꧁☾︎★✰পুলিশ Girlfriend✰★☽︎꧂
প্রথম পর্ব.....
ইয়ে মানে আপু বিয়েটা না করলে হয়না?(নীল)
- বিয়ে করবিনা মানে।বিয়ে না করলে তোরে ডিরেক্ট জেলে ঢুকাইয়া দিমু।(নিলা)
- আপু দেখেন না আমি বাচ্চা ছেলে আমার কি বিয়ের বয়স হইছে আমি আপনাকে কি খাওয়াবো বিয়ে করে?
আর আমিতো আপনার ছোট বোনকে.... (নীল)
- তোর খাওয়ানো লাগবো না আমিই তোকে খাওয়াবো। মাথা কিন্তু এমনিতেই গরম হয়ে আছে বেশি কথা বলবিনা।(নিলা)
- আচ্ছা।(নীল)
নীল চুপচাপ মেয়েটার দিকে তাকালো।
.
কি কাহিনি বুঝেন নাই দাড়ান বুঝাইতাছি তবে এরজন্য একটু ফ্লাশব্যাকে যাওয়া লাগবো চলুন দেখে আসি কাহিনি কি।
,
নীল কেবল ভার্সিটিতে পা রাখলো।
প্রথম দিন ভার্সিটিতে ঢুকেই একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খায় সে।ধাক্বা খেয়ে পড়ে যায় মাটিতে সেই সাথে মেয়েটার প্রেমে।
মেয়েটা চশমাটা ঠিক করে খুব ঠান্ডা ভাবেই বলে,
~ চোখে দেখেন না?
নীল ভাবলো মেয়েটা ভালো আছে কিছু বললো না।
কিন্তু ঠিক সেই সময় মেয়েটা চিৎকার করে বলে উঠে,
~ ওই ছেলে ওই কালকে থেকে চশমা পড়ে আসবা চোখে দেখে না আসছে ভার্সিটিতে।যত্তসব।(মেয়ে)
- আপু আপনারটা ধার দেন দেখি কেমন লাগে চশমা পড়লে ভালো লাগলে কিনবো।(নীল)
.
মেয়েটা রাগি লুক নিয়ে তাকালো তারপর বললো,
- দুর হন তো আমার চোখের সামনে থেকে।(মেয়ে)
-নীল ই বা কম কিসে। মেয়েটার পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে বললো.
- এবার দেন আমি আপনার চোখের সামনে থেকে দুরে চলে গেছি।(নীল)
- মানে কি পাগল নাকি আপনি?(মেয়ে)
- না আমি নীল।(নীল)
- ওহ আমি নিলিমা।(মেয়ে)
- আমি আপনারর নাম জানতে চাইছি নাকি আজিব তো আপনি চশমা দেন আমি ট্রাই করবো।(নীল)
- আমার চশমা আমি দিতে পারবো না ভালো একটা উপদেশ দেই ওই সামনের দোকানটা থেকে একটা কিনে আনেন।(নিলিমা)
- আপু উপদেশ যখন দিলেন তাহলে আরেকটু হেল্প করেন।(নীল)
- কি হেল্প?(নিলিমা)
,
- টাকা দেন ৫০০ উপদেশটা ভালো দিছেন কিন্তু আমারর কাছে টাকা নাই। আম্মু বলেছে কেউ উপদেশ দিয়ে কিছু করতে বললে সাথে সাথে করবি এইটা আমার অর্ডার।
আপু আপনি যদি এখন টাকা না দেন মায়ের আদেশ অমান্য করা হবে।ওপরওয়ালা মানবে না আপু প্লিজ হেল্প মি।(নীল)
,
নীল মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটার করুন অবস্থা। জানেনই তো মেয়েরা টাকা খরচ করতে চায়না তবে মেয়ের বয়ফ্রেন্ড আছে মনে হয় এতো সুন্দরি একটা মেয়ের বয়ফ্রেন্ড থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
.
