#Miss_doctor_wife
#Part____7
...............
সোজা গোসল করতে চলে গেলাম। বাবার থেকে বাচলে ও মাকে এতো মিথ্যা বলতে পারবো না। গোসল সেরে স্পিরিট খেলাম। যাতে মদের গন্ধ টা একটু কাটানো যায়। তারপর মার কাছে গিয়ে ওষুধ দিয়ে আবার রোমে আসলাম। তখন মুসকানের ফোন আসলো...
মূসকান: কল দিয়েছিলা। ধরতে পারি নি?
সৌরভ : বিজি আছো মনে হয়? কিন্তুু হঠাৎ এতো বিজি কেন?
মুসকান: আরে সিনিয়র ডক্টররা একটা পেরা দেয় বেশি। তাই আর আপনার সাথে কথাই হয় না।
সৌরভ : ভালো তো। আপনি ডাক্তার হবেন এটাই চাই।
মুসকান: thx dear. I love you..
সৌরভ : আম্মু তো অসুস্থ ডাকছে পরে কথা বলি।
মুসকান: আরে শুনে....... টুট টুট টুট।
কলটা কেটে চোখের পানি মুছলাম। মুসকান আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তুমি আমাকে আজ কাদিয়ে দিলা। তোমার এমন পরিবর্তন কখনো কল্পনা করিনি। তুমি যেমন চাও তেমনি হবে। কষ্ট করে তোমার আর ইগনোর করতে হবে না। আমি নিজেই সরে যাবো কারন তোমাকে মান থেকে ভালোবাসছি। I love you Muskan.....
I love you 😔
দুই মাস দশ দিন কেটে গেলো।
অনেক কষ্ট আর চোখের পানির দ্বারা কাটিয়েছে সৌরভ এই দিনগুলো। তারপর ও একটা খুশি মনের ভিতর বিরাজমান। সেটা হলো গিয়ে আজ তার প্রিয়তমা ডাক্তার হয়ে বাংলাদেশে ফিরছে।
সৌরভ আল্লাহর কাছে দোয়া করে যে আজকের পর থেকে যেন তার প্রিয়তমার ব্যস্ততা কমে যায়। সেই চিন্তা রেখে বিকাল 5.00 টা বাজার অপেক্ষা করছে। 4.00 টা বাজে সে যাবে এয়ারপোর্ট। এবং তার ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে আসবে। মন ভরে দেখবে। অনেক গুলা কথা বলবে। বকবে তাকে কেন তার সাথে এমন করলো।
কিন্তুু হয়তো আল্লাহ তার দোয়া কবুল করলো না।
তার ভালোবাসা আরো কষ্টকর বানিয়ে দিবে।
4.10 এ গাড়ি নিয়ে বের হলো। মাকে বললো মা তোমার বউমাকে আনতে যাচ্ছি। 4.40 এ এয়ারপোর্ট পোছালো। অপেক্ষা করতে লাগলো মুসকান এর। ঘরির কাটার চেয়ে সৌরভের হার্টবিট বেশি দ্রুত চলতে লাগলো।
হার্টবিট আরো বেরে গেলো যখন 5.00 টা বাজলো আর মুসকান এর ঝলক দেখতে পেলো। মুসকান এর দেওয়া কষ্ট সেই ওয়েটিং এর থাকা কল গুলোর কথা সব ভুলে গেলো সৌরভ।
মুসকান এর থেকে নজর সরে যখন তার হাতে নজর পরলো সৌরভ বার্করুদ্ধ হয়ে গেলো।
সৌরভের হাতের সেই একগুচ্ছ গোলাপ হাত থেকে ছুটে মাটিতে পরে গেলো। নিছের অজান্তে চোখে পানি চলমল করছে। ভাষা হারিয়ে ফেলছে। এক পা এক পা করে পিছাতে থাকে। তারপর উলটো ঘুরে গাড়ির কাছে চলে যায়।
মুসকান আপনি কিভাবে পারলেন আমাকে ধোকা দিতে। আমি আপনার দেওয়া কষ্ট ভুলে আসছি আপনাকে জরাইয়া ধরতে আর আপনি অন্য কারো হাত ধরে আমার সামনে আসলেন। তাই না তার সাথে দুষ্টুমি করছেন বুকে কিল দিচ্ছেন। সত্যি আমার ভালোবাসা হেরে গেলো মুসকান।
( মনে মনে কথা গুলা চিন্তা করে রাগে গারির গ্লাসে একটা ঘুসা মেরে গ্লাস ভেঙে ফেলে। হাত রক্ত দিয়ে ভরে গেলো সেকেন্ডের ভিতর। পাসের গাড়ির ড্রাইভার ছুটে আছে।
- ভাই পাগল হয়েছেন। কী করছেন। পানি দিয়ে ধুয়ে এই কাপরটা পেচিয়ে ফেলুন।
সৌরভ : ওফফফ? না ভাই দরকার নেই? আপনি যান।
- ভাই জানি না কী সমস্যা। কিন্তুু এভাবে আপনি বেশিখন থাকতে পারবেন না। যে হারে রক্ত পরছে বেহোস হয়ে যাবেন।
সৌরভ : সমস্যা নেই।
না করার পর ও লোকটা পানি দিয়ে ধুয়ে আমার হাতে একটা পাতলা সুতি কাপর পেচিয়ে দিলো। তাকে দেখে মনে হলো ভালো মানুষ এখনো বেচে আছে।
গল্প পরতে রিকোয়েস্ট দিয়ে পাসে থাকতে পারেন।
- ভাই আপনি যেতে পারবেন না। আমি কী আপনাকে ড্রপ করে আসবো।
সৌরভ : না যা করেছেন তাই যথেষ্ট।
- সার দয়া মনে করবেন না। আমি আপনাকে চিনি। আর আমি আপনার বাবার গাড়ির ড্রাইভার।
সৌরভ : ওহহ আচ্ছা। বাবা আসছে নাকি এখানে।
- হ্যাঁ সারের একজন বন্ধু আসবে। তাকে নিতে এসেছে।
সৌরভ : আমি হসপিটালে যেতে পারবো। আর বাবাকে কিছুই বলবেন না এই বেপারে।
- oky sir.
আমার গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। আর মুসকান এর কথা মনে পরলো। কে ওই ছেলেটা যার সাথে মুসকান এতো মিলেমিশে কথা বলছে।
হঠাৎ আমার গারির সামনে একটা মেয়ে চলে আসলো আমি কোনো রকম ব্রেক ধরলাম। মেয়েটা গাড়ির সাথে বারি খেয়ে পরে গেলো......
চলবে...........
0
5