বাংলাদেশের মানুষের বিভিন্ন শখের মধ্যে বিশেষ একটি শখ হচ্ছে ঘুড়ি ওড়ানোর ৷ বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষের পছন্দ ঘুড়ি৷ কেউ বা ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ পায় কেউ আবার ঘুড়ি ওড়ানো দেখে দেখে আনন্দ পায়৷ এদেশের সব বয়সের মানুষ ঘুড়ি ওড়ানো পছন্দ করে ৷ শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ঘুড়ি ওড়ানো পছন্দ করে ৷ সবুজ শ্যামল পল্লী গাঁয়ের শিশুরা বৃদ্ধরা পর্যন্ত ঘুড়ি বানাতে পারে ৷ যারা ঘুড়ি বানাতে পারে না তারা ক্রয় করে ৷ নানা রঙের ঘুড়ি হয়৷ এই রঙিন ঘুড়ি গুলো আবার বিভিন্ন ডিজাইনের হয় ৷ একেক অঞ্চলের মানুষ একেক নামে চিনে ঘুড়ি গুলোকে ৷ পল্লী গাঁয়ের ছেলেরা খোলা বিশাল মাঠে ঘুড়ি ওড়ায় মনের আনন্দে৷ কখনো ঘুড়ি গুলো সুতো ছিড়ে চলে যায় অন্য গ্রামে তখন সবাই মিলে পিছু নেয় ঘুড়ির ৷ জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে ঘুড়ি ওড়ানোর উত্তম সময়৷ জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে বিকেল বেলায় মাঠ ভর্তি লোক হয়ে যায় ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দে৷ শুধু যে গ্রামের মানুষ ঘুড়ি ওড়ায় তা কিন্তু না ৷ইট পাথরে ঘেরা শহরের ছেলেরাও বিভিন্ন রঙিন ঘুড়ি ওড়ায় ৷ তারা লাটাই হাতে নিয়ে রঙিন সুতোয় রঙিন ঘুড়ি ওড়ায় বাসার ছাঁদে ৷ সবাই একত্রিত হয়ে রঙিন ঘুড়ি ওড়ায় এবং একে অন্যের ঘুড়ির সুতো কাটার প্রতিযোগিতায় নামে ৷ কোনো কোনো এলাকায় বিশাল বিশাল ঘুড়ি তৈরি করে লোকজন সেটা দেখার জন্য ভিড় জমায় ৷ঘুড়ি একটি শখের জিনিস হলেও অনেকে ঘুড়ি বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়৷ ঘুড়ি ওড়ানো বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই আনন্দময় মুহুর্ত ৷
আহ ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।ঘুড়ি তো একদম রক্তের সাথে মিশে আছে।ছোটবেলায় স্কুল থেকে এসেই বিকেলের জন্য ওয়েট করতাম কারন বিকেল ছাড়া তো ঘুড়ি উড়ানোর মজা নেই।মাঝেমধ্যে তো উপরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে গাছের সাথে বারি খেয়ে নাক ফাটাই পেলছি।ধন্যবাদ খুব ভালো পোস্ট শৈশবকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ।