#মিশে_আছো_তুমি_হৃদপিণ্ডে
#পর্ব০৩
(কিছু কথা সাবি নাম পরিবর্তন করে আজ থেকে সাথী নাম ব্যবহার করা হবে)
জীবন সকালে ব্রেক ফাস্ট করে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।গাড়ি ড্রাইভ করার মাঝে মাথাটায় কিছুটা ব্যাথা অনুভব করে।তখন মনে পড়ে যায় সে আজ তো কফি খেয়ে বের হয়নি।সেজন্য গাড়ি সাইড করে কফি খেতে বের হয়। অন্যদিকে সাথী হোস্টেলের সামানের রাস্তায় নেচে নেচে দাঁত ব্রাশ করছে। নাচের তালে সে ভুলেই গেছে তার আশেপাশে কি হচ্ছে। এক সময় জীবনের সাথে খেলো এক বিরাট ধাক্কা। সাথী মাটিতে পড়ে গেল আর জীবন ছিটকে দূরে সরে গেল
সাথীঃ ও বাবা ও মা তোমাদের মেয়ে সাথী চৌধুরীর কোমর শেষ।আমার এখন কি হবে। আমাকে এখন কেবল বিয়ে করবে না। আমার ক্রাশ আমার থেকে দূরে সরে যাবে। তিনি আমার আর হবে না ( ন্যাকা কান্না করে)
কোন সালা রে সালারে আমাকে ধাক্কা দিলি।সাদা বানর, কালা কুমির, শাঁকচুন্নির জামাই, তরও কোনো দিন বিয়ে হবে না।
জীবনঃ কে এই মেয়ে যে আমাকে এভাবে গালি দিচ্ছে। মনে হয় অনেক ব্যাথা পাইছে।কিন্তু এই মেয়েকে চেনা চেনা লাগছে কেন। কোন জায়গায় দেখেছি।,,,,হ্যালো
সাথীঃ ও মাগো! আমার ক্রাশের সাথে ধাক্কা খাইছি। তাহলে আমি ১০০% সিউর আমার ক্রাশ আমারি হবে।একি আমার ক্রাশ আমার দিকে আসছে কেন,, আমাকে মনে হয় কোলে নিবে🙈(মনে মনে)
জীবনঃ হ্যালো তুমি ঠিক আছো তো?
সাথীঃ একি আমার ক্রাশ আমার সাথে কথা বলতেছে।আমার তো মরে যেতে ইচ্ছা করছে,। থুক্কু আমি কেন মরবো মরবে তো আমার সতিন তিশার বাচ্চার তিশা। আমার ভাল্লাগে ( মনে মনে)
জীবনঃ ও হ্যালো তুমি ঠিক আছো তো। কথা বলছো না কেন। এর আগে তো আমাকে হাজারটা গালি দিলে।নাকি কোনোদিন আমার মতো হ্যান্ডসাম ছেলে দেখোনি😎 চশমা পড়তে পড়তে বলল।
সাথীঃ বাবু তোমার নাম কি?বাবু খাইছো?
জীবনঃ বাবু ডাক শুনে রেখে যায়। ডাফার মেয়ে কথাকার।
জীবন রেগে সাথীকে সেখানে ফেলেই চলে যায়।সাথীর কি আর করার সে এখা উঠে হোস্টেলে ফিরে যায়। কফি খাওয়ার সময় জীবনের ফোন আসে
রাজঃ হ্যালো স্যার।
জীবনঃ হ্যা রাজ বলো? কি হয়েছে?
রাজঃ স্যার আজ আমার ছুটির দরকার ছিল। আজ তো আপনি অফিসে আসবেন না। আপনার মিটিং আছে।তাই ফোন করলাম.।
জীবনঃ ছুটি কিসের জন্য?
রাজঃ আজ আমার বোনকে নিয়ে ভার্সিটি যেতে হবে। সেখানে নতুন। তেমন কিছু চিনে না। বিকালে আবার অফিসে আসবো।প্লিজ স্যার ছুটিটা দেন।
জীবনঃ ওকে। কিন্তু আমার একটা ছোট কাজ করতে হবে ।
রাজঃ কি কাজ স্যার?
জীবনঃ শ্রুতিরও তো আজ প্রথম ভার্সিটি যাবে। তুমি তাকে নিয়ে যাও।আমার আর সময় নাই।তাই আমি চাই তুমি তাকে নিয়ে যাও এতে কি তোমার কোনো সমস্যা আছে।
রাজঃ না স্যার কোনো সমস্যা নেই।
জীবনঃ ওকে,,বাই
রাজঃ স্যার আপনি হলেন সেরা ভাই যে প্রেম করার সুযোগ করে দেন আপনার বোনকে,, মনে মনে (রাজ হলো সাথীর ভাই)
রাজ ফোন কেটে সাথীকে ফোন দেয়।
সাথীঃ হ্যালো ভাইয়া বল,,,
রাজঃ ভার্সিটি যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নে।আমি তকে ভার্সিটিতে নিয়ে যাব।
সাথীঃ ওক্কে ভাইয়ু।ধন্যবাদ।
রাজঃ তর এসব গাইয়া কথা বাদ দিবি।
সাথীঃ বাদ দিব না কি করবি শেওড়া গাছের পেত্নীর বর।
রাজঃ আমার বউ মোটেও দেখতে প্রেত্নীর মতো হবে না।
সাথীঃ আমার তো আর কোনো কাজ নাই যে তর সাথে ঝগড়া করবো। ফোন কাট এখন।
রাজ ফোন কেটে জীবনদের বাসায় রওনা দেয়। তাদের বাসায় নেমে কলিং বলে বাজাতেই জীবনের মা (জেরিন চৌধুরী) দরজা খুলে দেয়।
জেরিনঃ রাজ বাবা ভিতরে আসো।
রাজঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি। কেমন আছেন।
জেরিনঃ ভালো,, তুৃমি কেমন আছো?সুফায় বসো আমি চা পালটাচ্ছি।
রাজঃ ভালো আন্টি। ওকে
শাহরিয়ার শান্তঃরাজ কখন আসলে? (জীবনের বাবা)
রাজঃ এইমাত্র আসলাম
শান্তঃ কাজ কর্ম ভালো চলছে তো?
রাজঃ হুম স্যার। শ্রুতিকে একটু তারাতাড়ি তৈরি হতে বলেন। আবার লেট হয়ে যাবে।
শান্তঃ হুম রাজ।জীবন ফোন করে আমাকে সব বলছে। একাই সব দিক খিয়াল রাখে।
রাজঃ দেখতে হবে না। আপনার ছেলে। আপনার মতোই তো কর্মট হবে।
শান্তঃ হুম,,,,,
বাবা আমি প্রস্তুত।সিরি দিয়ে নামতে নামতে বলল
শ্রুতিঃরাজ ভাইয়া চলেন।
জেরিনঃ চা তো খেয়ে যেতে দে।
রাজঃ না আন্টি। অন্যদিন এসে পেট পুরে খেয়ে যাব।
রাজ & শ্রুতি বেরিয়ে আসে বাসা থেকে।
রাজঃ আমি তোমার ভাইয়া কবে থেকে হলাম। (হতাশ হয়ে)
শ্রুতিঃ কেন আজ থেকে।
রাজঃ দুই বছর রিলেশনের মাঝে তো কখনও ভাইয়া বলো নি।
শ্রুতিঃ বলিনি তো কি হয়েছে আজ থেকে বলল।
রাজঃ না বলবে না।
শ্রুতিঃ বলবো ১০০ বার বলবো।
শ্রুতি আর কথা বলতে পারলো না তার আগেই রাজ তার ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলো।(কেমনডা লাগে রোমাঞ্চকর পরিবেশে তৈরি করলাম হিহিহিহি) ৫ মিনিট পর ছেড়ে দিল।
রাজঃ এর পর থেকে ভাইয়া বলে ডাকলে এরকম ডোস দিব। আমার তো খুব ভালোই লেগেছে। দিব নাকি আর একটা।
শ্রুতিঃ আর বিয়ের আগে আর কখনো না ।
রাজ গাড়ি ড্রাইভ করছে আর ঠোঁট নাচিয়ে নাচিয়ে বলছে আমার এ বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না। এদিকে শ্রুতি লাল নীল বেগুনি হয়ে যাচ্ছে।
রাজঃ লজ্জা পেলে তোমাকে খেয়ে ফেলতে মন চাই।
শ্রুতিঃ তোমার বোনের হোস্টেলের সামানে এসে পড়ছি।গাড়ি ব্রেক করো।
রাজ গাড়ি সাইড করে গাড়ি থেকে নামতেই সাথী বলে উঠে
সাথীঃ ভাইয়া তর ঠোঁটে লিপস্টিক কিভাবে লাগলো।
আর আপু তোমার ঠোঁটের লিপস্টিক এমন কেন?
রাজঃ মা বাবাকে কিছু বলবি না প্লিজ।
সাথীঃ ভাবি ট্রিট দাও। আর লিপস্টিক ঠিক করো।
শ্রুতিঃ তোমার বোন এমন শয়তান তা জানতাম না। ওকে আমি ট্রিট দিব।
সাথীঃ এইতো আমার কিউট ভাবি লাভ ইউ।
চল ভার্সিটিতে যাই।
#ফিরে_আসবো_আবার_আগামী_পর্বে
আজকের পর্বটা কেমন লাগছে বলবেন। ভালো না লাগলে এভয়েড করেন। প্লিজ বাজে কমেন্ট করবেন না।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অনেক ভালো লিখেছেন। আমি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।