আজকের দিনে তথ্যপ্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ইন্টারনেট। তথ্য প্রবাহ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বিস্ময়কর বিপ্লব বয়ে এনেছে। ইন্টারনেট আসলে ডিভাইস কেন্দ্রিক বিশ্ব যোগাযোগের একটি অভিন্ন ক্ষেত্র।
ইন্টারনেট একটি জটিল যোগাযোগ জাল। এর সাধারণ পরিচয় ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক। বিশ্বের অসংখ্য নেটওয়ার্ক কে ইন্টারনেট সংযুক্ত করেছে বলে একে বলা হয় নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু ১৯৬৯ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পারমাণবিক যুদ্ধ হামলা সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদানের লক্ষ্যে "আমেরিকান ডিফেন্স নেটওয়ার্ক "নামে এবছর একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়।
গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষ ভাগে এই তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা কি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর খুব দ্রুতই ইন্টারনেট সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রযুক্তির ক্রয়মূল্য থেকে বিশেষ করে কম্পিউটারের উন্নতির ফলে ইন্টারনেট বিশ্বের সর্বত্র জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইন্টারনেট মূলত মুহূর্তের মধ্যে অগণিত ব্যবহারকারীকে পরস্পর সংযুক্ত করে এবং তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সবার আগে প্রয়োজন হয় কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংক্রান্ত সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এর ব্রডব্যান্ড লাইনের সংযোগ বা মডেম।
আজকাল মোবাইল ফোনেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যক্তিগত, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ১ বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তবেবে এর মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ও মিথ্যা তথ্য যেমন ছড়ানো হয় তেমনি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হয়।
আমি আপনাকে সাবস্ক্রাইব করছি আপনি আমাকে সাবস্ক্রাইব করেন