আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে মার্কিন নির্বাচনে অংশ নেবেন তিন নভোচারী, নিজ নিজ ভোট দেবেন মহাকাশে বসেই। এ মাসের শেষে স্পেসএক্স রকেটে চেপে পৃথিবীর বাইরে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
[bad iframe src]
স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ভিত্তিক মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন নাসা নভোচারী মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টোর গ্লোভার, শ্যানন ওয়াকার, এবং জাপানি নভোচারী সইচি নগুচি। রয়টার্স জানিয়েছে, “রেসিলিয়েন্স” নামের ক্যাপসুলে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রে রওনা হবেন তারা।
“আমরা সবাই মহাকাশ থেকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।” – বলেছেন মার্কিন নভোচারী ওয়াকার। মূলত ওই তিন মার্কিন নভোচারী মহাকাশ থেকে ‘ইলেকট্রনিক পিডিএফ ফাইল’ পূরণ করবেন, এবং পৃথিবী থেকে দুইশ’ ৫০ মাইল দূরে বসে সেটি নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরকে মেইল করবেন।
নাসার স্পেস শাটলগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর জন্য রাশিয়ার সয়ুজ মহাকাশযানের ওপরে নির্ভর করতে হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। সেজন্য খরচ হত বিপুল পরিমাণ অর্থ।সম্প্রতি স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের কল্যাণে ওই নির্ভরতা কাটিয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য রাশিয়ার ওপর এই নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বেসরকারি খাতে মহাকাশ মিশন শুরুর উৎসাহ দিয়ে আসছিল নাসা। এ লক্ষ্যে ইলন মাস্ক নেতৃত্বাধীন স্পেসএক্সকে আরও কয়েকটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিল নাসা।
এ বছরে চ্যালেঞ্জিং সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নিজেদের অভিযানের নাম “রেসিলিয়েন্স” হবে বলে ঠিক করেছেন নভোচারীরা। বাংলায় রেসিলিয়েন্সের শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার ক্ষমতা বা স্থিতিস্থাপকতা।
মার্কিন নভোচারী হপকিন্স বলেছেন, “আমরা মনে হয়, আমরা সবাই একমত হবো যে ২০২০ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি বছর।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈশ্বিক মহামারী, অর্থনৈতিক দুর্দশা, নাগরিক অস্থিরতা ও আইসোলেশনের মধ্যেও নাসা নিজেদের উৎক্ষেপণ পরিকল্পনা থামায়নি, এগিয়ে নিয়ে গেছে।