যখন আমরা ছোট ছিলাম হাতগুলো জামার মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে বলতাম আমার হাত নেই। একটা কলম ছিল, যার চার রকম কালী, আর আমরা তার চারটে বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম। দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ আসলে চমকে দেবো বলে, সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম। ভাবতাম আমি দৌড়ালে চাঁদটা ও দৌড়ায় আর এই চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে কত যে দৌড়েছি। ইলেকট্রিক সুইচের দুই দিকে আঙ্গুর চেপে অন অফ এর মাঝে মাঝে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতাম। দুই ফোটা জল ফেলে রেস করতাম কে গড়িয়ে আগে নিচে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাতা না দিয়ে কচু বা কলাপাতা মাথায় দিয়ে বলতাম ,দেখ গায়ে লাগছেনা। যখন বাবার ট্রেনে ভ্রমণ করতাম জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে মনে হতো যেন আমি স্থির হয়ে আছি আর গাছগুলো দৌড়াচ্ছে।আরো মনে হতো একটি নির্দিষ্ট সীমা নাই পরে হয়তো আকাশটা শেষ।
এইরকম আরো হাজারো ঘটনা আছে যেগুলো আমরা ছোটবেলায় করে থাকতাম। তখনকার দিনগুলো সত্যি খুব সুন্দর ছিল এবং অনেক মিস করি। আমাদের এই ছোট্ট জীবনে শৈশব কাল সব থেকে ভালো ,মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ। অনেক উচ্ছ্বাস, অনেক আবেগের এবং অনেক ভালোবাসার শৈশব। বারবার ফিরে যেতে চাই আমাদের ভালোবাসার দুরন্ত শৈশবের সেই দিনগুলোতে। কেউ যদি আমাকে আলাদিনের চেরাগ টাকে হাতে দিয়ে বলে, একটি জিনিস চাইতে পারবো, আমি নির্বিকার একটি শব্দ উচ্চারণ করতাম শৈশব।
maje maje mona hoi esh ami jodi abar choto hoa jetam abar jodi sai din ta fire petam.tahole kotoi na moja hoto