মেয়েটা ব্যাগে হাত ঢুকালো তারপর ৫০০ টাকার একটা নোট আমার হাতে দিয়ে বললো,
- পরে ফেরত দিয়ে দিবেন।(নিলিমা)
- আম্মু বলছে কোনো মেয়ে কিছু দিলে ওইটা আর ফেরত দিবিনা। তার বদলে অন্য কিছু দিবি।(নীল)
- অন্য কিছু মানে?(নিলিমা)
- ওই কিস টিস আরকি!(মীল)
- আপনি অলরেডি আমাকে টিস করতাছেন আর কিছু লাগবোনা ভাই।(নিলিমা)
- কিস তো আর করিনাই(নীল)
- এই বান্দরের মতো থোবলা নিয়া আসছে আমাকে কিস করতে হুহ ভাগেন।(মেয়ে)
- আম্মু বলছে কাওকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে হয়না।(নীল)
- ভাই ফাও পেচাল বাদ দেন আমি ক্লাসে যাবো এমনিতেই আমার ৫০০ টাকা চলে গেলো।
আজকে কার মুখ দেখে যে ঘুম থেকে উঠছিলাম।(নিলিমা)
- আপু কথাটা হবে ঘুম থেকে উঠে কার মুখ দেখছিলাম।(নীল)
- ধুর বাল চুপ থাকেন তো।(নিলিমা)
বলেই মেয়েটা চলে গেলো।
হিহিহি চরম ফাসা ফাসছে মেয়েটা।
যাক ধাক্কা খাইয়া অন্তরে প্রেম ডুকলো আর পকেটে ৫০০ টাকা।
তবে মেয়েটা বোকা টাইপের চাইলাম আর দিয়ে দিলো।
তবে প্রেমে তো পড়েই গেছি কি আর করার।
,
নীল ক্লাসে গেলো মেয়েটার সাথে ঝগড়া করতে করতে ক্লাসের লেট হয়ে গেছে খেয়ালই করেনি।
গিয়ে দেখলো স্যার অলরেডি ক্লাসে।
নীলকে দেখে স্যার বললো,
- নাম কি?
- নীল।
- ওহ আচ্ছা তো প্রথম দিনেই লেট কেনো?
- স্যার একটা মেয়ে গাধার সাথে ধাক্কা খেয়ে লেট হয়ে গেছে।
- কিহ মেয়ে গাধা ভার্সিটিতে?
- সরি স্যার না বুঝলে কিছু করার নাই।
- যাও গিয়ে বসো।
,
ভিতরে ঢুকে দেখে একটাও সিট ফাকা নাই।
প্রথম দিন তাই সবাই আসছে।
একটা সিট আছে তবে সিটটাতে ওই বজ্জাত বোকা টাইপের মেয়েটা বসে আছে।
নীল মেয়েটার পাশে গিয়ে বসলো।
মেয়েটা রাগি একটা লুক নিয়ে তাকালো।
নীলএকটু চেপে বসলো মেয়েটার দিকে।
মেয়েটা সরে গেলো।
নীল আবার চাপলাে মেয়েটা আবারো সরে গেলো।
তারপর নীল তার জায়গায় গিয়ে বসলো।
হিহিহি মেয়েটাকে একটু ভয় দেখালো নীল।
,
মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে চরম বিরক্তি মেয়েটার মুখে। তবে চশমা পড়া মেয়েদের একটু বেশিই কিউট লাগে।
যাই হোক ক্লাস শেষ করে নীল বাইরে আসতেই মেয়েটা ব্যাগ টেনে ধরলো নীলের।
- ওই কি হইছে?(নীল)
- কি হইছে মানে এগুলা কি বললা তখন মেয়ে গাধার সাথে ধাক্কা খাইছো আমাকে কি গাধা মনে হয়?(নিলিমা)
- না তোমাকে গাধা মনে হওয়ার কি আছে তুমিতো সত্তিই গাধা।(নীল)
- মানে কি ওই ছেলে? (নিলিমা)
- মানে আমি কিভাবে বলবো?(নীল)
- হুহ বলা লাগবোনা বাই।(নিলিমা)
- হুমম বাই?(নীল)
চলবে???
