ভবঘুরে

0 14
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

হোটেল রুমে বসে আছি আমি এবং মিম (আমার প্রেমিকা)

উদ্যেশ্যটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।

হুমমম,,, আমরা রুম ডেট করতেই আসছি।

কিন্তু মিম সেটা জানে না।

মানে আমি ওকে সেভাবে ক্লিয়ার করে বলিনি যে আমি রুম ডেট করতে চাই।

শুধু বলেছি যে,, আমি তোমার সাথে একটু নিরিবিলি সময় স্পেন্ড করতে চাই।

তোমাকে একটু কাছে থেকে দেখতে চাই।

আর আমার বিশ্বাস আমি কি মিন করছি মিম সেটা বুঝতে পারছে।

আর বর্তমান যুগে মেয়েরা এসব ইশারা খুব সহজেই বুঝতে পারে। একটা সাভাবিক।

মিম হঠাৎ উঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলো।

আমি বসে আছি।

আর প্রিপারেশন নিচ্ছি,,

কিভাবে শুরু করবো।

আসলে ফাস্ট টাইম তো।

ওয়েট,,,, মিম আসতেছে,,,,,

হোটেল রুমে এসে কেমন লাগছে তোমার মিম?

হুমম,,,, ভালো।

আচ্ছা,,,, আসো না একটু পাশে বসো

।।

মিম কোন কথা না বলে আমার পাশে এসে বসলো।

আমিও গ্রিন সিগনাল পেয়ে,,, যেই না মিমের গায়ে হাত দিলাম।

ওমনি সাপের মতো ফোস করে উঠে বললো,,

এসব কি হচ্ছে??

আমি একটু অবাক হয়ে বললাম,,, কি হচ্ছে মানে??

হুমমম,,, তুমি গায়ে হাত দিচ্ছো কেন?

গায়ে হাত দিচ্ছি কেন মানে??

দেখো কোন নোংরামি আমি একদম লাইক করি নাহ।

আমি পুরাই থ বনে গেলাম।

নাহ,,, ও এসবে বারণ করছে সে জন্য নয়।

আমি অবাক হচ্ছি এই জন্য যে,,, মিমের সাথে আমার প্রায় ৮ মাসের রিলেশন। দুজনেই একই ভার্সিটিতে পরি।

কিন্তু মিম এতোটা জোরে বা এতো তারাতারি কখনো কথা বলতো না।

প্রায় সব সময় মন মরা হয়ে থাকতো। আর কোন প্রশ্ন করলে শুধু হ্যা,না হুম, এসব বলেই উত্তর দিতো।

এক কথায় খুব কম কথা বলতো। আনমনা হয়ে থাকতো সব সময়। অনেক কষ্ট হয়েছে ওকে পঠাতে।

যাই হোক,,,,আমি এই সুযোগ নষ্ট করতে চাই না।

তাই আমার মিমকে আদর করার চেষ্টা করলাম।

মিম আবারো সোজা না করে দিয়ে বলল।

এসবের জন্য ডাকছো??

তাহলে??

আসলে সব ছেলেরাই এক। সুযোগ পেলেই নোংরামি।

কি বলতে চাচ্ছো তুমি??

যা সত্যি তাই।

আমি বললাম,,, মানে?? তোমার এসবে ইন্টারেস্ট নাই??

> no....never.....

.

কিন্তু কেন? এখন তো এসব নরমাল। সবাই করে আর তোমার প্রবলেম কিসে?

আমি তো তোমাকেই বিয়ে করবো।

মিম চুপ করে মাথা টা ঘুরিয়ে নিলো।

আমি আবার মিমের দিকে এগিয়ে গেলাম। পিছন থেকে জরিয়ে ধরলাম।

এবার মিম আমাকে অবাক করে দিয়ে,,, ঘুরে সজোরে একটা থাপ্পর মারলো আমার গালে।

তাপ্পর মেরে বসে কান্না শুরু করে দিলো।

আমি গালে হাত দিয়ে মিমের দিকে আর না তাকিয়ে হাতে থাকা ফোন টা এক আছার মারলাম ফ্লোরে। তারপর সোজা রুম থেকে বেড়িয়ে আসলাম।

হোটেল এর সামনের দোকানে এসে একটা সিগারেট ধরিয়ে টানছি।

আর ভাবছি।

জীবনে প্রথম প্রেম করলাম,,

কতো স্বপ্ন নিয়ে,,, আগে মন ভরে রোমান্স করবো,,তারপর বিয়ে।

কিন্তু কিসের কি??

সিগারেট এর টানের গতি আসতে আসতে বাড়তে লাগলো আমার।

একটার পর একটা সিগারেট টানছি।

এমন সময় লক্ষ করলাম।

২৪_২৫ বছরের একটা লোক আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। মুখে দাড়ি গোফে ভরপুর।

গায়ে ছেরা ফাটা একটা টিশার্ট।

আমি প্রথমে বিষয়টাতে গুরুত্ব না দিয়ে সিগারেট টেনেই যাচ্ছি।

কিন্তু বেশ কিছুক্ষন থেকে দেখছি লোকটা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।

আর সহ্য করতে না পেরে বিরক্তির সুরে বললাম।

কি চাই,,, টাকা লাগবে??

লোকটা বলল,,, নাহ

তাহলে তাকিয়ে আছেন কেন?

একটা সিগারেট হবে??

আমি হা করে তাকিয়ে আছি।

লোকটা আবার বলল.... হবে একটা সিগারেট??

আমি কোন কথা না বলে দোকান থেকে একটা সিগারেট নিয়ে লোকটাকে দিলাম।

লাইটার টা??

লাইটারও দিলাম।

লোকটা সিগারেট টা ধরিয়ে টানের পর টান দিয়ে মহুর্তেই শেষ করে ফেলল।

যা দেখে আমি রিতিমতো অবাক।

এভাবে কেউ সিগারেট খায়??

আর একটা হবে ভাই?? (লোকটা আবার বলল)

আমি কিছু না বলে,,আর একটা সিগারেট দিলাম।

লোকটা সিগারেট টা ধরিয়ে বললো।

জীবনের গল্পটা খুব অদ্ভদ তাই না ভাই??

কথাটা শুনে আমি লোকটার দিকে একটু অবাক দৃষ্টিতে তাকাই আর বলি,,,,, মানে?

তেমন কিছু না।

লোকটার সাথে কথা বলে মনে হলো সে মোটামুটি শিক্ষিত।

আমি বললাম >>> আপনি ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন??

লোকটা সিগারেট এ একটা সুখটান দিয়ে বললো,,,

একটা গল্প শুনবেন??

হোয়াট!!! গল্প মানে??

হুম গল্প,,, শুনবেন??

দেখুন ভাই,,, আমি এমনিতেই একটা টেনশনে আছি,,, তাই প্লিজ আপনি আপনার কাজে জান। আপনার গল্প শোনার কোন ইচ্ছা নেই আমার।

বলেই আমি আমার মতো করে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছি।

লোকটা আমার মনোযোগ আছে কি না সেটার দিকে খেয়াল না করে বলতে শুরু করলো।

জানেন ভাই আমার বাসা বরিশাল এর প্রতন্ত চরে।

আমার বাবা মা মারা যায় আমি ৭ বছরের থাকতে।

তার কিছুদিন পর আামদের ভিটামাটিও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।

আমি ছিলাম আমার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।

না ছিলো কোন ভাই,, না ছিলো কোন বোন।

১ মাসের মধ্যে সব কিছু হাড়িয়ে যায় আমার।

কি করব না করবো কিছুই যখন বুঝতে পারছিলাম না তখন এলাকার আবুল চাচা আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। এসে আমাকে বিক্রি করে দেয়।

আমি তো ছোট ছিলাম তাই তখন বুঝতে পারি নি।

আর পরেও বুঝতে পারতাম না যদি না সাহেব বলতো।

কারণ আমাকে যে মালিক কিনেছিলো তিনি ছিলেন একজন পরহেজগার মানুষ।

ওনার স্ত্রী মারা যাওয়ার কারণে ওনার ছোট মেয়ের খেলার সাথী হিসেবে আমাকে কিনে নিয়েছিলেন। তখন ওনার পরিবারে সদস্য বলতে ওনি আর ওনার মেয়ে জান্নতুল ফেরদৌসি।

মনের অজান্তেই কখন যে লোকটা গল্পে মনযোগ দিয়েছি নিজেও জানি না।

লোকটা বলেই চলছে,, ,

খুব সুখেই কাঠছিলো আমার দিন।

আমি আর ওনার মেয়ে দুজনেই প্রতিদিন স্কুলে যাইতাম,খেলতাম, এভাবেই আসতে আসতে বড় হতে থাকি আমার। কোন দিন বুঝতেই পানি নি যে,, আমাকে ওনি কিনে এনেছেন।

