হৃদয়ে_মম

0 0
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

#হৃদয়ে_মম

#পর্ব - ২০

না জানিয়ে আমরা সবাই মিলে ফিক্সড করেছিলাম। এতে সকলে রেগে যায়। কেউ এসেছিল কেউ আসেনি। এটা নিয়ে সমস্যা কম হয়েছিল নাকি? আলতাফ স্যার ছিল বলে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। সব ওনার উপর চলে যায়। (রহমান স্যার)

- তারপর কি হয়েছিল স্যার? (আকাশ স্যার)

- কি আর হবে এরপর থেকে সকাল, বিকাল, দিন রাত দেখত না। ওদের সময় মত যখন তখন মিটিং করার নাম বলে এদের ওদের বাড়ি বা স্কুলে যেতে আসতে হতো যেটা এখনো হচ্ছে। আমাদের সব খেটে মরতে হচ্ছে। তার মধ্যে ওনারা যেদিন মিটিং করবে সবাইকে সব কাজ ফেলে রেখে সাড়া দিতে হবে। মিটিংয়ে আাসা বাধ্যতামূলক। তখন কারো যে কোন পার্সোনাল কাজ করা যাবে না।

- তো আপনারা কিছু বলেন নি? প্রতিবাদ করতে পারতেন। আপনাদের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই নাকি? একটা প্রতিষ্ঠানে আছেন বলে কি যখন তখন কাজ করতে হবে নাকি? কমিটির মানুষের কথায় উঠবস করতে হবে নাকি? আপনারা ওদের কথায় সব করে গেছেন বলে ওরা আরো সুযোগ পেয়েছে। হয়ত এমন সময় আসবে ওনাদের বাড়ির পার্সোনাল কাজও যেন করতে হয় আপনাদের এভাবে চলার কারণে। এবার সোজা ভাষায় বলে দিবেন যতক্ষণ অফিস চলবে ততক্ষণ আপনারা কাজ করবেন। অফিস শেষ হওয়ার সাথে সাথে নো ডিউটি, কোন কাজ নেই। স্কুলের কোন কাজ আর করবেন না। অর্থাৎ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এই সময়ের ভেতরে অফিসিয়াল যে কোন কাজ করবেন। তবে অফিসিয়াল যেন হয় কাজগুলো। শেষ ঘন্টা বাজার সাথে সাথে সেদিনের মত কাজ শেষ। যে কাজ হবে হউক না কেন সেটা করতে হবে না। এরপরের সময়টা পরিবারকে দিন। ওদের সাথে সময় কাটান। আশা করি বুঝতে পারছেন বিষয়টা। আরেকটা কথা দেখুন আমি এখানকার পরিস্থিতি কি রকম জানিনা, মনে আসল বলে ফেললাম। লুকোচুরি খেলতে পারিনা। আমার যেটা ভাল মনে হয় সেটা আমি সবার সাথে শেয়ার করি। এটা নিয়ে কেউ ফুসুর ফুসুর করবেন না। আসলে এখানে এলাম দুদিন হয়নি যা ইচ্ছা তাই বলছে, নিজেকে বড় কিছু ভাবছে এরকম বলিয়েন না। একটা কথা মনে রাখবেন আমি যেটা করব সেটা সবার জন্য ভালো হবে এরকম করব।

- আকাশ স্যার আমরা গতবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে মিটিং এর ডেট আমরা ফিক্সড করব।

- হ্যাঁ স্যার সেরকম ই করেন। ঐদিন যারা আসবে তো আসবে। যারা আসবেনা দরকার নেই। যারা আসবে তাদের আলাপ আলোচনার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। না হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আর স্যার চিঠিগুলো কম্পিউটার থেকে টাইপ করে খামে ভরে দিবেন।

- তো স্যার সম্ভাব্য তারিখ কখন দেওয়া যায়?

- সপ্তাহ খানেক পরে দেন। চিঠি তৈরি, খামে ভরা সেগুলো সবাইকে দেওয়া এসব মিলিয়ে তো লাগবে।

- স্যার চিঠি করতে ১০ মিনিট লাগে আজকাল কম্পিউটার থেকে।

- তবুও সবাইকে দিতে দিতে এত সময় লাগবে। আস্তে ধীরে আমরাও চিঠিগুলো বিলাতে পারব।

- আমরা বিলাব? কি বলছেন স্যার? স্যার আমরা একটা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। আমাদের মূল্য কি এতই কমে গেল নাকি সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিঠি বিলাব? অফিস সহকারীকে দিয়ে এসব কাজ করাবেন দয়া করে স্যার।

