গল্প ------- সিনিয়র মামাতো বোন
পর্ব -------- ০১
--- এই রিয়াদ,,,, রিয়াদ উঠ
--- (কোনো কথা না বলে ঘুম।)
--- এই তুই কি উঠবি নাকি পানি মারবো।
--- (তাও উঠার কোনো নাম নেই।)
এক বালতি পানি এনে আমার উপর ঢেলে দিল।আমি জলদি করে লাফ দিয়ে উঠে,,
--- বন্যা বন্যা,,,,, আমি বন্নাতে ভেসে গেলাম।(চোখ বন্ধ করে।)
--- ওই কুত্তা তুই বন্যায় ভেসে যাস নি।চোখ খুল।
--- (চোখ খুলে দেখি হে আমিতো বন্যায় ভেসে যাই নি। কিন্তু সামনে তাকিয়ে দেখি অনিত্রা আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে।)
--- (আমার কাছে এসে আমার কলার ধরে বললো।)এই তোকে কখন থেকে ডাক দিচ্ছি। উটছিশ না কেনো।
--- আমার ঘুম আসছিলো তাই উঠতে পারি নি।এখন। যা আমাকে ঘুমাতে দে।
--- তোকে আমি আর ঘুমাতে দিচ্ছি না।এখন আমাকে কলেজে দিয়ে আয়।
--- আমি তোকে কলেজে দিয়ে আসতে যাবো কেন।তোর পা আছে না।আর তুই তো আর ছোট বাচ্চা না যে তোকে আমার দিয়ে আসতে হবে।
--- আমি এত কিছু জানতে চাই নি।আমাকে নিয়ে যাবি কিনা বল।
--- একবার বললাম না।নিয়ে যেতে পারবো না।তাহলে বার বার চিল্লাচ্ছিশ কেন।
--- আচ্ছা দারা তোকে দিয়ে কি ভাবে কাজ করাতে হবে আমি জানি।
এইটা বলে অনিত্রা চলে গেলো আমার রুম থেকে।আমি জানি সে এত সহজে আমার রুম থেকে যাওয়ার মেয়ে না। কিন্তুু আজকে এত জলদি চলে গেলো কেন।আমি কিছু না বলে আবার শুয়ে পরলাম।হটাৎ করে অনুভব করলাম আমাকে কে যেনো মারছে।আমি চোখ খুলে দেখি আম্মু আমাকে একটা লাঠি দিয়ে মারছে।
(...যারা আমার গল্প পড়তে চান তারা আমার আইডিতে ফলোইং দিয়ে রাখুন অথবা ফ্রেন্ড হতে চাইলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে একসেপ্ট করেন বলে একটা এসএমএস করবেন তাহলে আমি এক্সেপ্ট করে নিব......)
আমি : আরে আরে আম্মু কি করছো।আমার লাগছে তো।
আম্মু : তুই অনিত্রাকে কি বলেছিস।(রেগে বললো।)
আমি : আমি আবার ওই পেত্নীটাকে কি বলতে যাবো।
অনিত্রা : দেখছো ফুপুআম্মু আমাকে আবার তোমার সামনে পেত্নী বলছে।(আম্মুর পিছনে দাড়িয়ে বললো।)
আম্মু : তুই কাদিস না মা।আমি ওকে ভালো করে শিক্ষা দিচ্ছি।(এই বলে আম্মু আমাকে আবার মারতে শুরু করলো।)
আমি : আরে থামো থামো।আগে বলো আমি কি করেছি।
আম্মু : তুই অনিত্রাকে বকা দিয়েছিস কেন।আর ওকে থাপ্পর ও নাকি মেরেছিস।
আমি : (আমি অবাক হয়ে আম্মুর দিকে তাকিয়ে আছি।)আম্মু আমি আবার কখন ওকে মারলাম।
আম্মু : এই একদম মিথ্যে কথা বলবি না।আর জলদি করে উঠে অনিত্রাকে তার কলেজে দিয়ে আয়।
আমি : আমি যেতে পারব না।
আম্মু : কি বললি।আরেক বার বল।
আমি : আরে আমি তো কিছুই বলি নি।
আম্মু : জলদি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে অনিত্রাকে নিয়ে যা।
আমি : আচ্ছা যাচ্ছি।
এই বলে আম্মু চলে গেলো।আর অনিত্রাও আমাকে ভেংচি কেটে চলে গেলো।কি আর করার এত ভালো একটা ঘুমকে বলি দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের পরিচয়টা দিয়ে দেই।
আমি রিয়াদ চৌধুরী।বাবা মার একমাত্র সন্তান।এইবার ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ি ।আর যার সাথে এতক্ষন কথা হলো সে হলো আমার মামাতো বোন অনিত্রা। আমার থেকে ১ বছরের বড়।কিন্তুু আমরা ২ জন ছোট থেকে এক সাথেই পড়ি।
ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখি অনিত্রা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।আমি কিছু না বলে গাড়ির চাবিটা নিয়ে বাইরে চলে গেলাম।আমার পিছে পিছে অনিত্রাও আসলো।আমি কোনো কথা না বলে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।অনিত্রা একটু পর এসে আমার পাশের সিটে বসলো।
গাড়ি চালাচ্ছি কিন্তুু কেউ কোনো কথা বলছি না।অন্যদিন হলে অনিত্রা কথা বলতে বলতে আমার কান ব্যাথা করে ফেলত। কিন্তুু আজকে কোনো কথা বলছে না।তাই আমি অনেক অবাক হলাম।কিছুক্ষন পর তানিয়া নিরবতা ভেঙে বললো।
অনিত্রা : কিরে কথা বলছিস না কেন।
আমি : আমার ভালো লাগছে না তাই।(একটু ভাব নিয়ে।)
অনিত্রা : আমার সাথে কি রাগ করেছিস।
আমি : আমি তোর সাথে রাগ করতে যাবো কেন।
অনিত্রা : আসলে একটু আগের জন্য সরি।
আমি : সরি বলছিস কেন।আমি কিছু মনে করি নি।
অনিত্রা : তাহলে আমার সাথে আজকে কথা বলছিস না কেন।প্রতিদিন তো আমার সাথে কথা বলতে থাকিস।
আমি : আজকে আমার শরীর ভালো না তাই।
অনিত্রা : কেন কি হয়েছে।তোর শরীর ঠিক আছে তো। জ্বর তো আসে নি।(আমার কপালে হাত দিয়ে।)
আমি : আরে কি করছিস।দেখছিস না আমি ড্রাইভ করছি।কিছু হয়ে গেলেতো দুজনেই শেষ হয়ে যাবো।
অনিত্রা : তুই না বললি তোর ভালো লাগছে না।তাই দেখলাম আবার জ্বর আসলো নাকি।
আমি : না আমি ঠিক আছি।এখন চুপ চাপ বসে থাক।
একটু পর কলেজের সামনে এসে পরলাম।অনিত্রাকে নামিয়ে দিয়ে আমি আমার বন্ধুদের খুঁজতে গেলাম।আজকে কলেজে আসতে চাই নি।কিন্তুু অনিত্রার কারণে আসতে হলো।কিছুক্ষন খোজার পর দেখি সবগুলো গাছের নিচে বসে আছে।আমি তাদের কাছে গেলাম।
রাজু : কিরে তুই না বলে আজকে আসবি না।তাইলে এইখানে কি করছিস।
আমি : কি আর বলবো দুঃখের কথা।
তানিয়া : কেনো কি হয়েছে।
আমি : আর বলিস না......(তারপর তাদের সকালের ঘটনা বললাম।)
জয়িতা : ভালোই কেউ ত তোকে অন্তত হ্যান্ডেল করতে পারে।নাইলে তুই যে জেদি।
আমি : ওই জয়িতা মুখ সামলে কথা বল।নাইলে তোর বয়ফ্রেন্ডকে কিন্তুু বলে দিবো।
জয়িতা : না না দোস্ত এমন করিস না।মাত্র তো রিলেশন টা শুরু হলো।আমি তোর পায়ে ধরি কিছু বলিস না।
আমি : পা ধরতে হবে না।আপাদত আমাকে নাস্তা করা।কিছু খেয়ে আসি নি তাই খিদে লেগেছে।
সাব্বির : কিন্তুু ক্লাস করবি না।
আমি : আজকে ভালো লাগছে না।চল ক্যান্টিনে যাই।
সবাই মিলে ক্যান্টিনে গেলাম।গিয়ে অর্ডার দিলাম।কিছুক্ষন পর খাবার আসলো।আমিতো খুদায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম।খাবার আসার সাথে সাথে খাবার এর উপর হামলা করে দিলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে আড্ডা দিতে লাগলাম।কিছুক্ষন পর কলেজ ছুটি হলো।
আমি : দোস্ত তোর তো সবাই প্রেম শুরু করে দিলি।আর আমিতো একটা মেয়ে ও পাই না।
রাজু : তোর দ্বারা এইসব সম্ভব না।(এইটা বলে সবাই হাসতে শুরু করলো।)
এখন আমি কি করবো বলেন। মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলে আমার ভয় করে।তাই আজ পর্যন্ত একটা প্রেমও করতে পারি নি।তাই বলে সবাই আমাকে খোটা দেয়।
আমি : হেসে নে।আমারও দিন আসবে।ওইদিন আমি হাসবো আর তোরা দেখবি।তোদের আমি প্রেম করে দেখিয়ে দিব।(একবারে বলে ফেললাম।।)
হটাৎ পিছনে করো উপস্থিতি অনুভব করলাম।পিছনে অনিত্রা তো আমি ভয়ে শেষ।
..............চলবে.............
0
8