফেসবুক থেকে জড়িয়ে দিনের কর্ম ঘন্টাকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। ফেসবুক দুনিয়ায় ভাসছে তারুণ্য সমাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসামাজিক কর্মকান্ড থেমে নেই। আছে রাজনৈতিক নোংরামি ও। তবু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খ্যাত ফেসবুক এখন মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ।যান্ত্রিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষ ক্রমেই যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে। তাই মনের আবেগ অনুভূতি এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভ সহ প্রভৃতির প্রকাশ ঘটেছে ফেসবুকে।
আজকের বাংলাদেশেমোবাইল ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যবহারের সংখ্যা প্রায় চার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বেশিরভাগ তরুণের ফেসবুকে উপস্থিতি প্রেম সংঘটিত। ভাঙছে সংসার, ভাঙছে জীবন তবুও থেমে নেই ফেসবুকের ব্যবহার।ফেসবুকের কল্যাণে দেশে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে।ইন্টারনেট খুলে দিয়েছে রঙ্গের দুনিয়ার সব দরজা জানালা।
পেটে খাবার না থাকলেও বাঙালির হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন শোভা পাচ্ছে। বেকার রায় কারণে-অকারণে দিনের বড় একটা সময় ব্যয় করে ফেসবুকে। এছাড়া বন্ধ নেই সাইবার ক্রাইম। বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটির কাছাকাছি। তারুণ্যের এই ফেসবুক আসক্তি বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে?
যারা ফেসবুকে তালে কমেন্ট এবং স্ট্যাটাস দিচ্ছে এগুলোর প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আগ্রহ খুবই কম। আবার ফেসবুকের লাইক কমেন্ট এর জন্য ছবি তোলার হিড়িক কম নয়। আর অন্য সব দেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের ব্যস্ত সময় পার করছে তরুণরা।
জীবনের নিবন্ধিত দিনগুলোর মূল্যবান সময় ফেসবুকে নষ্ট না করে এ দেশের তরুণরা ও যদি জ্ঞান-বিজ্ঞান ,শিল্প সাহিত্য চর্চায় এগিয়ে আসত তাহলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত। আইফোন স্যামসাং এর দুনিয়ায় স্মার্টফোন অ্যাকসেস ছাড়িয়ে আসুসের যেন ফোন ডিলাক্স ই এখন বাংলাদেশের তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশের তরুণরা জীবনের মূল্যবান সময় যদি ফেসবুকে নষ্ট না করে ,বিবেকবান মানুষের দীর্ঘশ্বাস তো উঠবেই।
একটা সময় ছিলো যখন কিনা ফেইসবুকে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগতো কিন্তু বর্তমানে রিড ক্যাশ এ আসার পর থেকেই আর ভালো লাগে না ফেইসবুক।ইউটিউবেও খুব কম সময় দেওয়ার চেষ্টা করি।রিড ক্যাশ এ যেমন লার্নিং তেমন আর্নিং।