এমন একসময় ছিল মানুষের বাড়িতে মানুষ জায়গীর থেকে পড়ালেখা করত। আবার কারো বাড়িতে মেহমান আসলে মানুষ খুব খুশি হত।
আর এখন নিজের ভাই বোনকেই মানুষ নিজের বাসায় রেখে পড়ালেখার সুযোগ দিতে চায় না, অন্য আত্মীয় তো দূরের কথা বাপ মা বাসায় এলেই ছেলে ছেলের বউ, বা মেয়ে বা মেয়ের জামাই মুখ কালো করে ফেলে।
আগে এত গাড়ি ঘোড়া প্রযুক্তি ছিল না। পায়ে হেটে, সাইকেলে বা ভ্যানে দীর্ঘ যাত্রাপথে কারো বাড়িতে যাত্রা থামিয়ে পানি খেতে চাইলে তারা হাসি মুখে পানি খাওয়াত, অনেকে শুধু পানি দিতে লজ্জা পেত, সাথে মুড়ি গুড়ও দিত। মহিলারা বাথরুম সেরে নেয়ার সুযোগও পেত।
আর এগুলো করে অচেনা বাড়িওয়ালারা বিরক্ত তো কেউ হত না উল্টো বলতে গেলে সেবা করবার, পানি খাওয়ানোর সুযোগ পেয়ে তারা ধন্য হত। এখন অচেনা কোনো বাড়ির দরজায় টোকা দেয়া অভদ্রতা।
তাই এখন পানি খেতে বা পানি ছাড়তে উভয় ক্ষেত্রেই টাকা লাগে।
আগে মানুষের এত চাহিদা ছিল না, তাই তাদের জীবন যাপন চিন্তা চেতনা ছিল সহজ সরল, ভয় শংকা মুক্ত।একবাড়ির চুলায় থেকে পাটকাঠি দিয়ে আগুন নিয়ে আরও দুইচার বাড়িতে রান্নার হাড়িতে আগুনে জ্বলত। এক বাড়িতে কুয়া বা টিউবওয়েল থাকলে তার পানি দশ বাড়িতে নিত। বাড়ি বাড়ি এত গেইট বা বেড়া (সীমানা প্রাচীর) ছিল না।
বিদ্যুত বিহীন গ্রামে ঘুটঘুটে অন্ধকারে গ্রীষ্মের রাতে ঘরের ভিতর না শুয়ে দাওয়ায় বা খোলা বারান্দায় পাটি বিছিয়ে কত রাত নিশ্চিন্তে ঘুমাত মানুষ। আর এখন পাকা ঘর বা বিল্ডিংয়ের উপর দরজা আটকেও মানুষ সেইভাবে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাতে পারে না।
আগে মানুষের ঘরে এত প্রাচুর্য ছিল না, কিন্তু অন্তরের প্রাচুর্য ছিল। এখনকার মানুষের বাড়ি ঘরে প্রাচুর্যের বাড়াবাড়ি, কিন্তু অন্তরটা মরে গেছে।
আহা একজীবনে সেইদিন আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না!!!
এমন একসময় ছিল মানুষের বাড়িতে মানুষ জায়গীর থেকে পড়ালেখা করত। আবার কারো বাড়িতে মেহমান আসলে মানুষ খুব খুশি হত।
আর এখন নিজের ভাই বোনকেই মানুষ নিজের বাসায় রেখে পড়ালেখার সুযোগ দিতে চায় না, অন্য আত্মীয় তো দূরের কথা বাপ মা বাসায় এলেই ছেলে ছেলের বউ, বা মেয়ে বা মেয়ের জামাই মুখ কালো করে ফেলে।
আগে এত গাড়ি ঘোড়া প্রযুক্তি ছিল না। পায়ে হেটে, সাইকেলে বা ভ্যানে দীর্ঘ যাত্রাপথে কারো বাড়িতে যাত্রা থামিয়ে পানি খেতে চাইলে তারা হাসি মুখে পানি খাওয়াত, অনেকে শুধু পানি দিতে লজ্জা পেত, সাথে মুড়ি গুড়ও দিত। মহিলারা বাথরুম সেরে নেয়ার সুযোগও পেত।
আর এগুলো করে অচেনা বাড়িওয়ালারা বিরক্ত তো কেউ হত না উল্টো বলতে গেলে সেবা করবার, পানি খাওয়ানোর সুযোগ পেয়ে তারা ধন্য হত। এখন অচেনা কোনো বাড়ির দরজায় টোকা দেয়া অভদ্রতা। তাই এখন পানি খেতে বা পানি ছাড়তে উভয় ক্ষেত্রেই টাকা লাগে।
আগে মানুষের এত চাহিদা ছিল না, তাই তাদের জীবন যাপন চিন্তা চেতনা ছিল সহজ সরল, ভয় শংকা মুক্ত।একবাড়ির চুলায় থেকে পাটকাঠি দিয়ে আগুন নিয়ে আরও দুইচার বাড়িতে রান্নার হাড়িতে আগুনে জ্বলত। এক বাড়িতে কুয়া বা টিউবওয়েল থাকলে তার পানি দশ বাড়িতে নিত। বাড়ি বাড়ি এত গেইট বা বেড়া (সীমানা প্রাচীর) ছিল না। বিদ্যুত বিহীন গ্রামে ঘুটঘুটে অন্ধকারে গ্রীষ্মের রাতে ঘরের ভিতর না শুয়ে দাওয়ায় বা খোলা বারান্দায় পাটি বিছিয়ে কত রাত নিশ্চিন্তে ঘুমাত মানুষ। আর এখন পাকা ঘর বা বিল্ডিংয়ের উপর দরজা আটকেও মানুষ সেইভাবে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাতে পারে না।
আগে মানুষের ঘরে এত প্রাচুর্য ছিল না, কিন্তু অন্তরের প্রাচুর্য ছিল। এখনকার মানুষের বাড়ি ঘরে প্রাচুর্যের বাড়াবাড়ি, কিন্তু অন্তরটা মরে গেছে। আহা একজীবনে সেইদিন আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না!!!