আমি কেন পাকিস্তান ঘৃণা করি জানেন⁉
মেয়েদেরকে উলঙ্গ করে গরুর মত লাথি মারতে মারতে, পশুর মত পিটিয়ে হেডকোয়ার্টারের দোতলা, তেতলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবী সেনারা চলে যাওয়ার সময় লাথি মেরে আবার কামরার ভিতর ঢুকিয়ে তালা বদ্ধ করে রাখতো। বহু যুবতীকে হেডকোয়ার্টারের ওপরের তলার বারান্দায় মোটা লোহার তারের ওপর চুল বেধেঁ ঝুলিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবীরা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো। কেউ এসে ঝুলন্ত উলঙ্গ যুবতীদের কোমরের মাংস বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো.
কোনো মেয়ে এসব অত্যাচারে চিৎকার করলে তার যোনিপথে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হতো। প্রতিটি মেয়ের হাত পিছনের দিকে বাধা থাকতো। মাঝে মাঝে পাকিস্তানি সৈন্যরা সেখানে এসে উলঙ্গ ঝুলন্ত মেয়েদেরকে এলোপাতাড়ি বেদম প্রহার করতো। প্রতিদিনের এমন বিরামহীন অত্যাচারে মেয়েদের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল; কারও মুখেই সামনের দিকে দাঁত ছিল না; ঠোঁটের দুদিকের মাংস কামড়ে এবং টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল; লাঠি ও লোহার রডের বেদম পিটুনিতে মেয়েদের আঙুল, হাতের তালু ভেঙে থেঁতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল‼ এসব অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত মেয়েদেরকে প্রসাব পায়খানা করার জন্যেও হাত ও চুলের বাঁধন খুলে দেয়া হতো না। এমন ঝুলন্ত আর উলঙ্গ অবস্থাতেই তারা প্রসাব পায়খানা করতো। আমি প্রতিদিন সেখানে গিয়ে এসব পরিষ্কার করতাম…..#সুইপার_রাবেয়া, ৭১ এর #অভিজ্ঞতা বর্ননায়।
amazing.good