#তোমায়_নিয়ে
#পর্ব৫
.
.
.
কিছু দিন পর....
.
লিহা: আবির ভাইয়া! আবির ভাইয়া! উঠো!
.
আবির: কি হয়েছে । ডাকছিস কেন এতো রাতে?
.
লিহা: আমার ক্ষুধা পেয়েছে।
.
আবির: রাতে না খেলি আর একটু আগেই ঘুমালি এতো তাড়াতাড়ি কেমনে ক্ষুধা লাগে।
.
লিহা: না আমার ক্ষুধা পায়ছে।
.
আবির: এখন কি খাবি? সব তো শেষ।
.
লিহা: চলো আইসক্রিম খাই। চলো না।
.
আবির: না তোর খেতে হবে না জর আসতে পারে।
.
লিহা: না আসবে না। তুমি চলো। না হলে কিন্তু আমি কান্না করবো।
.
আবির: না না কান্না করিস না। চল।
.
( তারপর দুই জনেই আইসক্রিম খেল।পুরো এক বক্স খেয়ে শেষ করে ফলছে। ছুছার দল আমার লিগা একটুও রাখলো না)
.
সকালে....
.
দুই জন ই অসুস্থ। আইসক্রিম খেয়ে খুব জর... আর যেহুত ওরা ছোট তাই এমন হয়েছে।
.
মা: ওদের এমন হঠাৎ জর আসলো কিভাবে? তাও দুই জনের এক সাথে?
.
বাবা: হয়তো ভাইরাস জনিত জর।
.
মা: কিন্তু হঠাৎ করে?
.
বাবা: আরে এতো ইনকুয়েরি না করে ওদের জরটা মাপো।
.
.
আর এই দিকে ওরা দুজন কাঁথার নিচে ঢুকে ফিসফিস করে কথা বলতেসে....
.
.
আবির: আমি না করেছিলাম খেতে না কিন্তু তুই শুনলি না।এখন দেখ কতো জর আসছে?
.
লিহা: তুমি চুপ কর তো। আজ যেন স্কুলে যেতে না হয় তাই এমন করছি।
.
আবির: কি তুই এতো পাজি হয়ে গেছিস?
.
লিহা: আজ পড়া না পারলে মারতো তাই।
.
আবির: তো পড়া পড়বি না তো পারবি কি করে।
.
লিহা: তুমি ঐটা পড়াও নি তাই পাড়ি না।
.
আবির: তো আমাকে বললেই হতো।
.
লিহা: বলেছিলাম তুমি পরছিলে।
.
আবির: পরে বলতে পারতি।
.
লিহা: মনে ছিলনা পরে।
.
আবির: তুই না।
.
.
.
কিছু ক্ষন পর...
.
মা: দেখে যাও... ওরা কি করেছে।
.
বাবা: কি হয়েছে?
.
মা: দেখ পুরো এক বক্স আইসক্রিম খেয়েছে দুইটাই।
.
বাবা: খুব বাজে একটা কাজ করেছে।
.
মা: কে আইসক্রিম খেয়েছে?আর এই বুদ্ধি কার মাথায় আসে!
.
আবির: আমি বলেছিলাম।
.
মা: তুই তো বড় তুই তো বুঝতি যে এর ফলে কি হতে পারে? তাহলে এমন কেন করলি?
.
লিহা: তুমি ভাইয়া কে কেন বকছো? আমি বলেছিলাম এটা আর ভাইয়া তো নাই করছিলো আমিই তো বলেছিলাম আমি কান্না করবো তাইতো গিয়ে ছিলো।
.
মা: দেখছো সত্যি কথা কি করে বের করতে হয়।
.
বাবা: মামুনি তুমি কেন করেছ এমন দেখ তোমার জন্যে এখন ভাইয়াও আসুস্থ।
.
লিহা: স্যরি।
.
আবির: আরে কিছু হবে না।
.
.
জন্মদিনের দিন....
.
.
আবির: হেপ্পি বার্থডে টু ইউ।( সকালে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে)
.
লিহা: থেংক ইউ!
.
আবির: এই নে তোর গিফ্ট।
.
