★★★★★★★★
পর্দা একটি ইবাদতঃ
★★★★★★★★
পর্দা শ্রেষ্ঠ ইবাদত ও গুরুত্বপূর্ণ ফরযসমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে সৌন্দর্য প্রদর্শনকে নিষেধ করে পর্দার আদেশ দেন, তেমনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাদীসে বেপর্দার নিষেধাজ্ঞা জারি করে পর্দার আদেশ জারি করেন। পর্দা ফরযের ব্যাপারে পূর্বের ও বর্তমানের আলিমগণ একমত। তাদের মধ্যে কেউ এর বিপক্ষে যান নি। সুতরাং পর্দা ইবাদতকে কোনো এক যুগের সাথে নির্ধারিত করতে হলে অবশ্যই তার জন্য দলীল-প্রমাণ প্রয়োজন কিন্তু এর দাবিদারদের নিকট এর কোনই দলীল নেই। অতএব আমরা বলব, বার বার বলব: পর্দা কোনো অভিনব বিষয় নয়। বরং তা পূর্বে ছিল এখনও থাকবে। কুরআন ও হাদীসে যদি পর্দার কোনো নির্দেশ ও এর আদর্শ ও সৌন্দর্য-বৈশিষ্টের ব্যাপারে কোনো শরী‘আতের দলীল নাও থাকত তবুও পর্দা মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের মূর্ত প্রতীক হিসেবে নারী তা পালন ও সংরক্ষনের জন্য প্রশংসার দাবীদার হতো। যেহেতু পর্দার বিধান কুরআন, হাদীস ও ইজমার দ্বারা সুসাব্যস্ত তাই এর গুরুত্বও অপরিসীম।!!!!
********************************
কুরাআন ও হাদীস থেকে পর্দার দলীল:
********************************
নিম্নে বর্ণিত দীললসমূহ পর্দা ফরযের উজ্জল প্রমাণ এবং যারা মনে করে যে, পর্দা একটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভ্যাস বা ইসলামের প্রাথমিক যুগের জন্যই মানানসই ছিল, তাদের জন্য দাঁত ভাঙ্গা জবাব।
প্রথমত: কুরআন থেকে দলীল:
-----------------------
প্রথম দলীল: আল্লাহ তা'আলা বলেন,
!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“(হে নবী!) ঈমানদার নারীদেরকে বল: তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে, তারা যেন যা সাধারণত; প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের শোভা প্রদর্শন না করে, তাদের গলদেশ ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা (দাদা-নানাসহ), শশুর (দাদা শশুর-নানা শশুরসহ), পুত্র (ও নাতি), স্বামীর পুত্র (নাতিসহ), ভাই (সহোদর ও সৎভাই), ভাতিজা, ভাগ্নে, আপন (মুসলিম) নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাস- দাসী, এমন অধিনস্থ পুরুষ যাদের মধ্যে পৌরুষত্ব বিলুপ্ত এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারো নিকট তাদের শোভা প্রকাশ না করে। তারা যেন সজোরে পদক্ষেপ না নেয় যাতে তাদের গোপন শোভা প্রকাশ পায়। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আল্লাহ প্রথম পর্যায়ের হিজরতকারী মহিলাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন: যখন আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেন,
“(তাদের গলদেশ ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে) সাথে সাথে তারা স্বীয় চাদরসমূহ চিরে টুকরা করে তা দ্বারা আবৃত করেন।” (সহীহ বুখারী)
দ্বিতীয় দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“আর এমন বৃদ্ধ নারীগণ যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্য দোষ নেই যদি তারা তাদের শোভা প্রদর্শন না করে তাদের (বাহ্যিক অতিরিক্ত চাদর উড়না) বস্ত্র খুলে রাখে, তবে সংযমী হয়ে বিরত থাকলে তা তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬০]
তৃতীয় দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“হে নবী তুমি তোমার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বল, তারা যেন তাদের উড়না বা চাদরের কিছু অংশ নিজেদের (চেহারা ও বুকের) উপর টেনে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে, (বুঝা যাবে যে তারা স্বাধীন ও সম্ভ্রান্ত) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৯]
চতুর্থ দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে, প্রাচীন জাহেলী যুগের মতো তোমরা সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
পঞ্চম দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“আর যখন তোমরা তাদের নিকট কিছু চাইবে পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]
দ্বিতীয়তঃ হাদীস থেকে পর্দার দলীল:
---------------------------
প্রথম দলীল:
!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার স্ত্রীদেরকে পর্দা করতে বলুন, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এরপর আল্লাহ পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করেন। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এ বর্ণনাও রয়েছে যে, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, যদি আপনি মুমিনদের জননীদেরকে পর্দার আদেশ দিতেন; এরপর আল্লাহ পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করেন। দ্বিতীয় দলীল: ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, “নারীরা হলো গোপনীয় বস্তু।” (তিরমিযী এবং এটিকে আলাবনী সহীহ বলেছেন) তৃতীয় দলীল: ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ স্বীয় কাপড় টাখনুর নিচে রাখলো কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। অতঃপর উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তবে মহিলারা তাদের নিম্নাংশের ঝালরের ব্যাপারে কী করবে? তিনি বলেন, এক বিঘত (গোছার নিচে) ঝুলিয়ে দিবে, উম্মে সালামা বলেন, তবে এতে তাদের পা বেরিয়ে থাকবে, তিনি বলেন, তবে তা (গোছার নিচে) এক হাত ঝুলিয়ে দিবে এর বেশি করবে না।” (আবু দাউদ ও তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ)।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামি বিধান অনুযায়ী জীবনকে পরিচালিত করার তৌফিক দান করুক(আমিন).
4
13
গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। অনেক শিখার মতো আছে এই পোস্টে । পর্দা করা মহিলা পুরুষ উভয়ের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। পর্দাবিহীন চলাফেরা করলে আল্লাহ কখনোই তার উপর রহমত নাযিল করেন না