এতোটা আদর করতো আমায়।

SSC পরিক্ষায় দুজনেই A+ পাই। সে কি খুশি ছিলেন ওনি আমাদের নিয়ে। কতো ঘুরা ঘুরি কতো শপিং। নিজেকে তখন অনেক ভাগ্যবান মনে হয়েছিলো।

তারপর দুজনেই ভর্তি হই পাশের একটা কলেজে।

প্রথম কলেজ। দুজনেই মন ভরে উপভোগ করতাম। কোন দিন কলেজ মিস করতাম না।

প্রতিদিন সকালে জান্নাতুল আমাকে চা দিতো।

যেহেতু ও প্রতিদিন সকালে গোসল করতো

আর গোসল করে ও সবার আগে যে কাজটা করতো সেটা হলো আমাকে চা দেওয়া।

ও যখন ভেজা চুলে চা নিয়ে এসে দারিয়ে থাকতো,, তখন মনে হতো দেবী দারিয়ে আছে আমার সামনে।

অসম্ভব সুন্দর লাগতো। মন ভরে দেখতাম ওকে।

আসলে ও এসব করতো বাধ্য হয়ে। কারণ আমি চাইতাম প্রতিদিন সকালে ওর মুখ দেখে দিন শুরু করতে।

তাই ওকে এসব করতে বলি।

ও এসব করতো কারণ,,,

আমি খুব ভালো ম্যাথ করতে পারতাম আর ও পারতো না।

তাই ও আমার সব কথা শুনতো।

কারণ আমার কথা না শুনলে ওকে ম্যাথ করে/বুঝিয়ে দিতাম না।

ও প্রথম প্রথম একটু কেমন কেমন করেলেও পরে লক্ষ করতাম ও আমার এই রোমান্টিক অত্যাচার টা উপভোগ করে।

কারণ ও চা নিয়ে এসে আমার সাথে কোন না কোন ছলে ৩০ মিনিট হলেও গল্প করতো।

তারপর লক্ষ করি,,

ও আমার ঘড় গুছিয়ে দেয়,,

কাপড় ধুয়ে দেয়।

আমার পছন্দের খাবার রান্না করে।

আসলে আংকেল(সাহেব) সব সময় বাসায় থাকতো না শুধু আমরা ছাড়া। তাই কলেজ টিওশনি ছাড়া প্রায় সব সময় একসাথেই থাকতাম।

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার টেবিলে চা নেই।

তাই দেখে আমার মেজাজ পুরাই বিগ্রে গেলো।

মনে মনে ঠিক করলাম।

আজ যেহেতু চা দিতে লেট করছে। তাই ওকে ম্যাথ করে দেবো না।

পিটানি খাওয়াবো ক্লাসে।

কিন্তু সকাল ৬ থেকে ৭ বেজে গেলেও যখন চা পাইলাম না।

তখন একটু সন্দেহ হলো

যে ওর কিছু হয়েছে কিনা? এখনো চা দিচ্ছে না কেন?

চলে গেলাম ওর রুমে,৷ গিয়ে দেখি ও ঘুমাচ্চে।

যেহেতু ও শারি পরে ঘুমিয়েছে তাই ওর কাপড় টিক ছিলো না।

মানে বুকের উপর থেকে আচলটা সরে গেছে

আর ওর নাভীটা স্পস্ট দেখা যাচ্ছিলো।

আমি এসব দেখে ফিরে আসতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না।

নিজের মাঝে কেমন একটা অনুভুতি লক্ষ করলাম।

লোকটার গল্প যতই এগুচ্ছে ততই যেন শুনার আগ্রহ বাড়ছে আমার।

কৌতুহল নিয়ে প্রশ্ন করলাম,,,

তারপর???

তারপর আমি ওর রুমে চলে যাই,, গিয়ে ওর গায়ে হাত দিয়ে দেখি ওর গা জ্বরে পুরে যাচ্চে।

কিন্তু আমি ওর কাছে গিয়ে,,, ওর খোলা শরীর কাছ থেকে দেখে নিজেকে কন্টোল করতে পারছিলাম না।

নিজের মধ্যে,, একটা পষুত্ব ভাব চলে আসলো।

তারপর,,,, আপনি মেয়েটার সাথে কি খারাপ কিছু করেছেন???

লোকটাঃ,,,,,,,,,

তারপর,,,,!

গল্পঃ ভবঘুরে

পর্বঃ-১

পরের পর্ব কালকে পাবেন...।

3
$ 0.00
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments

Issijdjdjddj Kskdjdn Kdkdmdmp Mdmdm

$ 0.00
3 years ago