- আকাশ স্যার আসলে আপনি বুঝতে পারছেন না। আমরা সবাই এই এলাকার লোকজন এবং শিক্ষক। আর কমিটির লোকজনও এই এলাকার বাইরের নয়। এই এরিয়ার মধ্যে সবাই থাকে। এরা আবার কেউ আমাদের ভাই, চাচা, কাকা এরকম। তাই যে যার পাশে আমরা থাকি তাদের চিঠিগুলো আমরা দিই।

- স্যার আমার মতে এ কাজগুলো অফিস সহকারীকে দিয়ে করালে ভাল হবে।

- ঠিক আছে দেখা যাক। তবে আজ আকাশ স্যার অনেক দারুণ দারুণ আইডিয়া দিল। খুব ভালো লাগল আকাশ স্যার আপনার কথা শুনে।

- ধন্যবাদ স্যার। সব শিক্ষকদের মধ্যে একতা থাকলে কমিটি সেখানে কিছু করতে পারবে না। আর যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে সেই চাকরি না করাই ভালো যেখানে জিম্মি হয়ে থাকতে হয়।

- একটা কথা সকলের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনাদের অনেক ছোট হয়ে প্রসঙ্গবসত অনেক বড় বড় কথা বলে ফেললাম। তার জন্য আপনারা যদি কোন কষ্ট পান তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। আর আমার জন্য একটু দোয়া করিয়েন।

- একি বলছেন স্যার আপনি? এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মেঘলা ম্যামের বাবা আলতাফ স্যার। এখানে ষড়যন্ত্র চলছে ওনাকে হটিয়ে দিতে। সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। মিটিংয়ের সময় ওনাকে সবার সামনে কমিটির অন্য লোকেরা অপদস্ত করে এটা আমাদের ভালো লাগে না। আমাদের খারাপ ও অস্রাব্য ভাষার গালাগালি করে। পাগলের মতো আচরণ করে ওরা। আপনি আসছেন ধীরে ধীরে বুঝে যাবেন সমস্যাগুলো। পাঠদানের ব্যাপারে, শিক্ষার হার, মান যাচাই-বাছাই করার সময় কেউ আসে না। কিন্তু সরকার থেকে কোন অনুদান আসলে, কোন দাতা টাকা পয়সা দিলে বের হয়ে আসে সবাই অভিভাবক হয়ে।

- ঠিক আছে রহমান স্যার। কি হয় দেখা যাক। উল্টাপাল্টা কোন কিছু আমি সহ্য করতে পারি না। সে রকম যদি কিছু হয় তাহলে দেখা যাক।

আকাশের চোখ এবার মেঘলা ম্যামের দিকে গেল। দেখল ওনি কান্না করছে। সবাই ওনার দিকে তাকাল। এই কান্নার কারণ সবাই বুঝে গেছে। তাই চুপ হয়ে যায়। বাবার বিরুদ্ধে কোন অপমান কেউ সহ্য করতে পারে না।

- মেঘলা কান্না থামাও। কান্না করে লাভ নেই। (প্রধান শিক্ষক)

আকাশের বলা কথাগুলো শুনে সবাই হাততালি দিয়ে উঠল। আকাশ একটা জিনিস বুঝল কমিটির সাথে শিক্ষকদের সাথে কোন মিল নেই।

প্রধান শিক্ষক এবার বললেন,

- আমরা অনেক ধরণের আলাপ আলোচনা করলাম, অনেক কিছু বললাম, যদি আমার কথায় কোন ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা করে দেবেন। যান এবার আপনারা ক্লাসে চলে যান। এখন শিক্ষা সফরের ব্যাপারে ক্লাসের কোন ছাত্র ছাত্রীদের কিছু বলবেন না।

সব শিক্ষকরা তাদের ক্লাসে চলে গেল। আকাশও স্যারের থেকে বিদায় নিয়ে বলল,

- স্যার আসি তাহলে।

- কিছু খেয়ে যান আমি কাউকে দিয়ে কিছু আনি।

- না স্যার কিছু খাব না এখন। একটু ক্লাসে যায় শিক্ষার্থীদের সাথে একটু দেখা করে আসি।

রহমত চাচা, আকাশকে ধরে ক্লাসের দিকে নিয়ে যেতে লাগল। পেছনে পেছনে প্রধান শিক্ষক মহোদয়ও আসতে লাগল।

- আকাশ স্যার একটা কথা ছিল।

- বলুন স্যার।

- এখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপনার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল কয়েকদিন আগে। আমি ওনাকে আপনার ব্যাপারে বলি। আপনি পড়ে গেছেন, পা ভেঙে ফেলছেন এসব বলি তাই সুস্থ না হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে বলি। ক্লাসে আসলে ওনার সাথে একবার দেখা করবেন।

- কেন স্যার ওনি কেন আকাশকে খুঁজছেন? সমস্যা কি?

