(গল্প টা পড়ুন)
দুটি নগ্ন দেহ পড়ে আছে...বিছানায়..
..
দরজা খোলা মাত্রই এই দৃশ্য চোখে পরলো..আমি দরজা বন্ধ করে চলে এলাম..
.
এই বাড়িতে এমন ই চলে...আমার স্বামী রোজ নতুন নতুন মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে..
.
আমি কিছু করতে পারি নাহ..কি আর করবো...স্বামী আমার..
দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো আমাদের..
আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান..মা বাবা তেমন ধনী নাহ..
সেদিনের কথা এখন ও মনে আছে..
আমাকে দেখতে এসেছিলো ফারহান..
.
আমার কেনো যেনো তাকে দেখে খুব পছন্দ হয়েছিলো...
.
মনে মনে ভাবতেছিলাম..যদি ও আমার স্বামী হতো..
আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেন..এবং উনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান..
.
আমি যে কতোটা খুশি হয়েছিলাম বলার বাহিরে.
.
আমাদের বিয়েও হয়ে যায় কিছু দিনের মাথায়..
.
আমি বাসর ঘরে বসে আছি..
সে অনেক্ষন পরে আসলো ঘরে...এসেই বলতে শুরু করলো..
.
তোরে বিয়ে করার আমার কোন শখ ই ছিলো নাহ..মা বাবা জোর করে বিয়ে দিছে..তাই আমার থেকে বউ এর অধিকার চাইবি নাহ কখনও.
.
আমি আনিয়া...নাম টা বলে রাখলাম..
.
আনিয়ার জীবন শুরু হয় সেদিন থেকে..
পরের দিন সকালে উঠে সে রান্না ঘরে যায়.
রান্না করে এসে যখন খেতে বসবে তখন তাকে সোজা উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়..
.
এই বাসায় বউরা সবার পরে খায়... আমাদের খাওয়া শেষ হলে তুমি খেতে বসবে..
.
আনিয়া অপেক্ষা করে..যখন সবার খাওয়া শেষে আনিয়া খাবারের দিকে তাকায় তখন দেখে সব কিছু প্রায় শেষ..
.
তাও কোন রকম খেয়ে মনে মনে শান্তি পায় সে..রাতে তার জায়গা হয় ফ্লোরে..
.
কিছু দিন পরে আনিয়া আর ফারহান শহরে চলে আসে..
.
আনিয়া ভাবে হয়তো ফারহানকে ভালোবাসা দিয়ে সে ঠিক পথে নিয়ে চলে আসবে৷
।
কিন্তু আনিয়া ভুল ছিলো..ফারহান বাসায় মেয়ে নিয়ে আসা শুরু করে..
.
আর সেই দিন থেকেই আজ পর্যন্ত আনিয়া এভাবেই আছে..
.
আনিয়া রান্না করতে গেলো..রান্না শেষ হওয়ার আগেই ফারহানের ঘুম ভাংগে..
.
সে ঘুম থেকে উঠে মেয়েটিকে নিয়ে খেতে বসে..
.
খাবার খেয়ে তারা বেরিয়ে পরে..আনিয়া কিছু বলতে পারবে নাহ. কারণ তার সেই অধিকার নাই.
.
ফারহান আর মেয়েটি চলে যায়।
.
আনিয়া বাসার কাজ করে শুয়ে আছে..আর ভাবছে..
( গল্প ভালো লাগলে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে সঙ্গে থাকুন । গল্প পরার জন্য ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে সাথে ছোট একটা মেসেজ দিবেন । এতে বুঝতে সুবিধা হয় ।সব পর্ব আমার টাইমলাইনে দেওয়া হবে ।)
.
সে তো এমন ছেলে আশা করে নি..সে আশা করেছিলো এমন ছেলে..
.
যার টাকা কম থাকলেও অনেক ভালোবাসা থাকবে তার মনে..
>তিন বেলা খেতে না পারলেও যা খাবে দুজনে মিলে ভাগ করে খাবে..
.
আনিয়ার এসব কথা মনে পড়তেই যেনো চোখ দিয়ে পানি চলে আসে..কিছুই করার এই তার..
.
আজ অনেক দিন হলো নিজের মা বাবার সাথে কথাটাও বলে নি আনিয়া৷
.
তার হাতে একটা মোবাইল তো আছে কিন্তু টাকা থাকে নাহ..ফারহান কেও যে বলবে তা বলার সাহস ও নেই..
.
আনিয়া গোসল সেরে নামাজ পড়তে বসে..
.
প্রতিদিনের মতো আজও সে কাদছে..
.
যাতে তার ভাগ্য খুলে যায়..ফারহান সব পরক্রিয়া ছেড়ে তাকে ভালোবাসে..
.
কিন্তু আনিয়া জানে তার ভাগ্যে এমটা হয়তো লিখা নাই..
.
আনিয়া রান্না ঘরে গিয়ে এখন রান্না করতেছে..রাতের খাবার প্রায় তৈরি.. এমন সময় কলিং বেল বাজে.ফারহান এসেছে..
.
এবং তার সাথে একটি মেয়েও..
.
কিন্তু আনিয়া সবচেয়ে বড় শক তখন হয় যখন আনিয়া লক্ষ্য করে মেয়েটির চেহারা.
.
আনিয়া যেনো নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে নাহ..
.
মেয়েটি আর কেউ নয় তার ই বোন... আনহা...
.
#চলবে..
গল্পের নাম:শুধু তোমারি জন্য
পার্ট০১
লেখা:Ayat Mushtarih Ayan
(গল্প টা পড়ুন)
দুটি নগ্ন দেহ পড়ে আছে...বিছানায়..
