#তোমাকে_ভালোবেসে❣️❣️
#পর্ব_১ #সূচনা_পর্ব
একটা উঁচু করে চুল বাঁধা। শার্ট আর জিন্স পড়ে দাঁড়িয়ে আছে রূহি। এক হাতে লেডিস ওয়াচ পড়া যার দিকে তাকাচ্ছে একবার আর একবার গেটের সামনে তাকাচ্ছে হয়তো কারোর অপেক্ষা করছে।
একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে রনি আর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রূহির দিকে তখনই কেউ ধাক্কা মেরে বলল বেশি তাকিও না মামু ওই মেয়ের ওপর অনেকের নজর। কাউকে পাত্তা দেয় না।
হঠাৎ রূহি রনিকে ডাকে তখন রনি বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে রুহির কাছে আসতেই রুহি কাঁধে ব্যাগটা রনির হাতে দিয়ে বলল: ক্লাসে সেকেন্ড বেঞ্চে রেখে আসবি যদি এদিক-ওদিক হয় তো তোর হাড় আস্ত থাকবে না।
রনি চুপচাপ বেরিয়ে যায় ব্যাগ নিয়ে। তখনই রূহি দেখে গেট দিয়ে ঢুকছে রাত।
(রাত হল ভার্সিটির সিনিয়ার গ্রুপের হেড। ৫'১১ হাইট, গায়ের রং হালকা চাপা অনেকটা সোনালী রংয়ের লাগে দেখলে। চোখগুলো খুব মায়াবী আর ওষ্ঠদ্বয় হালকা মোটা এবং গোলাপি রঙের যা দেখে অনেক মেয়ে রাতের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং বিশেষ করে রুহি।)
রাত কারোর সাথে কথা বলতে বলতে ঢুকছে হঠাৎ করে রুহির দিকে চোখ গেল। রুহি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাতের দিকে যেন খেয়ে ফেলবে তাকে।
রাত রুহির কাছে গিয়ে সামনে তুরি মেরে বলল: কী রে খেয়ে ফেলবি নাকি??
রুহি: সেটাই ইচ্ছে আছে। (বিড়বিড় করে)
রাত: কী বললি??
রুহি: কই কিছু না তো।
রাত: হুম ঠিক আছে। জলদি ক্লাসে যা, রোদে দাঁড়িয়ে থাকবি না শরীর খারাপ করবে।
রুহি: তাতে আপনার কী?
রাত: আমার আবার কী? ভার্সিটিতে কারোর কিছু হলে আমাদের সিনিয়রদের ভোগ তাই বললাম।
রুহির মুখটা মলিন হয়ে গেল তারপর বললো: আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর সোজা ক্লাসে চলে গেল।
ক্লাসে,
মীরা: এই কিছু বলল রাত ভাইয়া।
রুহি: ধুর!! মরন। পাত্তাই দেয় না। তোর বৌদি হওয়া আর হল না আমার।
মীরা: এই বাজে বকবি না। আমার ভাইয়ার বউ তুই হবি।হুহ।
রুহি: আচ্ছা আমার ননদ গো।
দুজন হেসে দিলো,
(মীরা হল রাতের মাসতুতো বোন আর রুহির প্রিয় বন্ধু। উজ্জ্বল শ্যামলবর্ণ, খুব মিষ্টি দেখতে)
কিছুক্ষণ পর,
অন্যদিকে,
রাত ওর বন্ধুদের সঙ্গে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল হঠাৎ একটা মেয়ে রাতকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল।
মেয়েটা হল রিয়া, রাতের ক্লাসমেট। একটা সর্ট মিডি আর একটা ছোট টপ পরা।
রাত এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ালো।
রাত: হাউ ডেয়ার ইউ। ভদ্রতা জানো না? একটা মেয়ে হয়ে এত গায়ে পড়া স্বভাব কেন?
রিয়া: আমি তো...
তখনই কেউ রিয়ার হাত এমনভাবে ধরল যার ফলে রিয়া কুঁকিয়ে উঠল। তারপর রুহি পেছন থেকে বেরিয়ে এল আর রিয়ার দিকে একটা রাগি লুক দিল তার ফলে রিয়া ভয়ে ওখান থেকে সরে যায় কারণ সে ভালোভাবেই জানে রুহি কী জিনিস আর সে বড়ো ছোটোর তোয়াক্কা কোনোকালেই করে না।
রিয়া চলে যেতেই রুহি চলে যেতে নেয় তখনই পিছন থেকে হাতে টান পড়ল..
রুহি তাকিয়ে দেখে রাত ওর হাতটা ধরে আছে। রুহি রাতের দিকে তাকাতেই রাত হাতটা সরিয়ে মাথা নিচু করে নেয় আর বলে: কিছু বলতে এসেছিলি কী??
রুহি: ওই মানে না মানে ওই মীরা কোথায় জানতে।(হালকা লজ্জা পেয়ে আমতা আমতা করে)
মীরা: আমাকে খোঁজা হচ্ছে কী??( পেছন থেকে রুহিকে জড়িয়ে ধরে)
রুহি: হুম। কোথায় ছিলি?
মীরা: পরে বলব আগে একটা কথা বলে নিই। ভাইয়া আর তুই কাল কিন্তু অবশ্যই ভার্সিটিতে আসবি, কাল আমার জন্মদিনের পার্টি দেব।
রুহি আর রাত: আচ্ছা।
রাত: এবার তুই বাড়ি চল মীরা। মাসিমণি ওয়েট করবে। আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি। আর রুহিও বাড়ি যা ভার্সিটি ফাঁকা হয়ে এসেছে।(বাইরের দিকে যেতে যেতে)
মীরা: আচ্ছা। বাই রুহি আর কাল শাড়ি পরিস, তোকে অনেক সুন্দর লাগে।
রুহি: আচ্ছা।
রুহিও বেরিয়ে যায়.....
#
0
3