- মনে হয় ওনার মেয়েকে পড়াতে। আমাকে সেরকম একটু ইঙ্গিত দিয়েছিল।

আচ্ছা ঠিক আছে পরে দেখা যাবে এসব।

আকাশ প্রত্যেক ক্লাসে গিয়ে সবার সাথে ভাব বিনিময় করলো। সবাই ভাল আছে কি না জিজ্ঞেস করল। পড়ালেখা ভাল করে করার পরামর্শ দিয়ে আবার অফিসে চলে এলো। ততক্ষণ নাস্তাও চলে এসেছে। তিনজনে নাস্তা করে নিল। তারপর আকাশ আর রহমত চাচা বিদায় নিয়ে

স্কুল থেকে চলে আসার জন্য বের হলো। গেইট পার হয়ে রাস্তায় এলো। কথা বলতে বলতে বাড়ির সামনে গেইটে এসে থামল। রহমত চাচা এবার আকাশকে হাত দিয়ে ধরে ভেতরে ঢুকিয়ে দিল। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে দেখল আলতাফ আংকেল টিভি দেখছে।

- আরে আকাশ কখন এলি তুই?

- এইত আংকেল এইমাত্র।

- তে স্কুলের অবস্থা কেমন?

- জি ভাল।

আংকেল একটু উপরে যায়। ফ্রেশ হব গোসল করব তো।

- রহমত যাও ধর আকাশকে।

- আংকেল আমি নিজে পারি কি না দেখি।

আকাশ এবার সিঁড়ির হাতল ধরে অনায়সে উপরে উঠে গেল।

- কি রে রহমত, আকাশ তো ভালো হয়ে গেল দেখছি।

- হ্যাঁ। তাইতো দেখলাম।

আকাশ রুমে গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করে বের হলো। তারপর একটু শুবার চেষ্টা করল। কিন্তু ঘুম আসছিল না। তাই ফোনটা নিয়ে কিপ্যাড আনলক করল। তারপর স্ন্যাকস গেমটা খেলতে লাগল। একটু পর রহমত চাচা চলে এলো। ওনিও গোসল করে রেডি হয়ে আকাশের পাশে শুয়ে পড়ল।

- আকাশ কি করছিস?

- এইতো ফোন টিপছি।

- কিছু খাবি?

- না চাচা। একটা কথা বলব চাচা।

- একটা না হাজারটা বলে ফেল।

- আচ্ছা আলতাফ আংকেলের বাবা মায়ের মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিল না বলতে কি রকম ছিল চাচা? তুমি বলবে বলে আর বলনি। এখন বলো। এখন আর না শুনে ছাড়ছিনা তোমায়। তারাতাড়ি বল।

- ওরা সেদিন কিছু একটা কাজে টাউনে গেছিল। টাউনে মানে চট্টগ্রাম শহরে। দুদিন থেকে পরের দিন চলে আসার জন্য বাসে উঠে। বাস তার আপন গতিতে চলছিল। প্রায়ই এক ঘন্টা ২০ মিনিট পর চট্টগ্রামের আরাকান সড়ক থেকে বান্দরবান যাওয়ার রাস্তায় আসে বাসটি। চলতে চলতে বাসটি প্রায়ই কাঙিত স্টেশনের সামনে চলে আসতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনি বাসটি ব্রেক ফেল করে। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়ি থেকে। পাশে একটা ব্রিজ ছিল ওটার সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় বাস! উদ্ধারকারী দল এসে বাসটির সকল যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু দুজন যাত্রী তখনো নিখোঁজ ছিলেন। তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। উদ্ধারকারী দল এবার হাল ছেড়ে দিলেন। তারা চলে আসার জন্য উদ্যত যখন হয়েছিল তখন কিছু একটা পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে সেদিকে তাকিয়ে দেখে ব্রিজের হাতলে রাশি রাশি রক্ত জমাট হয়ে আছে। উদ্ধারকারী দলের একজন বলল,

- এখানে রক্ত কোথায় থেকে এলো? আমি তো এখন সেই জায়গা থেকে এলাম। তখন তো রক্ত দূরে থাক রক্তের কোন ফোঁটাও চোখে পড়েনি।

