নারী আর পুরুষ মিলে মানব সভ্যতার সূচনা করেছিল। যুগের পর যুগ ধরে নারী ও পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে নিয়েছে সমাজ সংসার। ক্ষেত্রবিশেষে নারীশ্রম ও ত্যাগে পুরুষের চেয়ে ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনো করছে। কিন্তু নারী তার স্বীকৃতি পেয়েছে খুব কমই। পুরুষশাসিত সমাজ কেবল নারীর অবদান কে উপেক্ষা করেনি, অস্বীকার করেছে তাদের অধিকার ও।
সমাজের বিধিবিধানগুলো ও তৈরি করা হয়েছে নারীর প্রতিকূলে। তাছাড়া ধর্মীয় গোঁড়ামি আর কুসংস্কার তো আছেই। সব মিলিয়ে আমাদের সমাজে নারীরা অধিকার বঞ্চিত, পশ্চাত্পদ ও অবহেলিত। শিক্ষিত শ্রেণীর ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেলেও গ্রামীণ ও নিম্নবিত্ত সমাজের নারীদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। নারীদের অধিকার হরনের জন্য ধর্ম কে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হলেও ধর্মে নারীদের যেসব অধিকার দেওয়া হয়েছে, তাকে থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়।
পড়ালেখা, বিয়ে, মতামত ও সিদ্ধান্ত ,পরিবার গঠন, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ সহ প্রায় সর্বক্ষেত্রে নারী অধিকার খর্ব করায় যেন সামাজিক রীতি। সবকিছুতে নারীকে নিজেদের উপর নির্ভর করে রাখাকে পুরুষ মনে করে তাদের অলঙ্ঘনীয় অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হলেও তা কেবল কাগজ-কলমে রয়ে গেছে।
এই বাস্তবতায় সবার আগে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।নারীকে বঞ্চনার মধ্যে রেখে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নতি আশা করা যায় না।