..
দরজা খোলা মাত্রই এই দৃশ্য চোখে পরলো..আমি দরজা বন্ধ করে চলে এলাম..
.
এই বাড়িতে এমন ই চলে...আমার স্বামী রোজ নতুন নতুন মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে..
.
আমি কিছু করতে পারি নাহ..কি আর করবো...স্বামী আমার..
দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো আমাদের..
আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান..মা বাবা তেমন ধনী নাহ..
সেদিনের কথা এখন ও মনে আছে..
আমাকে দেখতে এসেছিলো ফারহান..
.
আমার কেনো যেনো তাকে দেখে খুব পছন্দ হয়েছিলো...
.
মনে মনে ভাবতেছিলাম..যদি ও আমার স্বামী হতো..
আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেন..এবং উনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান..
.
আমি যে কতোটা খুশি হয়েছিলাম বলার বাহিরে.
.
আমাদের বিয়েও হয়ে যায় কিছু দিনের মাথায়..
.
আমি বাসর ঘরে বসে আছি..
সে অনেক্ষন পরে আসলো ঘরে...এসেই বলতে শুরু করলো..
.
তোরে বিয়ে করার আমার কোন শখ ই ছিলো নাহ..মা বাবা জোর করে বিয়ে দিছে..তাই আমার থেকে বউ এর অধিকার চাইবি নাহ কখনও.
.
আমি আনিয়া...নাম টা বলে রাখলাম..
.
আনিয়ার জীবন শুরু হয় সেদিন থেকে..
পরের দিন সকালে উঠে সে রান্না ঘরে যায়.
রান্না করে এসে যখন খেতে বসবে তখন তাকে সোজা উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়..
.
এই বাসায় বউরা সবার পরে খায়... আমাদের খাওয়া শেষ হলে তুমি খেতে বসবে..
.
আনিয়া অপেক্ষা করে..যখন সবার খাওয়া শেষে আনিয়া খাবারের দিকে তাকায় তখন দেখে সব কিছু প্রায় শেষ..
.
তাও কোন রকম খেয়ে মনে মনে শান্তি পায় সে..রাতে তার জায়গা হয় ফ্লোরে..
.
কিছু দিন পরে আনিয়া আর ফারহান শহরে চলে আসে..
.
আনিয়া ভাবে হয়তো ফারহানকে ভালোবাসা দিয়ে সে ঠিক পথে নিয়ে চলে আসবে৷
।
কিন্তু আনিয়া ভুল ছিলো..ফারহান বাসায় মেয়ে নিয়ে আসা শুরু করে..
.
আর সেই দিন থেকেই আজ পর্যন্ত আনিয়া এভাবেই আছে..
.
আনিয়া রান্না করতে গেলো..রান্না শেষ হওয়ার আগেই ফারহানের ঘুম ভাংগে..
.
সে ঘুম থেকে উঠে মেয়েটিকে নিয়ে খেতে বসে..
.
খাবার খেয়ে তারা বেরিয়ে পরে..আনিয়া কিছু বলতে পারবে নাহ. কারণ তার সেই অধিকার নাই.
.
ফারহান আর মেয়েটি চলে যায়।
.
আনিয়া বাসার কাজ করে শুয়ে আছে..আর ভাবছে..
( গল্প ভালো লাগলে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে সঙ্গে থাকুন । গল্প পরার জন্য ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে সাথে ছোট একটা মেসেজ দিবেন । এতে বুঝতে সুবিধা হয় ।সব পর্ব আমার টাইমলাইনে দেওয়া হবে ।)
.
সে তো এমন ছেলে আশা করে নি..সে আশা করেছিলো এমন ছেলে..
.
যার টাকা কম থাকলেও অনেক ভালোবাসা থাকবে তার মনে..
>তিন বেলা খেতে না পারলেও যা খাবে দুজনে মিলে ভাগ করে খাবে..
.
আনিয়ার এসব কথা মনে পড়তেই যেনো চোখ দিয়ে পানি চলে আসে..কিছুই করার এই তার..
.
আজ অনেক দিন হলো নিজের মা বাবার সাথে কথাটাও বলে নি আনিয়া৷
.
তার হাতে একটা মোবাইল তো আছে কিন্তু টাকা থাকে নাহ..ফারহান কেও যে বলবে তা বলার সাহস ও নেই..
.
আনিয়া গোসল সেরে নামাজ পড়তে বসে..
.
প্রতিদিনের মতো আজও সে কাদছে..
.
যাতে তার ভাগ্য খুলে যায়..ফারহান সব পরক্রিয়া ছেড়ে তাকে ভালোবাসে..
.
কিন্তু আনিয়া জানে তার ভাগ্যে এমটা হয়তো লিখা নাই..
.
আনিয়া রান্না ঘরে গিয়ে এখন রান্না করতেছে..রাতের খাবার প্রায় তৈরি.. এমন সময় কলিং বেল বাজে.ফারহান এসেছে..
.
এবং তার সাথে একটি মেয়েও..
.
কিন্তু আনিয়া সবচেয়ে বড় শক তখন হয় যখন আনিয়া লক্ষ্য করে মেয়েটির চেহারা.
.
আনিয়া যেনো নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে নাহ..
.
মেয়েটি আর কেউ নয় তার ই বোন... আনহা...
.
#চলবে..
গল্পের নাম:শুধু তোমারি জন্য
পার্ট০১
লেখা:Ayat Mushtarih Ayan
(বিদ্র: ভালো সাড়া পেলে ৫ম পর্বে সমাপ্তি হবে এবং খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন..ধন্যবাদ)