লিহা: ওয়াও চকলেট বক্স!( ও তো চকলেট বক্স পেয়ে সে কি লাফ)
.
আবির: হ্যাঁ!
.
লিহা: আমি এখনি মা বাবা কে দেখিয়ে আসি।
.
আবির: আস্তে যা।
.
লিহা: মা দেখ ভাইয়া আমাকে চকলেট বক্স দিয়েছে।দেখ কত বড় চকলেট বক্স।
.
মা: হ্যাঁ তাই তো। কিন্তু ওর কাছে এতো টাকা কি থেকে এলো।
.
লিহা: পাপা কই?
.
মা: একটু বাইরে গিয়েছে।বড় মা বড় বাবা কে দেখাও।
.
লিহা:( বড় মা কে দেখাতে চলে গেল।)
.
মা: আবির বাবা তুমি টাকা কি পেলে।
.
আবির: আন্টি জমিয়ে ছিলাম।
.
মা: ওহ। সত্যি তোমার জন্য আমার মেয়েটা সবসময় খুশি থাকে।
.
আবির: আমিও তো তোমার ছেলেই।
.
মা: দোয়া করি এই ভাবে ই খুশি রাখো ওকে।
.
আবির: জ্বি!
.
.
সন্ধায়....
.
.
লিহা: ভাইয়া আমি ড্রেসটার চেইন লাগাতে পারছি না। একটু লাগিয়ে দাও।
.
আবির: দাড়া আসতেছি।
.
লিহা: ভাইয়া সুরসুরি লাগছে।
.
আবির: ধুর পঁচা শরীর তোর শুধু শুরশুরি লাগে।
.
লিহা: তোমার শরীর পঁচা।( আবিরের দিকে ঘুরে)
.
আবির: 😍😍😍😍😍 তোকে তো অনেক সুন্দর লাগছে।
.
লিহা: ভাইয়া তোমাকেও। দেখ আমাদের সেম কালারের কাপড়।
.
আবির: চল বিয়ে করে নেই।
.
লিহা: কিন্তু এখন তো ছোট বিয়ে তো দিবে না।
.
আবির: হুম..😓😓
.
লিহা: কিন্তু বড় হলেই আমরা বিয়ে করে নিবো। তারপর আমাদেরও বাচ্ছা হবে ছোট ছোট।
.
আবির: হ্যাঁ😍
.
লিহা: এখন চলো নিচে যাই।
.
.
.
নিচে গিয়ে...
.
.
.
লিহা: কতো বড় কেক।মা এটা কি আমি আর আবির ভাই খাবো শুধু?
.
মা: না সবাই মিলে খাবো। এখানে তারা যারা আছে সবাই।
.
লিহা: তাই এতো বড় কেক?
.
মা: হ্যাঁ।এখন কাটো কেক।
.
লিহা: ভাইয়া কি?
.
আবির: এইতো।
.
লিহা: এখানে এসো আমি আর তুমি কেক কাটবো।আসো।( কেক কেটে প্রথমে আবির কে খাওয়ায় তার পর মা-বাবা, তার পর বাকি সবাই কে)
.
.
কেক কাটা শেষে....
.
লিহা: দাঁড়াও আমি আসছি।
.
আবির: কোথায় যাচ্ছিস।
.
লিহা: এখনি আসছি।
.
আবির: তারাতাড়ি আয়।
.
লিহা: ভাইয়া এটা তোমার গিফ্ট। এটা আমি আর এটা তুমি।
.
( আর যারা বলেন আগের পার্ট কই। আপনারা যদি নিয়মিত গল্প পরতে চান তাহলে আমাকে ফলো করতে পারেন। বা রিকুয়েস্ট পাঠাতে পারেন)
.
আবির: কিন্তু আজ তো আমার জন্মদিন না।
.
লিহা: তো কি তুমি না বল। তোর মানে আমার, আমার মানে তোর।
.
সবাই ওদের কাহিনী দেখে টাশকি খায়ছে। হা হয়ে আছে।
.
.
.
চলবে....✌️
.
বি:দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
ধন্যবাদ🌺
0
8