জাস্ট ফ্রেন্ড যখন রাগী গার্লফ্রেন্ড

গল্প : জাস্ট ফ্রেন্ড যখন রাগী গার্লফ্রেন্ড

পর্ব : ৩

ভাইয়া আমাকে ডাক দিলে "

আমি কাছে যেতেই ওনি আমাকে যে কথাটা বললো!!

সেটা শুনে যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো !!

সুমন ভাই বলল : তোর ফ্রেন্ড নীলা আছে না??

আমি : কেনো ও আবার কি করেছে??

সুমন ভাই : কিছু না, আচ্ছা মেয়েটা কেমন রে??

আমি : অনেক ভালো, কেনো কি হয়েছে ভাই একটু খুলে বলো তো ?

সুমন ভাই : না মানে, আমার ফ্যামিলি থেকে আমার আর নীলার বিয়ে ঠিক করেছে "

দু ফ্যামিলি থেকেই রাজি!!

নীলার আম্মু আমার আম্মুর ফ্রেন্ড সেই সূত্র ধরেই নীলার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে!!

আমি : কই নীলা তো আমাকে কিছু বললো নাহ্!!

সুমন ভাই : নীলা কেমন করে বলবে " ও নিজেই তো যানে নাহ্ তোকে কি বলবে!!

আমি : তার মানে!!

সুমন ভাই : মানে হলো, দু ফ্যামিলি থেকে বিয়ে ঠিক করা হয়েছে "

নীলাকে কাল দেখতে যাবো "

কিন্তু আমাদের ফ্যামিলি কথা বার্তা পাকা "

শুধু নীলা হ্যা বললেই বিয়ে কনফার্ম!!

আমি : আর নীলা যদি না করে তাহলে কি বিয়ে হবে নাহ্!!

সুমন ভাই : বিয়ে তো আমি নীলাকেই করবো "

সেটা যে ভাবেই হোক মেয়েটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে!!

আমি : ও আচ্ছা "

এইটুকু বলেই সেখান থেকে চলে আসতে লাগলাম!!

সুমন ভাই দাড়াতে বললে আমি তার কথা এড়িয়ে গেলাম!!

প্রচুন্ড খারাপ লাগা শুরু হয়েছে,

কি করবো বুঝতে পারছি নাহ্!!

বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে বসলাম "

বাট খাবার গুলো মুখে তুললেও ভিতরে নিতে পারছি নাহ্!!

তাই খাবার টেবিল থেকে উঠে,

রুমে এসে একটার পর একটা সিগারেট খেতে থাকলাম!!

আর মন কে শান্তনা দিতে থাকলাম "

নীলা তোর জাস্ট ফ্রেন্ড এর বেশি নীলা তোকে কিছুই মনে করে নাহ্!!

তুই কেনো নীলার জন্য এত ছটফট করছিস!!

ছেড়ে দে ভাই,

যেটা তোর হবার নয় সেটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামালে কোন লাভ হবে নাহ্!!

তার থেকে ভালো হয়,

এসব চিন্তা মাথা থেকে দূর করে ফেল!!

এইসব কিছু যখন মনকে বুঝচ্ছি তখনি নীলার ফোন "

আমি : হ্যালো, হুম বল "

নীলা : আজ এক কল করতেই ফোন রিসিভ করলি!!

আমি : হুম,

নীলা : আচ্ছা বাসা থেকে রেডি হয়ে বের হ কলেজে দেখা হচ্ছে!!

আমি : আজকে কলেজ যাবো না রে,

নীলা : কি বললি আবার বল তো!

আমি : যেটা শুনছিস সেটাই বলেছি!!

নীলা : কই আমি তো কিছু শুনিনি তুই আবার বল!!

আমি : আজ কলেজ যাবো নাহ্,

নীলা : ওকে ফোন রাখ!

আমি : তুই ফোন দিয়েছিস তুই রাখ "

নীলা : ওকে আমিই রাখছি!!

এই বলে নীলা ফোন কেটে দিলো!!

কিন্তু নীলা তো এত সহজে মেনে নেওয়ার মেয়ে নাহ্!!

সে যাইহোক আমি আমার মত,

গিটার নিয়ে বসে পড়লাম!!

একটু পর পর সিগারেট খাচ্ছি আর গিটার বাঝাচ্ছি!!

কিছুক্ষন পর আবার নীলার ফোন!!

আমি : হ্যালো, হুম বল,

নীলা : নিচে নাম,

আমি : কোন নিচে নামবো!!

নীলা : আরে গাধা তোদের বাসার নিচে নাম "

আমি তোদের বাসার নিচে!!