দেখি কি হয়েছে সবাই চলো বলে যখন ব্রিজের নিচে থাকাল তখন ঝোপঝাড়ের ভেতরে কাপড়ের কোনা দেখল। সবাই নিচে নেমে ঝোপঝাড় গুলো সরিয়ে দেখে এটা মহিলা। এবং সে মারা গেছে। পাশে তাকিয়ে দেখে আরো একটা লাশ পড়ে আছে! লাশ দুটো উপুড় হয়ে পড়েছিল। সেগুলোর মুখ দেখতে যখন এদিকে করল তখন সবাই ভয়ে অস্তির হয়ে গেল। এমন অবস্থা যে তাদের কেউ চিনতে পারল না।

আমরা তো অস্থির হয়ে পড়ছিলাম এখনো কেন এরা আসছে না। ওরা যতক্ষণে আসে তার টাইম পার হয়ে গেছিল। জানতে পারি এরকম একটা জায়গায় এক্সিডেন্ট হয়েছে। দু'টো লাশ পড়ে আছে। যাদের কেউ চিনতে পারছে না। বাস কাউন্টারে গিয়ে যোগাযোগ করি। আমরা কিন্তু সেদিন সিউর ছিলাম না কোন বাসে উঠেছিল ওরা। আমরা অনুমান করে প্রথম যে কাউন্টারে যায় সেটা হলো পূরবী। সিদ্ধান্ত নিই এক্সিডেন্ট স্পটে যাব। তাই দেরি না করে পৌঁছে যায়। আলতাফের মাকে প্রথমে দেখে চিনতে পারেনি। পরে যখন ওর বাবার লাশটা দেখি তখনো চিনতে পারিনি। কারণ শরীরটা আঁচড়ে ফেলে হয়েছিল। মুখটা চিঁড়ে গেছিল। মানে কোনভাবে ভ্যারিফাই করার উপায় ছিল না এরা আলতাফের বাবা মা। হঠাৎ আমার চোখ গেল আলতাফের বাবার কাপড়ের দিকে। যে শার্টটা ওর বাবা পড়ে আছে সেটা আমি পড়িয়ে দিয়েছিলাম। ওনি বলেছিল,

- শার্টটা নাকি আর পড়তে ভালো লাগে না। তাই এবার লাস্ট বার পড়বে এরপর আর পড়বে না।

আলতাফের দিকে চোখ দিলাম, দেখলাম সে এখনো ঐ লাশটার দিকে তাকিয়ে আছে। বললাম ওটা তোর মা আলতাফ। এই দেখ তোর বাবা এটা। এই শার্টটা যাওয়ার সময় আমি পড়িয়ে দিয়েছিলাম। আলতাফের বাবার চোখের উপর কাজলের মধ্যে একটা দাগ ছিল। খাল থেকে পানি এনে রক্ত পরিষ্কার করে কাজলের উপর দিতেই সন্দেহ দূর হয়ে গেল। দেখলাম দাগটা আছে। এবার আলতাফের সন্দেহ রইল না। অনেক জোরে কান্না করে। আমিও কান্না করি। কারণ তারা আমার দ্বিতীয় বাবা মা ছিল। পুলিশ সবকিছু যাচাই বাচাই করে লাশ আমাদের হস্তান্তর করলে আমরা সেটা নিয়ে বাসায় আসি।

পুরো বাসের কোন যাত্রীর কোন ক্ষতি হয় নি। শুধুমাত্র আলতাফের বাবা মা মারা যায়। তাদের এমন ভয়ঙ্কর মৃত্যু হয়েছিল না তা ভাবলে আজ ও সারা শরীর শিউরে ওঠে! তাদের চোখ দুটো ছিল না! দাঁত গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছিল। মুখে নখের আঁচড় কাটা ছিল। কোনভাবে চেনার উপায় ছিল না যে এরা আলতাফের বাবা মা। অনেক জ্যোতিষী, তান্ত্রীক এসেছিল। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোন সুরাহা পায় নি। স্বাভাবিক ভাবে তাদের দাফন করেছিল। কিন্তু যেদিন দাফন করেছিল সেদিন যারা যারা দাফন কাফনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সহ এ বাড়ির সকল আত্মীয়স্বজনদের একটা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখায়। পরপর তিনদিন এ স্বপ্নটা দেখানো হয়।

- কি স্বপ্ন চাচা? তুমি দেখছিলে?

- হ্যাঁ। আমিও দেখছিলাম।

#চলবে

1
$ 0.00
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments