#ভালোবাসার পাগলামি
#
পর্ব ৪
শুভকে অনবরত কল দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু শুভ তো কল রিসিভ করছে না কেনো।
অনেক্ষন পর একটা মেয়ে কল রিসিভ করলো। কল রিসিভ করে যা বললো এতে মাহি আরো রেগে তো গেলো ই সাথে কান্না করতে লাগলো,
আপনার ফোনে কী টাকা বেশি হইছে এতো কল দিচ্ছেন কেনো।সরাদিন কী কোনো কাজ নেই নাকি অযথা কল দিচ্ছেন আমার হাসবেন্ডকে দেখছেন তো কল রিসিভ করছে না (মেয়েটি)।
মেয়েটা তো ঈশা, ওর হাসবেন্ড মানে কী, তাহলে কী শুভ ঈশাকে বিয়ে করেছে।(মাহি)
মাহিকে এভাবে কাঁদতে দেখে সাথী জিজ্ঞেস করলো কিন্তু কিছু ই বললো না।
কী হলো মেয়েটার এমন করছে কেনো কিছু তো বলছে ও না। শুভ তো ভালো ছেলে ওকে অনেক ভালো ও বাসে তাহলে কী হলো। মাহি খুব চাপা সভাবের কাউকে মন খুলে কিছু বলে না এমনকি শুভকে ও না।
আচ্ছা একা থাকতে দেই একটু পর হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। (সাথী)
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। সাথী কাজের জন্য মাহির রুমে যাওয়া হয়নি। কারন সব কাজ সাথী ই করে। মাহির আম্মু কাজের লোক রাখতে নারাজ। কারন কাজের লোক রাখলে ই বাড়িতে চুরি হয়। যা ই হোক মেয়েটাকে দেখে আসি, দুপুরে খেতে ও আসেনি।
মাহির আম্মু কখনো মেয়য়ের খুজ রাখেনা শুধু ভুল হলে শাসন করে। মেয়েটার ভিতরে অনেক কষ্ট আছে বুঝা যায়।
মাহির রুমে গিয়ে দেখলাম ঘুমাচ্ছে। যখন বেশি চিন্তা থাকে তখন মাহি ঘুমায়। ডাকলাম না আর আমি(সাথী)
এদিকে শুভ
সারাদিন অনেক কাজ করলাম, মাহির ফোন টা বার বার বন্ধ পাচ্ছি তাই মেহের মানে আমার বন্ধু ফোন দিয়ে মেসেজ করলাম, আমার ফোনটা ও বাসায় ফেলে আসছি ভুল করে।(শুভ)
শুভ সারাদিন কোথায় ছিলা আমার কতো টেনশন হচ্ছে (ঈশা)
কেনো তুমি কী আমার বিয়ে করা বউ নাকি, তুমি এতো চিন্তা করো কেনো। আমি কী তোমাকে বলছি চিন্তা করার জন্য (শুভ)
এমনি আমার মাহির চিন্তায় ভালো লাগছে না এর ওপর এই মেয়েটা এসে মাথা খাচ্ছে।
মনে মনে কী বলছো শুভ। আর আমাদের বিয়ে তো হবে ই। আজ না হয় কাল তো আমি তোমার বউ ই হবে। একটু ভালো করে কথা বললে কী হয়,শুভ(ঈশা)
ভালো লাগছে না চোখের সামনে থেকে যাও ঈশা।(শুভ)
এই হলো, কিছু বললে ই ন্যাকা কান্না করে চলে যাবে এখন আবার ভাবি কথা শুনাতে আসবে।
সাথী আপুকে কল দিয়ে দেখি তো মাহির কী অবস্থা। কী হলো মাহির আমার তো আর ভালো লাগছে না।
কিছুক্ষণ পর,
ধুর সাথী আপু কোথায় চলে গেলো, উনি কল রিসিভ করছে না কেনো। এতোগুলো কল দিলাম। মাহির কী কিছু হলো নাকি। এতো টেনশনে আর নিতে পারছি না।
কালকে রাতে আসার সময় কিছু বলে আসি নাই তাই হয়তো মাহি রাগ করেছে। সারাদিন অনেক কাজ করলাম নতুন বাসা নিলাম মাহির জন্য। সারাদিন লাগলো বাসা খুজে বের করতে। আমি অনেক ক্লান্ত একটু ঘুমাই, ঘুম থেকে উঠে রাত ১২টার দিকে মাহির বাসার দিকে যাবো। তখন গিয়ে রাগ ভাঙ্গাবো।
পরের দিন সকালে
হায় আল্লাহ, এখন কী হবে মাহি তো রেগে আগুন হয়ে গেছে আমি তো রাতে উঠতে পারি নাই। অনেক ক্লান্ত ছিলাম তাই হয়তো এমন হয়েছে অনেক বেলা ও তো হয়ে গেছে আর কিছু না ভেবে ই গাড়ির চাবি আর ফোনটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
কল দিলাম ফোন অফ। সাথী আপুকে কল দিলাম।
আপু মাহির রুমের বারান্দার দরজা বন্ধ কেনো।(শুভ)
কী বলো দরজা ও তো বন্ধ করে রেখেছে কালকে রাত থেকে। ভিতর থেকে লক করে রেখেছে মনে হয়(সাথী)
কী বলেন আপু কালকে রাত থেকে মানে। কী হইছে মাহির আমার সাথে ও তো কথা বলেনি।(শুভ)
একটা কাজ করো মাহির বাবা মা বাসায় নাই তুমি আসো বাসার ভিতরে। আমার অনেক ভয় হচ্ছে, মেয়েটার বয়স কম যদি কিছু করে ফেলে। অল্পতে ই ভেঙ্গে পরে মেয়েটা(সাথী)
চলবে
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]
0
4