নীলার কথা বিশ্বাস হচ্ছিল না,

তাই বেলকনি গিয়ে উকি মারতেই দেখতে পেলাম সত্যি সত্যি নীলা আমার বাসার নিচে!!

আমি : আরে তুই আমার বাসার নিচে কেনো?

নীলা : আমি নিচে কেনো সেটা নিচে এসেই জিজ্ঞেসা কর,

নাকি আমাকে এভাবে রোদ্দে দাড় করিয়ে রাখতে তোর খুব ভালো লাগছে!!

আমি : তুই বাসায় আস,

নিচে দাড়িয়ে থাকতে কে বলেছে!!

নীলা : না আজ আর বাসায় যাবো না,

তুই তারাতারি নিচে নাম, আর হ্যা রেড়ি হয়ে আছিস,

কলেজে যাবো, বেশি সময় নেই কিন্ত

আর আমি রোদ্দে থাকতে পারি নাহ্!!

আমি : ওকে ওকে আসছি!!

আমি যানতাম নীলা এমন কিছু একটা করবে,

কারন ও প্রচুন্ড রাগি আর জেদি একটা মেয়ে!!

কি আর করার বাসার নিচ পর্যন্ত যখন আসছে,

তাহলে আমার কর্লার টেনে বাসা থেকে নিচে নামাতেও ওর বেশি একটা সময় লাগবে নাহ্!!

তাই নিজ থেকেই রেড়ি হয়েই নিচে গেলাম!!

বাট এখন নীলার থেকে একটু দুরে দুরে থাকবে হবে!!

কারন ওর মায়া টা কাটিয়ে উঠতে আমার অনেকটা সময় লাগবে!!

কলেজের সব ছেলেদের মত আমারো সপ্ন ছিলো, নীলা কে গার্লফ্রেন্ড করার!!

বাট সপ্ন তো পূরন হবার নই,

যাইহোক আমি নিচে গিয়ে বাইক বের করলাম!!

নীলা আমার পিছনে উঠে বসল!!

নীলা : সকাল সকাল সিগারেট খেয়েছিস নাকি,

এত সিগারেটের গন্ধ কেনো!!

আমি : হুম খেয়েছি "

নীলা : তোকে না কত বার নিষেধ, করেছি যে এইসব ছাইপাঁশ খাবি নাহ্!!

আমি : হুম তোর নিষেধ আমার মাথায় আছে,

কিন্ত মন তো আর বুঝে নাহ্!!

নীলা : মন কি বুঝে, মন কি সাদিয়া কে চায় নাকি??

আমি : সব সময় ফাজলামো করিছ না তো,

মন যাকে চায় সে তো বুঝে নাহ্!!

বুঝেও না বুঝার ভাব নিয়ে থাকে!!

নীলা : ওমা তুই আবার কার প্রেমে পরলি!!

আচ্ছা নাম ঠিকানা দে,

যে ভাবেই হোক আমি রাজি করিয়ে দেবো!!

কিন্তু গুলুমুলু সাদিয়ার কি হবে!!

আমি : আবার ফাজলামি!!

নীলা : সরি সরি এবার সিরিয়াস, মেয়েটার নাম ঠিকানা বল!!

আমি : যানি নাহ্!!

নীলা : যানি না মানে কি, আমাকে বলবি না সেটা বল!!

আমি : সেটা ভেবে খুশি!!

নীলা : এই তুই সকালে সিগারেটের সাথে অন্য কিছু খাইছিস নাকি?

আমি : অন্য কি খাবো??

নীলা : ঐ যে টাকা পুড়িয়ে পুড়িয়ে যে খাই ওগুলা!!

নীলার কথা শুনে কিছুটা হাসি পেলেও সেটা ভিতরেই রেখে দিলাম!!

নীলা এই কথা বলেছে তার কারন হলো,

আমার কথাবার্তার ধরন চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে!!

যেটা ওর একদম সহ্য হচ্ছে নাহ্!!

অবশেষে কলেজে পৌছালাম,

পৌছে বাইক টা রেখেই ক্লাসের দিকে যাবো

এমন সময় নীলার ফোনে কল আসলো!!

নীলা ফোন রিসিভ করে অনেক খন কথা বললো!!

নীলার কথা শেষ হলে নীলা কে বললাম কে ফোন দিয়েছিলো

আর কি বললো!!

নীলা বলল : বাসা থেকে ফোন করে বললো ' তোকে আজ কলেজ যেতে মানা করেছি তবুও কেনো কলেজে গিয়েছিস!!

এখনি বাসায় চলে যেতে বলল ""

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না,

কেনো বাসায় যেতে বলছে!!

তবুও নীলা কে বললাম!!

আমি : কি করবি এখন??,

নীলা : যানি নাহ্, মাথায় কিছু আসছে নাহ্!!

#চলবে???