মানুষ কৌতুহলী প্রাণী। অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন। নিজের আশেপাশের পরিবেশ দেখার বাহিরে তার মনে ভিড় করে দূর অজানার বিভিন্ন আকর্ষণ। যেখানে ভ্রমণ করলে আনন্দ হবে ঘটবে তার চিত্তের মুক্তি।
কবি লিখেছেন-
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি
দেশে দেশে কত না নগর রাজধানী
মানুষের কত কীর্তি,কত নদী গিরি সিন্ধু মরু
কত না অজানা জীব , কত না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পূর্বে দেশ ভ্রমণই ছিল প্রাচীন কালের শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম। আগের মানুষ জ্ঞান আহরণের জন্য ভ্রমণ করতে। ভ্রমণ মানুষের মনের মধ্যে নিয়ে আসে নতুন আনন্দের বন্যা।
দেশভ্রমণ মনের বন্ধ দরজাগুলো খুলে দিয়ে চেতনার নতুন আলো ছড়ায় প্রাণের মধ্যে।
রবীন্দ্রনাথ তাই বলেছেন-
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরের পিয়াসী।
ভ্রমণ মানুষের মনের আনন্দের খোরাক যোগায় পাশাপাশি নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে।
দেশভ্রমণের তীব্র বাসনাই প্রকাশ পেয়েছে আমাদের জাতীয় কবির সংকল্প কবিতায়।
কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন-
থাকব না ক বদ্ধ ঘরে
দেখব এবার জগৎটাকে
কেমন করে ঘুরছে মানুষ
যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।
Iccha ache desh vromon korbo