গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহের পর আসে বর্ষা। বর্ষা নিয়ে আসে আনন্দ বেদনার স্মৃতি। গ্রীষ্মের প্রচন্ড চাপে যখন মাঠঘাট শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায় তখন বর্ষা এসে শুস্ক মাঠে জলের ধারা নিয়ে হাজির হয়। প্রকৃতিত সাজে নতুন এক সাজে। বর্ষা এলে গ্রামের ছেলেমেয়েরা ভেলা করে ঘুরে বেড়ায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। শখের বসে মাছ ধরে অনেকে। কি যে আনন্দ মাছ ধরার। ভেলা বানানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে প্রচুর বন্যার পানির জন্য ডুবে যায় বাড়ির পর বাড়ি । অনেক কষ্টে বসবাস করতে হয়। তাদের কাছে বর্ষা নিয়ে আসে বেদনা।
কবি বলেছেন-
ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে
জল সিঞ্চিত ক্ষিতি সৌরভ রভসে
ঘন গৌরবে নব যৌবনা বর্ষা
শ্যাম গম্ভীর সরসা।
বর্ষায় বাংলার প্রকৃতির রূপ অন্য রকম হয়ে যায়। আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। মুসলধারায় এবং ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়। তাই কবি বলেছেন-
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে
ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে মনের মধ্যে যেন দোলা দিয়ে ওঠে। মনের সব আনন্দ বিষাদময় স্মৃতিগুলো এসে যায় মনে বাদলের ধারা যেন মুগ্ধ ধারায় ঝরে। বৃষ্টির এই দিনে লুডু খেলার আমেজ ঘরে ঘরে।
কবি বলেছেন-
আকাশ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো ,গেল দিন বয়ে
বাঁধন হারা বৃষ্টিধারা ঝরছে রয়ে রয়ে।
একলা বসে ঘরের কোণে, কী ভাবি যে আপন মনে
সজল হাওয়া যূথীর বনে কী কথা যায় কয়ে।
বর্ষা নিয়ে আসে প্রকৃতিতে এক উজ্জ্বল দৃশ্য। কারো বা বর্ষা নিয়ে আসে বেদনা আবার কারো নিয়ে আসে আনন্দের ধারা। কৃষকের সদ্য রোপন করা ধান যায় পানিতে ধুয়ে। আবার শিশু কিশোরদের ভেলা চালানোর আনন্দ বয়ে আনে হৃদয়ে । কেউ বা বর্ষায় মনের আনন্দে নকশিকাঁথা বুনে। বর্ষায় কিছু সমস্যা থাকলেও অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
this article so important for everyone. rainy season so important for farmer.i likes your post